কোন কিছু না জেনেই উপন্যাসটির দরোজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেছিলাম। ভেবেছিলাম কয়েক পাতা উল্টে রেখে দেবো। পরে সময় নিয়ে পড়বো। এই লেখকের একটি ছোটগল্প ছাড়া আর কিছুই পড়িনি আগে। কিন্তু উপন্যাসটির প্রথম পাতা শেষ করার পর টের পেলাম ফেলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমাকে এমন একটা জগতে নিয়ে যাচ্ছে যে জগতের ভেতরটা দেখার আগ্রহ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। সহজ সাবলীল ভাষা এবং ঘটনার ঘনঘটা দুটোর যোগফল আমাকে বইটার প্রথম অধ্যায়ের শেষে নিয়ে গেল। একই অবস্থা পরের অধ্যায়েও। কয়েকদিন টানা পড়ে শেষ অধ্যায়ে পৌঁছে গেলাম। পড়া শেষ করে আবিষ্কার করলাম চেনা জগতের মধ্যে অচেনা এক পৃথিবীকে।
উর্দু ভাষায় প্রকাশিত পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘নওয়া-ঈ-ওয়াকতের’ ১৯৭৫ সালের ২রা ডিসেম্বর সংখ্যার শীর্ষ খবরে স্থান পায় বাংলাদেশের ‘বিপ্লব’। লিবিয়ায় আশ্রিত বঙ্গবন্ধুর খুনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষাতকারের বরাতে সেই খবরে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের দুই অংশকে আবার একত্রিকরণের’ উদ্দেশ্যে তারা (বিপ্লবীরা) একটা ‘বিপ্লব’ (১৫ই আগষ্ট) করেছে। সেই খবরে আরও বলা হয়, যদিও কিছু সংখ্যক ‘সাম্রাজ্যবাদি দালালের তৎপরতায়’ বিপ্লব আপাতত বিঘ্নিত হয়েছে (৩রা নভেম্বররের পাল্টা অভ্যুত্থান), কিন্তু ‘পাকিস্তানের দুই অংশের এক হওয়া’ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অক্টোবর ৯, আলাদিনের চেরাগ
অক্টোবর ৮, মাছ
হিমু ভাইয়ের প্ররোচনায় আঁকটোবরের আঁকিবুকির খেলায়
আমার আঁকটোবর শুরু করলাম। বিষয় বুঝতে লিংকটাতে ক্লিক করে দেখে নিন।
একসাথে কয়েকটা দিলাম। শর্টকাটে কাজ সারা যাকে বলে।
পিপিলীকা, গণ্ডার, চেরাগ, পুরুষ
-"আমরা সাড়ে সাতটার দিকে ছাদে যাব"।
বউয়ের কথা শুনে আমি কিঞ্চিত অবাক হলাম। ছাদে আমরা যাই মাঝে মাঝে, কাপড় মেলতে কিংবা টবের গাছগুলোতে পানি দিতে, কিন্তু সেতো বিকেল বেলায়। এই সন্ধ্যায় ছাদে কেন?
-"তখন ওই জিনিসটা দেখা যাবে"।-উত্তর পেলেও ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না, কোন জিনিসের কথা বলছে।
-"আজকে ভিজিবিলিটি খুব ভাল ওই সময়"।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩
তিনটা বিশাল আকৃতির স্যুটকেসে জার্মান জীবন বন্দী করে প্রিয় গোটিংগেনের রাস্তায় নেমে আসলাম। হলুদ ট্যাক্সিতে স্যুটকেস লোড করে চলে এলাম ট্রেন স্টেশনে। এখান থেকে হাই-স্পিড ICE ট্রেনে করে যাবো ফ্রাঙ্কফ্রুর্ট হাউপথবানহফ। এরপর বিমানবন্দর। বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এর ঢাকাগামী বিমানে চড়ে বসা; মধ্যবিরতী দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে।
উইন্টার, ২০১৫
আমাদের স্কুল ছিলো এক আজব মজার জায়গা। শিক্ষকদের মাঝে বৈচিত্রপূর্ণ চরিত্রের যেমন অভাব ছিল না। ছাত্ররাও ছিল তেমনি রঙিন বাহারের। তাদের মেধাদীপ্ত কর্মকান্ড লিখতে গেলে সপ্তকান্ড রামায়ণের প্রায় সমান হয়ে যাবে। তাই বিস্তারিত প্রসঙ্গ থাক। আজ শুধু মোটাদাগে স্কুলের কিছু বিষয়ের টুকিটাকি।
স্কুলভবনের সারল্য