Archive

February 2nd, 2021

January 30th

যে পাহাড় দিতে হবে পাড়ি

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: শুক্র, ২৯/০১/২০২১ - ১১:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

The Hill We Climb - Amanda Gorman

যখন দিন আসে আমরা প্রশ্ন করি নিজেদের
এই অনিঃশেষ অন্ধকারে আমরা কোথায় পাবো আলো?
ক্ষতির ভার বয়ে,
এক সমুদ্র পাড়ি দিতে হবে আমাদের।
পাশবিক এক দুঃসময় আমরা মোকাবেলা করেছিলাম,
আমরা জেনেছিলাম শান্ত থাকা মানেই সবসময় শান্তি নয়,
এবং ন্যায়ের নিয়মকানুন মানেই ন্যায়বিচার নয়।
এই ভোর আমাদের, আমরা জানার আগেই।
কোনভাবে আমরাই তা এনেছি।


January 21st

ধাওয়া (পর্বঃ ২)

অবনীল এর ছবি
লিখেছেন অবনীল (তারিখ: বুধ, ২০/০১/২০২১ - ৮:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

January 18th

January 14th

বাংলা ইবুক ফরম্যাট করার সহজ টিউটোরিয়াল

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০১/২০২১ - ৯:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ওয়ার্ড ফাইলে কীভাবে বাংলা ইবুক ফরম্যাট করি সেটা নিয়ে একটা টিউটোরিয়াল ভিডিও বানাবো অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম, সময় করে উঠতে পারছিলাম না।
অবশেষে সেটা করা হলো। ইউটিউবে তুলে দিয়েছি টিউটোরিয়ালটি। আশা করি ইবুক প্রকাশে আগ্রহী লেখক ও প্রকাশকদের এটা কাজে আসবে।


January 9th

চিত্রকর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৯/০১/২০২১ - ৬:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


December 31st, 2020

তালাশ - শেষ পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/১২/২০২০ - ১২:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের পর)

মাসখানেক পরের কথা। নিজাম শাহী সেনাপতি মালিক অম্বরের তাঁবু। ভোর।

সূর্য ওঠেনি পুরোপুরি। মশালের আলোয় মাথা ঝুঁকিয়ে ইয়াকুত খাঁ বললেন, পেশওয়াজি। তিমুরি বাহিনী বিজাপুর থেকে সরে গেছে, আর আদিল শাহী সিপাইরাও ভাটওয়াড়িতে মারা পড়েছে সব। দূর্গ দখলের এই ই প্রকৃত সময়!

পাশ থেকে শাহজি গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, হাঁ ঠিক কথা। মারাঠা ঘোড়সওয়ার সব প্রস্তুত। কেবল হুকুম দেন, এখুনি বিজাপুর আক্রমণে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

দীর্ঘদেহী মালিক অম্বর অল্প চুপ থাকার পর মাথা এগিয়ে হিসহিসে গলায় বললেন, তার সাথে অন্য কাজ আছে। শুয়োরের বাচ্চা ইব্রাহীমের সাধের নগরী ধুলায় মিশিয়ে দেয়া চাই, কমবখৎ বেঈমান। তিমুরির পা চাটা কুত্তা। গুঁড়িয়ে দে। তার নয়া শহরের একটা ইটও যেন খাড়া না থাকে। একটা গাছের পাতাও যেন বেঁচে না যায়। তার কবি গাতক সবগুলির পাছায় আগুণ দিয়ে বের করে দে। মাটিতে মিশিয়ে দে শহর রাতে। মাটিতে মিশিয়ে দে!


December 26th

রবীন্দ্রনাথ বনাম নজরুলঃ বঙ্গ সাহিত্যে খুনের মামলা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৬/১২/২০২০ - ৬:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের কবি নজরুলের(দুখু মিয়ার) জন্ম কলকাতার মত শিক্ষার আলোকে উদ্ভাসিত ও ধন সম্পদে পরিপূর্ণ নগরীতে নয়; রবীন্দ্রনাথের মতো অভিজাত ব্রাহ্ম পরিবারে রুপোর চামচ মুখে নিয়ে পৃথিবীর মুখোদর্শনের সৌভাগ্যও তার হয়নি। তার সম্বন্ধে তাই নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া তার জীবনীকারদের জন্য সবসময় কঠিন ছিল। তার সম্বন্ধে গালগল্প বিচিত্র রঙে রঞ্জিত, কারণ বাস্তব ও কল্পনার ককটেল সেবন বাঙ্গালির সান্ধ্যবাতিকের অন্তর্ভুক্ত। তবে


