Archive - আগ 2015 - ব্লগ

August 12th

শহর, পাখি আর একটি মেয়ের গল্প

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৮/২০১৫ - ১১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“টুকু... টুকুটু... এই কুটু...”
দুষ্টু পাখিটা আবার ডেকে উঠলো।
এবার মনে হলো মাথার ঠিক উপরে। ছেলেটা পাখিটাকে খোঁজে।
ঝিরি ঝিরি বাতাসে পাতাগুলো দুলছে। পাখিটার দেখা নেই। “টুটুটুটুটু কুকুকুকু।” আবার ডাক। এবার আরেক জায়গা থেকে। একটু দুরে। সেই প্রথম দিন থেকে পাখিটা ওর সাথে লুকোচুরি খেলছে। সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা। ওর নাম ধরে ডেকেই যাচ্ছে, কিন্তু দেখা দিচ্ছে না।
“হতচ্ছাড়া!” বকে ওঠে ছেলেটা।


একটি অনুগল্প।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৮/২০১৫ - ৯:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সত্যব্রত মাঝি। মাঝির পুরো নাম। সবার কাছে ও মাঝি বা মাঝিদা এসব নামেই পরিচিত। আজ উইক এন্ড। ও দেরী করে ঘুম থেকে ওঠেনা। জীবন টা শুরু করেছিল চাটারড ফার্মে কাজ দিয়ে। অনেক জাগায় ঘুরতে হয়েছে। ধরতে হয়েছে ভোরের ট্রেন। তাই সকালে ওঠা ওর বরাবরের অভ্যেস। আজ ও সকাল সকাল উঠে পড়েছে। আট টার মধ্যে স্নান ও সারা। কিন্তু সকাল থেকেই ওর কাল রাতের অভিজ্ঞতা টা মন থেকে যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে ও কি কাল স্বপ্ন দেখেছিল। নাহঃ। ব


নির্যাতন থেকে আপনার শিশুর সুরক্ষা ও প্রতিকার

রেজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন রেজওয়ান (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৮/২০১৫ - ৬:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষ কেন অন্যকে নির্যাতন করে? নির্যাতনকারীরা অপরের উপর কর্তৃত্ব করা, শক্তি দেখানো বা নিয়ন্ত্রণকারী একটি মনোভাব পোষণ করে এবং মানসিক ও শারীরিক ভাবে দুর্বল লোকেরা তাদের শিকার। এটি সামাজিক এবং মানসিক সমস্যা কারণ নির্যাতনকারীরা কোন একটি "উচ্চ নৈতিক অবস্থানে আছে" বলে মনে করে এবং ভাবে তাদের কিছুই হবে না।


August 11th

হতাশার সাথে আন্দোলনের লড়াই - ব্লগার হত্যা

রানা মেহের এর ছবি
লিখেছেন রানা মেহের (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৮/২০১৫ - ৫:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা ছোট একটা প্রতিবাদ জানাতে কুন্ঠিত হই। বড় বড় সমাবেশ করতে চাই, যেখানে বিপুল বৈভবে সাজবে জনতার মঞ্চ। আন্দোলন শুধু বড় মঞ্চে হয়না,আসলে একেবারেই হয়না। সংস্কৃতির আন্দোলনের কথা ভাবুন। আমরা কি ধরে নেই সংস্কৃতি হয় চ্যানেল আই কিংবা এন টিভির প্রচুর অর্থের ঝনঝানাতিতে ঝংকৃত হতে থাকা ট্যালেন্ট হান্টে? এগুলো একেকটা বুদবুদ। সংস্কৃতি বিকশিত হয় বড় শহরের আড়ালে পড়ে থাকা ছোট্ট মফস্বল কলেজের নবীন বরনে, রবীন্দ্রনাথ মিশে থাকেন কোন এক অজ্ঞাত গ্রামের স্কুল শিক্ষকের পাগলামোতে আয়োজন করা পঁচিশে বৈশাখের অনুষ্ঠানে। মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে থাকে দূর ভাটি অঞ্চলের রাজাকার চেয়ারম্যানের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কিছু দরিদ্র কিন্তু দৃঢ় মুক্তিযোদ্ধার আলাদা বিজয় দিবস উদযাপনে।


