লাউপেটু ছেলেটার পরনে কিছুই নেই। শুধুমাত্র কোমরের ঘুনচিতে দুটো ঘুঙুর বাঁধা। বয়স পাঁচ হবে হয়তো। গোল নায়ের মতো পেটখানা সামনে পেছনের দিকে হাত দুটো নবাবি কায়দায় যেন ওর গতরের বৈঠা ধরল।অচেনা কাউকে দেখলে চাঁদ চিলতে হেসে চার আঙুলে কপাল মেপে জানাবে- আত্তালামু আলাইকুম।
'এভাবে আর ভালো লাগে না'- এমনটাই মনে হল নুরুল সাহেবের, ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ন'টা, ঠিক করে বললে দু'তিন মিনিট এদিক-ওদিক হবে হয়তো। শরতের স্বচ্ছ আকাশ, নরম উজ্জ্বল আলোয় চারপাশ। ঝরঝরে বাতাসে চারতলার বারান্দায় চুপচাপ বসে থাকতে খুব একটা খারাপ লাগে না, অন্তত ঢাকা শহরে। এটা কি দখিনে বারান্দা?
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
ইহা ছহীহ ভ্রমণব্লগ নহে
বর্ণনা খুঁজিয়া লজ্জা দিবেন না
দেশ ছাড়ার বছর ঘুরতে চললো প্রায়। জানুয়ারি থেকে জানুয়ারি, ২০১৪ টু ১৫। পাক্কা ৩৬৫ দিন। নির্বাসনের একটি বছর।
ফ্রান্সের শার্লি এঁবদো পত্রিকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড নিয়ে ফেইসবুকে আর বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে । এই ঘটনার বদৌলতে আরো একবার টের পেলাম আমাদের দেশে কি পরিমাণ মৌলবাদী গোঁড়া চিন্তাভাবনার প্রসার বাড়ছে । সরাসরি এই খুনকে সমর্থন করা ভয়ংকর চিন্তাভাবনার লোকজনের সংখ্যা দেখে দেখে আঁতকে উঠেছি । কিন্তু এরা ছাড়াও ফেইসবুকে আরেক শ্রেনী আছে, যাদের বক্তব্য আমার মনে হয়েছে আরও বেশী ভয়ংকর !
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে জনৈক নারী মামলাটি দায়ের করেন। সেদিনই বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় এবং পরদিন সবগুলো দৈনিক পত্রিকায় খবরটি ফলাও করে ছাপা হয়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও নিয়মিত সংবাদ পরিবেশিত হতে থাকে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতেও খবরটি ব্যাপক প্রচার পায়।
চাষী নজরুল ইসলাম মারা গিয়েছেন। তাঁর জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভংগি আর রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তিনি অনেকের সমালোচনার যোগ্য হলেও তবে বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের পুরোধা ব্যক্তিদের একজন হিসেবে তিনি অবশ্যই শ্রদ্ধার পাত্র। আবেগের বশে অথবা হুজুগে মাতাল হয়ে অনেকেই চাষী নজরুল ইসলামের 'ওরা ১১ জন' সিনেমাটিকে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা, 'প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা' ইত্যাদি বলেছেন দেখলাম। কথাগুলো পুরোপুরি সঠিক মনে কর
ভাবছিলাম ফেসবুকের কোন বাংলা এখনো চালু হয়েছে কিনা। যেমন ওভারব্রিজ এর বাংলা করা হয়েছে পদচারী সেতু, আর ফ্লাইওভারের বাংলা হল উড়ালসড়ক! ফেসবুকের জন্য “মুখপুস্তক” নামটা শুরু করা যেতে পারে সেক্ষেত্রে। সারা পৃথিবীই এখন এই মুহুর্তে খুব ভয়াবহ রকমের সোশাল মিডিয়া জ্বরে কাতর! বাংলাদেশে মানুষ এখনো ফেসবুকটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে। টুইটার, হাই ফাইভ বা অন্যান্য সাইটগুলো হয়ত বাংলাদেশের মানুষকে ঠিক ততটা প্রভাবিত করে না। এটা একেবারেই আমজনতাকে চিন্তা করে করা মন্তব্য, কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। বাংলাদেশ এখনও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এমন মানুষের সংখ্যাই তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সোশাল মিডিয়ার জ্বরের এই জীবানু এখনো পর্যন্ত বহুলাংশেই শহুরে জীবনের প্রতিচ্ছবি!