চিন্তা গুলো মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছিল, তাই ভাবলাম লিখেই ফেলি। কথাগুলো নতুন না, শুধু উপলব্ধিটা নতুন হতে পারে। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি চাচারা লন্ডনে থেকে গেছেন, আমার বাবা থাকতে না পেরে ফিরে এসেছিলেন নিজের দেশে। সেই থেকে আমার বাবাকে কেউ কেউ "বঙ্গবন্ধু" ডাকা শুরু করেছিল!
[b]স্বপ্নের জোনাকিপোকা[/b]
১০ ডিসেম্বর
আমার মনে হচ্ছে আমি একটু একটু করে বড় হয়ে যাচ্ছি। আমার আম্মুর ভাষায় আমার জ্ঞান-বুদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু এই বড় হয়ে যাওয়াটা কেন যেন আমার ভালো লাগছে না। আমার ইদানিং খুব ইচ্ছে করে আম্মুকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে কিন্তু পারছি না। সেদিন অনেক বুদ্ধি করে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আম্মুর পাশে শুয়ে শুয়ে বলেছিলাম -
শীতকাল আসি আসি করছে। দুপুরের দিকে এটা বেশ টের পাওয়া যায়। ছোট ছেলেটাকে খাইয়ে বিছানায় দিয়ে এসে পারুল রান্না ঘরের সাফসুতরো করতে করতে শাড়ির আঁচলটা একটু ভালো মতো জড়িয়ে নেয় পিঠের কাছটায়। ঠাণ্ডা বাতাসটা সবার আগে সে তার পিঠেই টের পায়। এই বাসাটার সমস্যা হলো কলঘরটা মূল বাড়ির বাইরে। এই একগাদা বাসন, হাড়ি পাতিল এখন সেখানে গিয়ে ধুতে হবে। এখন কি আর ইচ্ছে করে এগুলি ধুতে!
ছিলো না তেমন কোনো আশা,
যতটা ক্ষণ ছিল ভালোবাসা,
তোমার কথাই ভেবেছি সারাটাক্ষণ।
এই লেখাটি মূলত: আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণার কিছু দলিলের স্ক্রিনশটের ডকুমেন্টেশন। স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এই লেখাগুলো পড়তে হবে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি স্মার্টফোন লাল রঙে ভয় দেখাচ্ছে, “ফগ অ্যালার্ট”, “চান্স অফ রেইন/ড্রিজল”, “স্টে অ্যালার্ট অন দ্যা রোড” আরো কি কি হাবিজাবি। বারান্দায় গিয়ে দেখি চমৎকার সকাল, অল্প কুয়াশা। রেলিং ভেজা। অন্ধকার পুরো কাটেনি। একেবারে আমার মতই শহর মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে, দেখতে ভালোই লাগে। কোন রামছাগলে অ্যাপ বানিয়েছে আল্লায় জানে। কোথায় সে একটা স্লো মিউজিক ছেড়ে কইবে “ওগো শুনছ, বাইরে গিয়ে দেখো সে কী সুন্দর কুয়াশা আর হাল্কা হিম...জ্যাকেটটা পরে বাইরে পিচ্চিকে নিয়ে হেঁটে এসো।” তা নয়, অ্যালার্ট অ্যালার্ট। ফগ অ্যালার্ট। রেইন ওয়ার্নিং। রেড অ্যালার্ট। দ্য জার্মান ইজ কামিং। অ্যালার্ট।
যন্ত্রণা।
আমার বন্ধু মাহমুদ আমার প্রথম ম্যারাথনের দিন আমার ফেসবুক পেজে লিখেছিল “দৌড়া মোটা দৌড়া!
সান্তাক্লজ কিন্তু আমার শৈশবেও ছিল একজন। বাসায় আসতেন সারাবছর, সপ্তাহে দুইবার। সারাবছর কাঁধে তাঁর অবিকল সান্তাক্লজের মত এক ঝোলা। খয়েরি রঙয়ের ইউনিফর্ম পরেই আসতেন বড়দিনে। কিন্তু সেইদিন থাকত তাঁর মুখে এক মধুর হাসি। দোতালার যে বারান্দায় বসে মন্থর দুপুর পার করতাম ফেরিওয়ালার ডাক শুনে, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতাম বড়দিনের বিকেলে সান্তাক্লজের প্রতীক্ষায়।
ব্যাপারটা কিছুই না, জাস্ট প্রেসেন্টেশন। আপনার ছবিকে কম্পোজিশন, লাইট, কালার সব দিক থেকে পার্ফেক্ট করে উপস্থাপন করবেন আপনিই, অন্যকেউ এসে এটা করে দিয়ে যাবে না। সুতরাং আপনার ছবিকে ধরে পোস্ট প্রসেস করে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কে কি বললো এগুলো নিয়ে চিন্তা করে অযথা সময় নষ্ট করার কোনোই মানে হয় না। সেই আদী কাল থেকে 'পাছে লোকে সর্বদাই বলে।' সুতরাং ঝাঁপিয়ে পড়ুন আপনার নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে।