সিটে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখজোড়া ঘুমের ভারে প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। এমন সময় সামনের সিটে রাখা হাতের দিকে নজরটা যায়। বিশেষ করে ঘড়ির দিকে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, সেটা নষ্ট।
প্রথম পর্বের পর আবারো বামপালিদের গোড়ালিবন্দী প্যান্ট নিয়ে কথা বলতে ফিরে এলাম।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিষয়টি তৎকালীন গণমাধ্যমে কিভাবে এসেছিল তা নিয়ে সচল ওমর শেহাব ভাই এবং আমার দুটি লেখা ইতিপূর্বে সচলায়তনে এসেছে (শেহাব ভাইয়েরটা এখানে, আমারটা এখানে)। এবারের লেখাটাও ১৫ই আগস্ট এবং গণমাধ্যম সংক্রান্ত। তবে এবার লক্ষ্য হলো সময়ের সাথে ১
ফরমালিন বা বরফ দেয়া ছাড়া মাছ যেমন দিনে দিনে পঁচে যায় তেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রতিদিন নানা বিষয় উত্তপ্ত আলোচনা-সমালোচনা হয়ে হারিয়ে যায়। শ্রেণী বা গোষ্ঠী স্বার্থকে স্পর্শ করে যায় এমন বিষয়গুলো ব্যপ্তি ও গভীরতা বিচারে সপ্তাহ থেকে মাস পর্যন্ত সব ধরনের মিডিয়াতে টিকে থাকে। এরপর নতুন ইস্যু এসে পুরনোগুলোকে চাপা দিয়ে যায়।
এটা একটা ঘুমে পাওয়া গল্প; স্বপ্নে পাওয়া বলবনা কারণ সেরাতে ঘুম আর স্বপ্নের মাঝে আমি একটা রেলপথ বিছানো রাস্তা দেখেছিলাম, চারিদিকে পাথর ঘেরা। এই রেলপথে যে ট্রেনটা চলে সেটা দেখতে অনেকটা শাহবাগের শিশু পার্কের দু’পাশ খোলা ট্রেনের মত যাতে লম্বা প্লাস্টিকের বেঞ্চ বসানো থাকে। আমি দেখলাম যে স্বপ্নের ট্রেনের জন্য আমি অপেক্ষা করছি প্ল্যাটফর্মে। ট্রেন ছাড়ার সময় পার হয়ে গেছে বেশ অনেক্ষণ কিন্তু ট্রেনের দেখা নেই
(১)
একলা। কিছুক্ষনের জন্য কেউ তাকে খুঁজে পাবে না। শুধু একলা। ভাবতেই খুব ভাল লাগে তার। সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে এটুকু সময় বের করতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। শেষ পরযন্ত অবশ্য সব ভালোয় ভালোয় মিটেছে। এখন- এখানে এই নির্জনে এসে তার মনে হলো, অনেক বছর পর একটু নিঃশ্বাস নিতে পারছে।
কঠোর কৃচ্ছ্র সাধনা দিয়েই আরম্ভ হয়েছিল গৌতমবুদ্ধের আধ্যাত্মিক লক্ষ্য অর্জনের পথ চলা। রাজকুমারের জীবনের বিত্ত-সম্পদ আর আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে মাত্র ২৯ বছর বয়সেই সংসার ছেড়ে সন্ন্যাস নেন তিনি। কঠোর কৃচ্ছ্র সাধনার সময় গৌতমবুদ্ধ সাত দিন পর একদিন, পরে পনেরদিন পর একদিন এভাবে খাদ্য গ্রহন করতেন। যা খেতেন তাও এমন কিছু নয়। কখনও ফেলে দেওয়া পশুর চামড়ায় লেগে থাকা মাংস, হাঁড়ির তলার পোড়া ভাত, কিছুই না পেলে গোবর। কখনও
তোমরা বুকে ধরো মাথায় রাখ দেশের মাটি ছুঁয়ে শপথ করো
প্রাণ দেবো তো গান দেবো না, দেবো না সুন্দরবন
ফিরে যাও বিশ্বরাজন
আমরা রুখেই দেবো কয়লার গাড়ি ময়লা জঞ্জাল আর
মহাজনের থলে ভরা কালো বিড়াল।
রুখে দেবো জঙ্গিবাদের ব্যবসা এবার
তোমরা ভয় পেয় না সুন্দরী বন, সবুজ পাখি, সুর ভুলো না
আগুনমুখি পশুর নদী, প্রাণীকুল ছেড়ো না সুন্দরবন
আমরা রুখেই দেবো ষড়যন্ত্রের বাণ
বাৎস্যায়নের 'কামসূত্র' আসলে একটা সাত অঙ্কের নাটক। নাটকের প্রধান চরিত্র 'নায়ক' এবং 'নায়িকা'। নায়কের আবার তিন সহচর: 'পীঠমর্দ' (লম্পট), 'বিট' (চ্যালা), ও 'বিদূষক' (ভাঁড়)। বাৎস্যায়ন এক্ষেত্রে বেশ গতানুগতিক; সংস্কৃত প্রায় নাটকেই এই পাঁচটি চরিত্র পাওয়া যেত। এবং আমাদের যুগের নাটক-সিনেমাতেও এদেরকে দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন যুগের তুলনায় আমাদের যুগে ভাঁড়দের ভাবমূর্তি অনেক খারাপ। এমনকি মধ্যযুগেও ভাঁড়ামোর ছি