এই গল্পের ঘটনা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন। এক সময় এ নিয়ে অনেক তোলপাড় হয়েছিল। আমি নিজে যে শহরে থাকি সেখানে এমন ঘটেছে জানার পর এ ব্যাপারে আমার লেখার আগ্রহ জন্মায়, কিন্তু কয়েক পাতা লেখার পর থামতে হল। ঘটনা এত অসুস্থ রকমের যে এ নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে যেয়ে আমি নিজেই মানসিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে যাই। যাহোক কি কারণে জানি না, একদিন এক বন্ধের দিনে এই ঘটনার বেশিরভাগ যেখানে ঘটেছে, সেখান থেকে ঘুরে এলাম। কিছু ছবিও তুলে নিয়ে এলাম। এরপর আবার লেখার আগ্রহ জন্মাল। গল্পাকারে লেখা এক বীভৎস সত্য কাহিনী। নিজ দায়িত্বে পড়ুন।
১.জয়নব বছর বিয়োনি। দশ বছর হলো ওর বিয়ের। একটা বছরও শান্তি পায়নি জয়নব। নারী শরীরের অনুর্বরতা যেখানে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় সেখানে নিজ শরীরের ধারণক্ষমতায় খুশি না হয়ে সকাল থেকেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছে জয়নব। মাঘ মাসের এই অসহনীয় শীতের সাথে শরীরের বেকায়দা অবস্থা জয়নবকে আরও অসহায় করে তুলেছে। এই বছর শরীর আর টিকবে না। গত বছরও এমন মনে হয়েছিল জয়নবের। কিন্তু ওর শাশুড়ি সুফিয়া বেগমের নির্বুদ্ধিতার জন্য সে আবারও বেঁচে
বাসার সব সাদা কাগজ পাগলা দেশু ছবি এঁকে শেষ করে ফেলেছে। অনেক খুঁজে শেষে কাগজ পাওয়া গেলো পাগলা দেশুর ডায়েরিতেই। তার প্রথম পাতা থেকে নতুন বছরে সবাইকে গোয়েন্দা ঝাকানাকা, কিংকু চৌধারি আর বদরু খাঁর পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা!
সময়ের নিয়মেই সময় বয়ে চলে, সেই বয়ে চলাতে ভবিষৎ একসময় বর্তমানে এসে পৌছে আর বর্তমান একদিন অতীত হয়ে স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকে। সেই ফেলে আসা অতীতের ভুল-চুক যেমন আমাদেরকে আগামী দিনের পথ চলাতে আরো সাবধান করে, তেমনি অতীতের অর্জন ভবিষ্যতের অজানা পথে সাহসের প্রদীপ জ্বেলে রাখে। ২০১৪র সেই অর্জনের গল্প, আনন্দ-বেদনার গল্প কিংবা ভুল-চুকের গল্প প্রিয় সচলাতায়নে প্রতিটি দিন উঠে এসেছে অসংখ্য সচল-হাচল আর অতিথিদের হাত ধরে
বড়ো বেঘোরে অসম্মানের মরা মরলেন দ্রোণ। নিজের শিষ্য তার চুলের মুঠায় ধইরা তলোয়ার দিয়া মাথাটা আলগা কইরা ফিককা ফালাইল কুরুক্ষেত্রের মাঠে। শত শত লাশের ভিড়ে শেষ পর্যন্ত তার নিজের পোলায়ও শেষকৃত্যের লাইগা খুইজা বাইর করতে পারল না দ্রোণের দেহখান...
