Archive - মার্চ 2019 - ব্লগ

March 19th

মায়াপুরের মায়ায়

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: সোম, ১৮/০৩/২০১৯ - ৬:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যাওয়ার কথা ছিলো দার্জিলিং। কিন্তু কপাল কখনো কখনো বিশ্বাস করিয়ে ছাড়ে - ‘আমি আছি’। এখানে লেখা না থাকলে জোটে না অনেক কিছুই। কোলকাতায় সারাদিন ঘুরেও জলপাইগুড়ির ট্রেনের টিকেট পাওয়া গেলো না। এমনকি বাসের টিকেটও না। সাথের অন্যান্য ভ্রমণসঙ্গীরা আমার ভরসায় গালে হাত দিয়ে ব্যাকুল চিত্তে বসে আছে, হয়ত কিছু একটা ব্যাবস্থা করে ফেলতে পারবো। কোলকাতায় আমার এক বড়ভাই-বন্ধু আছেন – বাপ্পীভাই। তিনিও আমাদের সাথে ট্রেন টিকে


March 11th

রবিন হল-এর বই 'দি কার্টুনিস্ট'স ওয়ার্কবুক' এর ভূমিকা | অনুবাদ প্রচেষ্টা

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: সোম, ১১/০৩/২০১৯ - ৭:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(যে কোন বইয়ের ভূমিকা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। লম্বা দৌড়ের আগে খানিকটা ওঠবস করে গা-গরম করে নিতে হয় যেমন, বইয়ে ঢুকবার আগে লেখকের নিজের লেখা ভূমিকাটুকু অনেকটা সেরকম আমার কাছে। বইয়ের মূল লেখার চেয়ে কোন অংশেই কম উপভোগ করি না আমি সেটা। তারচেয়ে বড় কথা, এগুলোকে আমার কাছে অনেকটা, ঠিক কৈফিয়ত বা কনফেশান নয়, বরং ‘সত্যকথন’ শব্দটাই ভালো মানাবে হয়ত, সেরকম লাগে। অল্প কিছু পছন্দের বইয়ের ভূমিকা এরকম অনুবাদ করেছি আমি। সেগুলোর কিছু কিছু ঝালাইমতন করে ব্লগে দিব ঠিক করলাম। অনুবাদের ব্যাপারে আমি এখনো দ্বিধায় আছি। ভাষান্তর নাকি রূপান্তর, এই দ্বন্ধে ভুগি সর্বদাই। সেবা প্রকাশনীর মত রূপান্তর ভালো লাগে, কিন্তু ভাষান্তরে মূলের যে স্বাদটুকু থাকে, সেটার লোভও কম নয় আমার। এই সব কিছু মিলিয়ে মিশিয়ে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা সহজ নয়। এগুলো তাই কোনটাই ঠিক অনুবাদ হবে না হয়তো, বরং অনুবাদ-প্রচেষ্টা নাম দেয়াই ভালো হবে এদের।)


March 10th

বিজনেস ডিসিশন

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শনি, ০৯/০৩/২০১৯ - ৮:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার অফিসে স্যান্ড্রা নামে একজন মহিলা ছিলেন। তিনি অনেক উঁচু পদে ছিলেন। বিচিত্র এক কারণে তিনি সবার পিছনে লাগতেন। যাদের পেছনে লাগতেন তারা কেউই তার সমতুল্য না, মানে অফিসে চুনোপুঁটিদের তিনি নানান ঝামেলাতে ফেলতেন। আমরা কুমির কুমির খেলার মতো স্যান্ড্রা থেকে যতদূরের সম্ভব তত দূরেই থাকতাম। কিন্তু একবার আমি ঝামেলাতে পড়ে গেলাম। স্যান্ড্রা আমার উপর ক্ষেপে গেলেন।