সীমাবদ্ধ সাহিত্য ১

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৮/২০১৫ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছু মানুষ পানিতে হাগে; কিছু মানুষ হাগে ডাঙায়। বর্ষাকাল কিন্তু ভাসান-ডাঙা দুইটাই ধুইয়া মুইচ্ছা নিয়া ফালায় খালে আর বিলে। খালে আর বিলে মাছেরা পানি খায়- মাছ খায়- ঘাস খায় আর চান্সে পাইলে হাগুর গোল্লাও গপাৎ কইরা গিলা ফালায়। জাইল্লারা খালে-বিলে মাছ ধরে বাজারে বেচে। বাজারিরা মাছের গতর টিপে-কানকোর রং দেখে নিয়ে আসে বাড়ি। আর রান্ধুনিরা কিন্তু মাছের ভিসেরা টেস্ট ছাড়াই রান্ধে ফিশ ফ্রাই কিংবা বাংলা মাছের ঝোল..


August 10th

যে শিকারি শিকার চেনে না

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: সোম, ১০/০৮/২০১৫ - ৫:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মোটের উপর তিনভাগে ভাগ করা যায় মানুষকে সন্ত্রাস সংক্রান্ত বিষয়ে
শিকারি - সন্ত্রাসী
শিকার - যে সরাসরি সন্ত্রাসের কবলে পড়ে আহত বা নিহত হয়েছে
দর্শক - যারা সন্ত্রাসী নয়, সরাসরি সন্ত্রাসের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি কিন্তু সমস্ত ঘটনা দেখছে এবং জানছে।
এই দর্শককে আবার তিন ভাগে ভাগ করতে পারি
অন্ধ দর্শক
প্রতিবাদী দর্শক
সমর্থনকারী দর্শক


August 9th

দুঃখিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যথেষ্ট করছেন না

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: রবি, ০৯/০৮/২০১৫ - ৫:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাপাতির আঘাতে ব্লগার হত‍্যা এখন প্রায় মাসকাবারি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র চব্বিশ ঘন্টা আগে নিলয় নীল নামে একজন ব্লগার চাপাতির আঘাতে প্রাণ দিয়েছেন। ব্লগাররা বইমেলার মতো হেভিলি গার্ডেড জায়গা থেকে শুরু করে নিজ ঘরে পর্যন্ত খুন হয়েছেন। ব্লগার হত‍্যাকারিদের আইনের আওতায় আনায় সরকারের সাফল‍্য সীমিত। রাজীব হত‍্যাকারিদের ধরা গেছে। ব্লগার ওয়াশিকুরের হত‍্যাকারি দুজনকে সাধারণ‍্যের কর্মতৎপরতায় পুলিশ নাগাল পেয়েছে


মাত্র দুইটা চাওয়া

শান্ত এর ছবি
লিখেছেন শান্ত [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৯/০৮/২০১৫ - ১২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপনার অনেক বিশেষণ। কেউ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কেউ জননেত্রী, কেউ আপা আবার কেউ কেউ নেত্রী বলে আপনাকে সম্বোধন করেন। কিন্তু আমার কাছে আপনার সবচেয়ে বড় পরিচয় আপনি “শেখের বেটি”। এই শেখের বেটি কথাটি উচ্চারন করলে মনে বল আসে বুকে সাহস পাই। এই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু এর পরে আর কেউ যদি পরম মমতায় এই জাতিকে ভালোবেসেছেন সেটা আপনি। তাই ঘুরে ফিরে আপনার কাছেই আমরা আশ্রয় খুজি। আপনিও সময় সময় মমতা আর স্নেহ দিয়ে আমাদেরকে বু


মনুষ্যজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- অধ্যায়ঃ ২ (১/৩)

