ঘর ঝাড়ু– দিতে কিংবা কেটলিতে করে চা এনে সবাইকে খাওয়াতে এখন আর জাতে ধরে না। তক্তা কাটা কিংবা হাতুড়ি পেটানোতো এখন এনজয়ই করি। কিন্তু মাথায় ঠাঠা ফেলল গ্রুপের নতুন নাটকের সুভেনির প্রকাশনা। নতুন নাটক উপলক্ষ্যে সুভেনির প্রকাশ হবে জেনে খুশিই হয়েছিলাম; ভেবেছিলাম সুভেনিরে একটা মারাত্মক লেখা লিখে দেখিয়ে দেবো অভিনয় কিংবা বাংলা উচ্চারণ না জানলেও লেখায় আমি এইসব গোঁয়ার গোবিন্দের নাগালের কতটা বাইরে। কিন্তু সুভেনি
বন্ধু যারা দুঃখ পেয়েছো রূপাদের কথায়
দুঃখকে করুণা কর না, হাড়ের ভাষায়
মিশে যাচ্ছো সম্পর্কে তৎক্ষণাত...
অল্পই তফাৎ
এই যা পান করা তামাকপাতা; শুশ্রূষা আহা!
সুখের ভেতর দুঃখকে শেখানো হচ্ছে চোখের প্রণয়
ওভাবে আমরা ভাবলে দেখতো কেমন হয়?
গাছের ছায়াগুলো হাসে পাখির ডানায়
রূপাদের ছায়া মিশে যাচ্ছে ঘাসের পাতায়
বন্ধু যারা দুঃখ পেয়েছো সমবেদনা তোমাদের
[i]বহুদিন হয়ে গেল দেখা হয় না মণিকুন্তলার সঙ্গে। মেঘ সরে গিয়ে অপরাজিতা-নীল শরৎ আকাশের ছোটো একটু টুকরো দেখা দিলেই সে উতলা হয়ে উঠে বলতো, "তুলি, তুলি, চল যাই পশ্চিমের মাঠে, ওখানে বুঝি কাশ ফুটেছে।"
আমি হাসতাম, "দূর পাগলি, এখনো যে বর্ষা যায় নি, আশ্বিন আসুক তবে তো!"
ওর মুখে মেঘের আবছায়া পড়তো, "যায় নি বুঝি? বর্ষা? "
এক.
বহুদূর হেটে গেলে টের পাই বহুদূর পথ
ধরে পড়ে থাকে ফেলে আসা পথের ধুলোরা সব;
প্রতিটি ধুলোর কাছে স্মৃতি জমা থাকে;
আমরা অজস্র সাঁকো বাধা পথ ধরে যেতে যেতে
অযুত নিযুত যত ঝিঁঝিঁ-ধুলোদের ভিড়ে মিশে
গড়ে তুলি আমাদের এক - স্মৃতিময় কাঠগড়া!
(বরিশাল, ০১. ১০. ২০১১)
[justify]তখন আমার বয়স কত ই বা হবে, স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে প্রবেশ করেছি সবে। মনে হল হঠাৎ করে কেউ যেন আমাকে পুকুর থেকে এনে সাগরে ছুড়ে দিয়েছে। ছুড়ে দিয়েছে বলা ভুল হবে, কারণ মাবাবার অবাধ্য হয়ে সেবারই প্রথম নিজের পছন্দের কলেজে এডমিশন নিয়েছিলাম। ওনারা চাইছিলো আমি বাসার কাছেই আইডিয়াল কলেজে পড়ি, সাথে একটু আকটু ধর্মীয় ভাবাপন্ন হই। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দার মত একগুঁয়ে হয়ে বললাম হলিক্রসেই এডমিশন নিবো। তখ
সময় বড় নিষ্ঠুর। শুধুই ধুলো উড়িয়ে পালিয়ে যায়। বোকা বয়স তার পিছেই ছুটতে থাকে। আর সেই ধুলো চুলে আটকে রঙ পাল্টে দেয়। এই টপ টু বটম বেরসিক সময়ের পিছে কেন দৌড়াতে হবে? ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের মতো হলে কী ক্ষতি হতো? সময়ের তোয়াক্কা না করে ননস্টপ দাঁড়িয়ে থাকা। ইস, সময়টাকে যদি কানে ধরে ঘুরিয়ে কুড়ি বছর পেছনে নেওয়া যেতো! জীবনটা ডিভিডি প্লেয়ারের মতো হলেও মন্দ হতো না। ইচ্ছে মতো প্লে করা যেতো, নইলে পজ দিয়ে আটকে রাখারও সুযোগ থাকতো। তা না হয়ে উনি হলেন নদীর মতো, গড়িয়ে পড়া ঝর্নার মতো। শুধুই সামনে এগিয়ে যায়। একেবারে ননস্টপ জার্নি।
এই একটা নতুন পর্ব শুরু করলাম। জীবনের অভিজ্ঞতা খুবই সংক্ষিপ্ত। তবু এই সীমিত ভান্ডারের মধ্যে থেকে যাই পারি তুলে ধরার চেষ্টা করব কিছু ভাল লাগার কথা আর কিছু খারাপ লাগার কথকতা। তবে এই সীমিত সময়ে যা দেখেছি তা দিয়েই কিছু বলার চেষ্টা করব। জানিনা কোথায় বা কোন পোস্টে কোন ধরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
(কবিতা লিখছি না অনেক দিন। খোমাখাতায় এক বন্ধুর শেয়ার দেওয়া তিন লাইন দেখে বেশ ভালো লাগলো। খুঁজে দেখলাম সেটা রবার্ট ফ্রস্টের একটি কবিতা। মূল কবিতাটি পড়ে ভালো লাগায় অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। নীড়পাতায় কবিতা টবিতা নাই, কেমন খালি খালি লাগছে... তাই সাহস করে দিয়ে দিলাম। ভালো লাগলে হাততালি আর না লাগলে ঠুয়া দিয়ে কবিতাটি নীড়পাতা থেকে সরিয়ে দিবেন।)