নেই সকালে রুটিন ধরা এলার্ম-ভাঙ্গা ঘুম,
নেই অযথা বাস-ধরাতে টেনশনেরই ধুম;
নেই খামাখা চিন্তাভারে মলিন মুখে হাসা,
নেই উপদেশ মুঠোফোনের ওপার থেকে আসা;
নেই অবুঝের বাক্যবান আর তীব্র কথার ঝড়,
নেই ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ আর বিশদ জ্ঞানের ভর;
নেই অপবাদ, আলোচন আর নিন্দাবাদের খেলা,
নেই কারো কোন 'সই'-এর খোঁজে দিন হারানোর বেলা;
নেই অনুযোগ গঞ্জনা আর দুঃখ ভোলার ভান,
নেই অবাধে দোষ খোঁজা আর মিথ্যে অভিমান;

সুন্দরবনের অন্দরেকন্দরে মা বাঘ ছানাবাঘদের বলে, ঘুমা বেটা ঘুমা, নয়তো লোচন বক্সী এসে ছবি তুলে নিয়ে যাবে!
ঘুমটা আসি আসি করছে - এই মুহূর্তটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে। শরীরটা আইসক্রীমের মত গলে যেতে শুরু করে। চারপাশটা মনে হয় মেঘের মত। নরম নরম। তুলো তুলো। চিন্তাগুলো - যেগুলো মাথার মধ্যে জট পাকিয়ে একটা গোলমাল পাকানোর তালে থাকে সেগুলো পর্যন্ত স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে। একটা কুয়াঁশা এসে সবকিছু ডুবিয়ে দিয়ে যায়।
"ধুরো হালার, আগেই বলছিলাম এইসব করে কোনো লাভ হবেনা, কাজের সময় দেখবা একটারেও পাওয়া যাবেনা, এখন বুঝো!!"
২০০০ সালের গ্রীষ্ম, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, দুপুর ১২ টা। প্রবল ঝমঝম বৃষ্টিতে, আমরা আশ্রয় নিয়েছি পাশের মেডিক্যাল গেটের যাত্রী ছাউনিতে। আকাশ কালো আর মেঘে ঢাকা, আমাদের ৪/৫ জনের মুখও আকাশের মতই। আমরা এসেছি আমরণ অনশনে বসতে।
হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাই, দেখি নারকেল গাছের সারি। কান্ড বেয়ে গোলমরিচের লতা উঠেছে। বৃষ্টির কণারা লেগে আছে লতার গায়ে আর পাতাগুলোর উপরে। রোদ্দুর পড়ে ঝিকিয়ে উঠছে কেমন! ভিজা হাওয়ায় নারকেল গাছগুলো মস্ত মস্ত পাতা নাড়িয়ে খুব আহ্লাদ করছে। ঠিক যেমন বলে দিয়েছিলো প্রীতি।
ছোট্টো হাসি শুনে চমকে তাকাই, দেখি পাশের জঙ্গল থেকে প্রণতি বেরিয়ে আসছে, হাতে নীল রঙের ফুল। আমি বললাম, "আনন্দপুরে যাবে?"
আজকে অনেক কিছু লিখব ভেবে বসেছিলাম, অথচ কেন জানি উপরে শিরনামটা লিখেই হাত থেমে গেছে! যদিও এটা আমারই দোষ, চরিত্র মাফিক রাগ-জেদ, আহ্লাদ, আব্দার সব বাজে স্বভাব খুব সহজে বাড়াবাড়ি মাত্রায় প্রকাশ করতে পারলেও, কখনো নিজের ভালোবাসার কথাটাই সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারিনা!
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বেশ কিছুদিন যাবৎ মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত সংবাদগুলো অধিকাংশ স্থান দখল করে থাকছে। আরব বসন্তের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সিরিয়ার ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ এবং একই সাথে ইরানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এর কূটনৈতিক সম্পর্কের লাগাতর অবনতি এই অঞ্চলটির একটি বিস্ফোরন্মুখ অস্থিতিশীল অবস্থাকেই নির্দেশ করে। একইসাথে পাশ্চাত্যের শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে রাজনৈতিক দ্বন্দ এবং ইরানের পারমান
মাত্র ছয়দিনের ছুটি, চোখের নিমেষে ফুরিয়ে গেল। ২২শে মে ঢাকায় গিয়েছিলাম, ২৮শে মে লুজানে চলে এলাম। ইয়ান চলে গেছে, কাজেই বাসা খালি। আমার রুমের দরজা অর্ধেক খোলা যেত কেবল, আগেই বলেছি। গভীর রাত, ক্লান্ত শরীরে সেখানেই শুয়ে পড়লাম তিনজনে, বাসা ঠিকঠাক পরে করা যাবে।