নিটোল এর ছবি
লিখেছেন নিটোল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৯/০৮/২০১৫ - ১২:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই সিরিজটি ইউভাল নোয়া হারারি রচিত Sapiens: A Brief History of Humankind এর ধারাবাহিক অনুবাদ।

১ম অধ্যায়- [পর্ব-১] [পর্ব-২]

জ্ঞানবৃক্ষ

প্রথম অধ্যায়ে আমরা দেখেছি যে, সেপিয়েন্সরা ১৫০,০০০ বছর আগে থেকেই পূর্ব আফ্রিকায় বসতি গড়ে তুলেছিল; তবে কেবল ৭০,০০০ বছর আগে থেকেই ওরা বাকি পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং অন্যান্য মানব প্রজাতিকে বিলুপ্তির পথে চালিত করে। সেই মধ্যবর্তী সহস্রাব্দগুলোয়, আদিম সেপিয়েন্সরা দেখতে ঠিক আমাদের মতোই ছিল, তবে তাদের মস্তিষ্ক আমাদের মতোই বড় হওয়া সত্ত্বেও, ওরা অন্যান্য মানব প্রজাতির তুলনায় কোনো লক্ষণীয়/বাড়তি সুবিধা উপভোগ করে নি। ওই সময়কালে, ওরা কোনো জটিল হাতিয়ার বা সরঞ্জাম তৈরি করতে পারে নি, এবং পারে নি কোনো অসাধারণ কীর্তি গড়তে।

সত্যি বলতে কি, সেপিয়েন্সনিয়ান্ডারথালের মধ্যে প্রথম যে লড়াইয়ের ব্যাপারে জানা যায়, সেখানে নিয়ান্ডারথালরা জয়ী হয়েছিল। প্রায় ১০০,০০০ বছর পূর্বে, কিছু সেপিয়েন্স দল আফ্রিকা ছেড়ে উত্তরের লেভান্তে (আজকের দিনের লেবানন, জর্ডান, ইজরায়েল) পাড়ি দেয়, যা ছিল নিয়ান্ডারথাল রাজ্য। কিন্তু সেখানে ওরা শক্ত খুঁটি গাড়তে পারে নি। এর পেছনে সেখানকার হিংস্র অধিবাসী, রুক্ষ জলবায়ু কিংবা স্থানীয় কোনো পরজীবীর হাত থাকতে পারে। তবে যে কারণই এর পেছনে থাকুক না কেন, সেপিয়েন্সরা অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং নিয়ান্ডারথালরা রয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের হর্তাকর্তা।


দরজা চোর - ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৯/০৮/২০১৫ - ৩:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমআইটিতে পড়ার সময় মানুষজনের সাথে বিভিন্ন রকম মজা করতাম। মেকানিক্যাল ড্রয়িং ক্লাসে আমাদের ফ্রেঞ্চ কার্ভ নামে একটা জিনিস ব্যবহার করতে হতো। জিনিসটা প্লাস্টিকের তৈরি, অনেকটা রুলারের মতো, ওটা দিয়ে কাগজে মসৃণ বক্ররেখা আঁকা যেত। একদিন একজন ক্লাসে একটা ফ্রেঞ্চ কার্ভ হাতে নিয়ে বলল, “আচ্ছা এই জিনিসটা কি কোনো বিশেষ সূত্র মেনে তৈরি করা হয়?”

এক মুহূর্ত ভেবে বললাম, “নিশ্চয়ই! সব ফ্রেঞ্চ কার্ভই একটা বিশেষ সূত্র মেনে চলে। এই দেখো”, বলে আমার ফ্রেঞ্চ কার্ভটা হাতে নিয়ে বললাম, “এই কার্ভগুলো এমনভাবে তৈরি যে এটাকে যেভাবেই ধরা হোক না কেন, এর সবচেয়ে নিচের বিন্দু দিয়ে একটা স্পর্শক আঁকলে সেটা সবসময় অনুভূমিক হবে।”