March 9th

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সাস্টে ২২ বছর

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ০৯/০৩/২০১৯ - ৪:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ একটি বই পড়ার পর আমার কাছে যা মনে হয় পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আমি তা অকপটে লেখার চেষ্টা করি। বইয়ের বেচাবিক্রির কথা বিবেচনা করে বা অতিসংবেদনশীল পাঠকের অনুভূতি বিচার করে ‘বাকিটুকু রূপালী পর্দায় দেখুন’ ধাঁচের প্রতিক্রিয়া লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়; অমন কিছু লেখার ইচ্ছাও নেই। সুতরাং যারা স্পয়লারের ভয়ে রিভিউ পড়তে আগ্রহী নন্‌ তাদের পক্ষে এই পোস্টে না ঢোকাই শ্রেয়।]


সৃষ্টিশীলতা নিয়ে - আইজাক আসিমভ

জি.এম.তানিম এর ছবি
লিখেছেন জি.এম.তানিম (তারিখ: শনি, ০৯/০৩/২০১৯ - ৩:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এই লেখাটি আইজাক আসিমভের একটি প্রবন্ধ থেকে অনুবাদ করা। ১৯৫৯ সালে লেখা এই রচনাটি একটি সরকারী গবেষণার নির্দেশিকা হিসেবে লিখিত হয়ে ছিল। লেখক এইখানে বৈজ্ঞানিক নতুন সৃষ্টি এবং এর পেছনে প্রয়োজনীয় চিন্তার জন্যে আদর্শ পারিপার্শ্বিকতার কথা বলেছেন। লেখাটি অনেক বছর অপ্রকাশিত অবস্থায় রয়ে গিয়েছিল লেখকের এক বন্ধুর কাছে। তারপরে এটি প্রকাশিত হয় এমআইটি টেকনলজি রিভিউতে।


March 8th

আমার প্রকৃত জন্ম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৩/২০১৯ - ১:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘন্টা দেড়েক হয় গরম জলে ডুবে আছি।
আলো-আঁধারি ঘর, মৃদু লয়ে একটা সুর বাজছে কোথাও, জানালার গোড়ার খিলানটা স্পাইডার প্লান্ট আর আইভি গাছে ভর্তি। জলাধারের একপাশে আমার সঙ্গীর জন্য একটা চেয়ার। সাথে লাগোয়া একটা ছোট টেবিলে ট্রে-তে সাজানো ঠান্ডা জল আর ফলের রস।

হ্যানার কথার মতোই শান্ত কোনো স্নেহ যেন মিশে আছে এ ঘরের গাছ গুলোয়, আইভির সুবাসে, আমার স্নানের ঊষ্ণ জলাধারে ।


March 7th

ফাইনম্যানের টালমাটাল পিরিচ

অবনীল এর ছবি
লিখেছেন অবনীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৩/২০১৯ - ৩:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনে হয় সব মানুষের জীবনেই একটা সময় আসে যখন, যে কাজ তার ধ্যান-জ্ঞান, নেশার মতো । যা নিয়ে দিনরাত পড়ে থাকলেও উৎসাহের কোন ঘাটতি হয় না, সেই ভালোলাগার ক্ষেত্রতেও বিতৃষ্ণা ভর করে। তাৎপর্যহীন জীবনে যে কর্মক্ষেত্রকে আলিঙ্গন করে নিজের জীবনকে অর্থবহ করে তোলার চেষ্টা করা হয়, সে ক্ষেত্রটাই হয়ে ওঠে অসহনীয়। এরকম অবস্থা থেকে কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ? কিভাবে ফিরে পাওয়া যায় সেই পুরোনো ভালো লাগার অনুভূতিটাকে ?

রিচার্ড ফাইনম্যান। আইনেস্টাইনের পরপরি যাঁকে এই দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন পদার্থবিদ বলে ধারণা করা হয়। জীবনের একটা পর্যায় এসে তিনিও বিতৃষ্ণ হয়ে গিয়েছিলেন পদার্থবিদ্যার গবেষনায়। আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, একটা টলমলে পিরিচ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল তার প্রায় হারাতে বসা কর্মজীবন। কি হয়েছিলো আসলে ? তাঁর রেখে যাওয়া জীবনালেখ্য থেকে জানা যাক ঘটনাটা -


ছবিঃ পিরিচের টালমাটাল অবস্থার ডায়াগ্রাম । বৃত্তগুলো দিয়ে কক্ষপথ বোঝানো হয়েছে। কালো বিন্দুগুলো টালমাটাল কক্ষপথের ছেদ। (সূত্রঃ [১])


March 6th

শুক্রবারের গন্ধ 


অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: বুধ, ০৬/০৩/২০১৯ - ৪:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কয়েক বছর আগে গ্রামের রাস্তায় উল্টাদিক থেকে আসা একটা গরুকে বাঁচাতে গিয়ে গর্তে পড়ে যাই। শুনেছিলাম— আমার বোন বলছিল— রাস্তাটা গাড়ি চলার মতো বড় হয়েছে।


সুন্দরপুরে সন্দেহ (চতুর্থ কিস্তির পর)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৬/০৩/২০১৯ - ২:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দশ।।

শমশের খাঁর শরীর ভালো নেই। দুপুরে পাঙ্গাশ মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খাবার পর থেকে পেটের ভেতর ভুটভাট শব্দ হচ্ছে। তার সাথে যোগ হয়েছে বুক থেকে গলা অবধি তীব্র একটা জ্বলুনি। স্ত্রী সুরজাহান একবার মিনমিন করে জিগ্যেস করেছিলেন বুকে গরম তেল মালিশ করে দেবেন কিনা। শুনেই তাঁর মেজাজটা ভাদ্র মাসের শুকনো বিলে লাফাতে থাকা কই মাছের মতো খলবল করে উঠলো। এই মহিলার কি কোনই মায়া দয়া নেই? কতোবার বলেছেন তরকারিতে ঝালটা একটু কম দিতে, কিন্তু কে শোনে কার কথা! মাছের ঝোল রাঁধতে গেলে সুরজাহান বেগমের আর হুশ থাকে না। আর রান্নাটাও এমন স্বাদের হয় যে গলা পর্যন্ত না খেয়ে ওঠে আসা মুশকিল। বুক জ্বালিয়ে দিয়ে এখন এসেছে তেল মালিশ করতে! মেজাজ কিছুটা ঠাণ্ডা হবার পর কোঁকাতে কোঁকাতে ডাক দিলেন,


March 3rd

ধূমায়ুধ

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ০৩/০৩/২০১৯ - ৪:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুধো আচমকা থমকে গিয়ে নাকটা ওপরে ওঁচাতেই তার মস্ত শিংদুটো সিধুর পাঁজর থেকে বিঘৎখানেক দূরে এসে থিতু হলো। সিধু পেছনে হেলে বসে বুধোর পিঠে কম্বলের ওপর চাপানো কাঠের আসনটার শিং এক হাতে শক্ত করে ধরলো। বুধো আচমকা ঘুরে ছুট লাগাতে পারে; তখন ছিটকে পড়লে সিধু জখম তো হবেই, বুধোর পায়ের নিচে পড়লে মৃত্যুও অসম্ভব নয়।

সিধুর হাঁটুর নিচে বুধোর প্রকাণ্ড ফুসফুস কয়েকবার ফুলে ফুলে উঠলো, নাক দিয়ে ফোঁসফোঁস করে শ্বাস ছেড়ে দু'পা পিছিয়ে এলো বুধো। লক্ষণ ভালো নয়। ধনুকটা খাপ থেকে টেনে বের করে হাতে নিলো সিধু। বৈরী গন্ধ পেয়েছে বুধো, কিন্তু পালাবে না সে। তার মানে দাঁড়ায়, গন্ধটা শ্বাপদের নয়।