ভেসে যায় আদরের নৌকো
গত কয়েকদিন পত্রিকার পাতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাপ্রবাহ লক্ষ্য করছিলাম। সরকার ১০০ ভাগ কেনো অর্থায়ন করবে না সেটা নিয়ে মোটামুটি একটা তুলকালাম অবস্থা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খরচ সামাল দেবার জন্য উচ্চ টিউশন ফির কোনো বিকল্প খুজে পাচ্ছে না। অন্যদিকে ছাত্ররা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত টিউশন দিতে রাজি নয়। মাঝখান থেকে নিরীহ কিছু গাড়ীর প্রান নিয়ে টানাটানি। ইদানিং দ
টেবিলজুড়ে ছড়ানো এলোমেলো বইপত্তরের উপরে ঝিঁ ঝিঁর কাঁপন। তুলে নিই মুঠাফোনটা, ওপারে অন্বেষা। " কী রে তুলি, এই উইকেন্ডে ফ্রী আছিস? একজায়গায় যেতাম তাহলে।"
" প্রথমদিন ফ্রী, সেদিন হলে যেতে পারি।"
"ঠিক আছে। আমি তাহলে সকালে এসে তোকে পিকাপ করে নেবো। এই নটা নাগাদ। রেডি থাকবি।"
"কোথায় নিয়ে যাবি রে? "
"সে দেখবি তখন, এখন বলবো না। " ওর হাসি শুনতে পাই।
অসুরগুলোর বড্ডো বাড় বেড়েছে। যা নয়, তাই করে বেড়াচ্ছে। জগতের হেন অশুভ কম্ম নেই যা তারা করছে না। চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাস, ধর্ষণ ইত্যাদি যত ধরণের অনাচার-ব্যাভিচার আছে তার কোনোটাই তাদের কাজের তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে না। নাহ! এবার এর একটা বিহিত করতেই হবে।
[justify]১.
সে এক অদ্ভুত মায়াভরা গ্রাম, মুখ তুললেই আকাশ, নক্ষত্র, মেঘ, ছায়াপথ, মহাবিশ্ব। কত কত ভাঙা পাড়... কত বজ্র... কত ঘূর্ণিঝড়... মাথাভর্তি স্বপ্ন আর কুলকুল বাঙালির স্বর... পাতার আওয়াজ পেলে নিজের ভেতর থেকে চমকে উঠে দেখি পাশে মেঘ... মহা-মহা তারা... আহা সময়-- ফ্লোরসেন্ট স্বপ্নের মতো বড়ো বেশি কম্পনপ্রিয়-বড় বেশি পতঙ্গ স্বভাব।
ফসল, তুমি কি জানো প্রেমিক আলপথ্
তোমাকে বানান-চিন্তা দিয়েছে দুঃখের?
বলো তো অ’ মানে ধান... এই বাংলাদেশে
প্রেমে প’ড়বো বারবার রাখালের বেশে
-বিভাস রায়চৌধুরী
কথা বলার ভেতর যে আনন্দভাব থাকে
কথা বলার শেষে তাও কি ধরে রাখা যায়?
সারাক্ষণ জীবন-জিজ্ঞাসা, ফোটে কি ফোটে না
এই প্রাবল্যে কাটছে সময়, বহু দিনের ইচ্ছা
আর ক’টা দিন পর সব কথা পরবে মুখোশ
-হারাবে অঙ্গের সচলতা
চোখ খুললেই দেখি জটিল রূপ রেখার ভেতর
হাঁটতে হাঁটতে তুমি তুলে আনছো রোদক্লান্তবুক
পাতার ছায়া!
পপকর্ন, সে-তো ভালোই জানে—
[justify]আমার বয়স তখন পাঁচ। রবিবারের এক দুপুরে আমদের পাড়ায় এক ঝাঁকা মুরগীর ছানা নিয়ে একজন হকার আসে। রেশন তুলতে বাবার সাথে আমি তখন বাইরে, তো সেই হকার আমার হাতে ছোট্ট একটা ছানা তুলে দেয়। অদ্ভুত নরম আর মিষ্টি একটা উষ্ণতা হাতের তালুতে শিহরণ তুলে। বাবাকে ঘ্যাঁনঘ্যাঁন করে বলতে থাকি মুরগীর ছানা কিনে দেয়ার জন্য। বাবার অতো টাকা-পয়সা নেই। মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে বাবা। আর মার অনেকদিন ধরেই অসুখ। তাই সে কোনো
২৬ জুলাই, ১৯৫৩। নিজ দেশের স্বৈরশাসক সেনাবাহিনী প্রধান বাতিস্তার নির্মম শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের অগ্নিশপথ নিয়ে মোনকাদা নামের এক সেনাব্যারাকে আক্রমণ করলেন একদল বিপ্লবী, নেতৃত্বে ফিদেল কাস্ত্রো নামের এক তরুণ আইনজীবি। দেশমাতৃকার উপর চলমান দমন পীড়নের বিরুদ্ধে হাতের অতি অপ্রতুল সম্পদ নিয়েই ছোট ভাই রাউল ও অন্যান্য বন্ধুদের মন দ্রোহের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করেই সেই আক্রমণ থেকে বার্তা পৌছাতে চাইলেন শাসক গোষ্
প্লেনটা এতক্ষন মেঘের মধ্যে ছিল। মেঘ ফুড়ে নির্মেঘ আকাশে বের হয়ে আসতেই আলোর বিন্দুগুলো ঝুপ করে ভেসে ওঠে। সের্গেই আইজেনস্টাইন জানালার কাঁচের ভেতর দিয়ে অনেক নিচে আলোর বিন্দুগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। রাশি রাশি মশাল জ্বালিয়ে কোন এক অজানা শহর জেগে আছে। কোন শহর?