Archive - 2012 - ব্লগ

March 29th

আমাদের শহরে একটি কালো রেলগাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ২:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ভোরবেলা পুকুর ঘাটে এসে মধুসূদন বাবু হকচকিয়ে গেলেন।


দেশে বিদেশেঃ ভাজাপোড়া ঝালমসলা

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ২:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা শহরে হোটেলগুলি একটি অলিখিত রুটিন মাফিক চলে। ভোরবেলা পাঁচটার দিকে সবাই হঠাত ঝাঁপ খুলে রুটি বেলতে বসে যায়। হালকা সবজি রান্না চলে পিছনে, সামনে বিশাল ব্যাসের ফ্ল্যাট কড়াইতে পাশাপাশি ভাজা হয় পরোটা আর ডিম। বেশুমার পরোটা ভাজি ডিম সবজি আগের রাতের মাংসের তরকারি উড়ে যায় মিনিটে মিনিটে। দশটা বাজে। এইবার সকলে শুরু করে গণ সিঙ্গাড়া ভাজা। আচমকা দোকানের সামনে ঝুড়ি উপচে সঙ্গাড়া সমুচা হাজির হয়। রামপুরার আবুল হোটেল অথবা নীলক্ষেতের চিপা দোকান, সায়েদাবাদ অথবা মীরপুর যেখানেই থাকুন দুপুর এগারোটায় হোটেলে গেলেই দেখবেন ঝুড়িভর্তি সিঙ্গাড়া ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। এই সিঙ্গাড়ারা সকাল দশটার আগে অনুপস্থিত। এদের জন্ম দশটায় মৃত্যু একটায়। স্বল্পস্থায়ী একটি অর্থপূর্ণ জীবন।


জঘন্য লেখা- ০৩

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ১২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অভিধান


হাচল হওয়ার গল্প

ধুসর জলছবি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর জলছবি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিচ্ছিন্ন থাকাটা আমার জন্মগত অসুখ । ছোটবেলা থেকেই আমি প্রায়ই বাইরে খেলা বাদ দিয়ে ঘরে বসে একা একা কথা বলতাম, একা একা খেলতাম। আমার বাবা মা আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের অনেক প্রচেষ্টার পরও এই রোগ থেকে আমি মুক্ত হইনি, এখন আর কেউ চেষ্টাও করে না আমাকে ঠিক করার। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমি অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হই, অনেক বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি,অনেক প্রিয় মানুষদের কষ্ট দেই, অনেক সুন্দর সুন্দর দিন একা একা


কেমন ছিলেন তাঁরা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৭১ এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বা ৭১ এর মার্চ থেকে যে সব বাঙালী পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন অথবা এভাবে বললে, ৭১ এর মার্চ থকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালীরা কেমন ছিলেন ?


বিলম্ব

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিসাবে বলে দশ মাস দশ দিন। সাত আট মাসেও হয়ে যায়। আব্দুর রহমানের একটু বেশি লেগেছিল। গোনায় ভুল হতে পারে, কিন্তু খানিকটা বেশি সময় তার লেগেছিলো এ বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই। সেই থেকে শুরু।


আশাবাদের আসা যাওয়া আর তার বিশুষ্ক প্রলাপ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আশাবাদ বিষয়টি যখনি মাথায় আসে তখনি মনে ভেসে ওঠে অমর চলচ্চিত্র ‘দি শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ এর কথা। এর প্রথম দিকটাতে একবার বলা হয় -”Hope is a dangerous thing. Hope can drive a man insane.” আর শেষদিকে বলা হয়- “hope is a good thing maybe the best of things. And no good thing ever dies.


আমজনতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার মোবাইলটার অসুখ হয়েছে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে, থাবড়া মেরেও অন করা যাচ্ছে না। দেয়ালের সাথে কয়েকবার বাড়িও মেরেছি।
আমি চকবাজারে অলি খাঁ মসজিদের সামনে একটি সার্ভিসিং এর দোকানে গেলাম। ডাক্তার বললেন, 'বাপরে বাপ, দেইখা তো মনে হইতেসে এই মোবাইল কিনসেন মোঘল আমলে! এত দিন চালাইলেন ক্যামতে?'
আমি কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম, 'ভাইজান, আমার এই দুঃসময়ে মশকরা লইয়েন না। কী করতে হবে বলেন।'


পিটিয়ে মারা মেছো বাঘ এবং আমাদের ভবিষ্যৎ

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কদিন ধরে মন বড্ড খারাপ হয়ে আছে, চোখ বুজলেই খবরের কাগজের একটি ছবি বার বার মনের পর্দায় ভেসে উঠছে, একটি লাশ, ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দড়ি দিয়ে বাঁশের সঙ্গে, মুখ থেঁতলানো, আঘাতের পর আঘাতে দাঁত বিকৃত হয়ে বেরিয়ে পড়েছে, খুব খেয়াল করে দেখলে হয়ত সেখান থেকে টপ টপ ঝরে পড়া রক্তবিন্দুও দেখতে পেতাম।


টানাপোড়ন

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন তুমি অনেক দূরে থাকো
এখন তুমি আটকে থাকো কাজে
এখন তুমি সঙ্গীবিহীন একা
কাটাচ্ছ দিন মগ্ন নিজের মাঝে

সেই পুরনো টুকরো কথাগুলো
স্মৃতির মাঝে যখন তোলে ঢেউ
খুব বিজনে আঁধার নেমে এলে
মিছেই ভাবি ফিরবে বুঝি কেউ

ফেরার পথে অনেক পাহাড় নদী
ফেরার পথে দ্বিধার জোয়ার-ভাটা
ফেরার পথে কুটিল চোরাবালি
খিড়কী-দুয়ার জটিল খিলে আঁটা

তোমার-আমার মুখোশগুলো আজও
মুখের সাথে লেপটে মাখামাখি