জিহাদ মারা গেছে। একটা পরিত্যক্ত পানির পাইপের গর্তে পড়ে। এটুকু সবাই জানে। এর বাইরে আর বেশি কিছু আমাদের জানার প্রয়োজন ছিলো না মনে হয়, তবে অনেক কিছু করণীয় ছিলো। আমরা পারি নি ওকে বাঁচাতে। এটা বড় নির্মম সত্য।
বিদেশে বসে দেশি টিভি দেখার সৌভাগ্য/ দুর্ভাগ্য হয়নি, খবর জানবার হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় আপডেট পেয়েছি, বলা ভালো, গুজব শুনেছি। সেগুলোর অধিকাংশই আর পাচ্ছি না এখন, মুছে দেয়া হয়েছে। যা আছে তার থেকে টুকরো টুকরোভাবে জেনেছি ঘটনা। সত্য-মিথ্যা কিনা জানিনা।
জিহাদ দুপুর/ বিকেলে একসময় খেলতে বেড়িয়ে গেছে, খোলা রেখে দেয়া এক গর্তে পড়েছে, এরপরে তাকে আর পাওয়া যায়নি, যখন গেছে তখন সে আর বেঁচে নেই।
এর মাঝে শয়ে শয়ে বা হাজারে হাজারে মানুষ দেখতে গিয়েছে, সাহায্য করেছে, করতে চেয়েছে। ছুটে গেছে দমকল বাহিনী, ওয়াসা, পুলিশ, রেলওয়ে, এমনকি মাথামোটা মন্ত্রীটিও।
সবার উপরে ছিলেন সাংবাদিকেরা, তাদের যন্ত্রণায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে কিনা তা আমি এখানে থেকে শুধু আন্দাজই করতে পারি, তবে গুজব ছড়াতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য! তারা কি কি ও কি ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছিলো, তার একটি সারাংশ বা সারমর্ম করার চেষ্টা করছি এ লেখায়, কিছু মন্তব্যও জুড়ে দিয়েছি। প্রথম আলো- ডেইলি স্টার মিডিয়ার অধিকাংশ নিউজ আর পাচ্ছি না। তারা হয় সেগুলো মুছে ফেলেছে, নয়তো পরিবর্তন/ পরিবর্ধন করেছে। তাই মোটামুটি বিডিনিউজই ভরসা।
কেন যেন মনে হচ্ছে এই নামে অন্য একটা লেখা আমি আগেই পড়েছি, তাই অবচেতনে শিরোনামটা রয়ে গেছে। যদি তাই হয়, তাহলে একই নামে আবার লেখার দায়ভার আমি নিচ্ছি, কিন্তু বিষয়টা ইচ্ছাকৃত না। নিজের মায়ের মৃত্যুটা খুব কাছে থেকে দেখার পর ক্যান্সারের প্রতি এই অদ্ভুত ভীতিটা বেড়ে গেছে আরও কয়েক গুণ। কিছুদিন আগে একটা লেখা পড়ছিলাম, একজন ক্যান্সার রোগীর লেখা। লেখাটার সারমর্ম হল এই যে, “যখন আমার মৃত্যু হবে আমার সন্তানদের খুব সহজ ভাষায় বলবে যে আমার মৃত্যু হয়েছে, খুব দুঃখ প্রকাশের দরকার নেই, শুধু আমার কিছু ভাল কথা তাদের বল, আর বল যে আমার যদি ক্ষমতা থাকত আমি কখনো আমার সন্তানদের ছেড়ে যেতাম না। অতএব ওদেরকে কখনো বলবে না যে আমি পৃথিবী ছেড়ে আরো ভাল একটা জায়গায় চলে গিয়েছি। শুধু বল যে আমি বেঁচে ছিলাম, এখন আমার মৃত্যু হয়েছে!” “When I die someday just tell the truth: I lived, I died. The end!”
অথচ কোনো নিস্তরঙ্গ সময়ে এখনও স্মৃতির অবয়বে -
বিচ্যুত বিশ্বাস আর ফেরারী সময়।
কিছুটা বিস্মৃতি স্মৃতির জানালা খামচে ধরে নেমে আসে,
খুলে দিলে কিছুটা বিরহী সুবাস, কিছু বিবশ কামনা,
কিছুটা অলস গুমোট এখনও আঁকড়ে ধরে বিনিদ্র দেয়াল।
কাঁটাতার পেরিয়ে এলেই ঘর।
কাঁটাতার পেরিয়ে এলেই দেশ।
কাঁটাতার পেরিয়ে এলেই ঘাস।