December 24th

ধাওয়া (পর্বঃ ১)

অবনীল এর ছবি
লিখেছেন অবনীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/১২/২০২০ - ৩:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিকষ কালো আকাশের বুক চিরে ধমনীর মত আলো ঝলকে উঠলো। ঝলকের মাঝে দেখে মনে হবে, কোটি কোটি শীতল, পড়ন্ত বৃষ্টি ফোটা হঠাৎ যেন মাঝপথে থমকে গেছে। পানিজমে থাকা রাস্তায় প্রতিফলিত হলো সেই স্বর্গীয় অগ্নিঝলক। যেন ভাঙা কাচের টুকরো দিয়ে সাজানো ঢালাই করা রাস্তাটা। তারপর আবার নিকষ আঁধারে ফিরে গেলো বজ্রাহত আকাশ। আর ফের শুরু হলো যেন অব্যহত বৃষ্টির ধারা। ফুটপাথটা অন্ধকার। নিকষ কালো রাতের পেশী যেন চারিদিক থেকে চেপে ধরতে চাইছে। দাতে দাত চেপে, ডানপাশের ব্যাথাটা অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করলো গোয়েন্দা ফ্র্যাঙ্ক শ' । অন্ধকারের মধ্যে তার চোখদুটো কুচকে রয়েছে। দু-হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছে স্মিথ এন্ড ওয়েসন পয়েন্ট আটত্রিশ চিফ'স স্পেশাল। একজন শুটারের ভংগিতে দাড়িয়ে দুই রাউন্ড গুলি করলো সে। ফ্র্যাঙ্কের কিছু সামনে, দ্রুত দৌড়ে কাছের একটা গুদামঘরের কোনায় আশ্রয় নিয়ে কোনমতে নিজেকে বাচালো কার্ল স্ক্যাগ। প্রথম গুলিটা শীষ কেটে চলে গেলো পেছন দিয়ে, আর দ্বিতীয়টা গুদামঘরের দেয়ালের কোনায় লেগে চলটা উঠিয়ে ফেললো। গুদামঘরের ধাতব চালায় আর ফুটপাথে আছড়ে পড়া অবারিত বৃষ্টির গর্জন, আর এর সাথে বিদ্যুতচমকের শব্দ, দুয়ে মিলিয়ে গুলির শব্দকে প্রায় ঢেকে দিলো। ব্যক্তিগত প্রহরীররা যদিও কাছেপিঠে থেকে থাকে , তারা মনে হয় কোন কিছু শুনতে পায়নি। তাই ফ্র্যাঙ্ক-এর সাহায্য পাবার আশা সুদূর পরাহত। সাহায্য পেলে ও অবশ্য স্বাগতই জানাতো, স্ক্যাগ বিশালদেহী, শক্তিশালী এক সিরিয়াল খুনি । এ পর্যন্ত কমপক্ষে বাইশটা খুন করেছে সে। সবচেয়ে ভালো দিনেও লোকটা ভয়ঙ্কর-রকম বিপদজনক, আর এই মূহুর্তে সে একটা ঘুর্ণায়মান কাঠচেরা করাতের মতোই ভয়াবহ।


December 23rd

তালাশ - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বুধ, ২৩/১২/২০২০ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্তুগীজ অধিকৃত গোয়া, ১৬২৪। ভোর।

ঢকঢক করে পাশে রাখা বাদামের শরবৎ অল্প যতটুকু বাকি ছিল খেয়ে হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে মুখ মুছলেন জামশিদ খাঁ হামাদানি। আগের রাতে জাহাজ ভিড়ার পরে বন্দর এলাকা বেশ খালি ছিল, সারাদিন বৃষ্টির পরে কাদায় থিকথিক করছিল এলাকা। সহযাত্রী তারিক খুদাবন্দ গোয়াতে নিয়মিত আসেন, তার সাথেই এই সরাইতে আগমন হামাদানির। বেশ পরিচ্ছন্ন সরাই, নমাজের জায়গা একপাশে। ঘুমানোর বালিশের উপরে জানালা, ঝিরিঝিরি বাতাস দিচ্ছিল সারারাত।

হেঁটে বাইরে এসে বাগানে দাঁড়াতেই হামাদানি দেখলেন খুদাবন্দ দাঁড়িয়ে খোরমা খাচ্ছেন। হেসে বললেন, কী ঘুম হল?