“কোথায় হাঁটতে বেড়িয়েছিলে বাবা?”। সেপ্টেম্বরের এক ছুটির দিনে ভোর সকালের ট্র্যাকিং থেকে বাসায় ফিরে এসে দেখি সোফায় বসে ব্রেকফাস্ট করছে আমার পাঁচ বছরের ছেলে। জবাবে ‘কাম্পোফন্তানা’ বলতেই জিজ্ঞেস করল মারমোত্তা(marmotta) দেখেছি কিনা? উত্তরে ‘না’ জানাতেই অবাক হয়ে বলল “গত সপ্তাহেই না মারমোত্তার ছবি আমাকে দেখালে, আজকে কোথায় গেল ওরা?” দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দিলাম “মারমোত্তার দল ঘুমুতে গেছে, সে এক দীর্ঘ ঘুম………… ঘুম ভাঙবে বসন্তে, এখন শুধুই অপেক্ষার পালা”। সন্তানের বিস্মিত চেহারা দেখে শুরু করলাম মারমোত্তার গল্প, হাতের কাছে উইকিপিডিয়া তো আছেই।
ঈশপের গল্পগুলি একই সাথে সমকালীন এবং চিরকালের। বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
ভালবেসে জেনো ওরাও দিয়েছে লাল,
ওরা দিয়েছিল আমাদের ভালবেসে,
গোলাপের চেয়েও অনেক তীব্র লাল,
ওরা দিয়েছিল বুলেটের মুখে হেসে।
গোলাপের রঙ কতটা রক্তে রাঙা?
কতটা জবায় অতটা রক্ত থাকে?
প্রেমিকার চোখে কত ভালবাসা জমা?
কত ভালবাসা ওরা জমা করে রাখে?
আজকেই নাকি চোদ্দ ফেব্রুয়ারী!
চারিদিকে শুধু ভালবাসা নিয়ে খেলা,
স্মৃতিরা আমায় বিব্রত করে রাখে,
পদ্মা পার হয়ে মাধবদিয়ার চর। সেই চরে রোগী দেখতে গেলেন এক ডাক্তার। রোগী হতদরিদ্র। রোগী দেখার পর যখন প্রেসক্রিপশন লিখছিলেন, তখন ডাক্তার দেখলেন রোগীর বাবা গোয়াল থেকে হালের বলদ বের করছেন। আর একজন বলদের দড়ি ধরে টানাটানি করছে কিন্তু বলদ নড়ে না। বৃদ্ধ কেঁদে কেঁদে বলছেন, “তোরে আমি রাখতে পারলাম নারে। আমারে কোন দোষ দিস না। পরের বাড়িত যাইয়া সুখে থাকিস।”
বেদনার শহরে থাকি বলে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বেদনার উপর বেদনার নতুন একটা প্রলেপ পড়ে- আরেকটি দীর্ঘদিন কাটাতে হবে ভেবে। বেদনার শহর- কথাটি যখন বলে ফেলি তখন নিশ্চিতভাবেই এমন একটা ধারণার জন্ম হয় যে- তাহলে কোথাও বুঝি আনন্দের শহর বলে কোনো জায়গা লুকিয়ে আছে।
সে এক দিন গেছে। তারপর এখন দেখছি সবই বদলে গেছে এই বলে অমিতা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিষন্ন বদনে বসে রইল।
বিয়ের আগে ও পরের পরিস্থিতি এক করলে তো হবে না। কিন্তু এই তফাৎ টা এত বেশী নয় যে জীবন বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়তে হবে। এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। বিজ্ঞ ভাবে মন্তব্য করল সমর। তার পর খাট থেকে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় পায়চারি শুরু করল।
'খুসখুসে কাশি ঘুসঘুসে জ্বর
ফুসফুসে ছ্যাঁদা বুড়ো তুই মর।'
এমনিতে আমার বেশি অসুখবিসুখ হয় না। কিন্তু অল্প যা কিছু হয় সেইটা বেশ ভালই ভোগায়। একটা সময় আমার সুতীব্র ডাস্ট এলার্জির সমস্যা ছিলো, নাকেমুখে মুখোশ এঁটে ঘর থেকে বের হতে হইতো। আজকাল ঢাকা শহরের বেশিরভাগ যানবাহনই সিএনজিতেও চলায় শহরের বাতাস মোটামুটি পরিষ্কার, তারপরেও বসন্তকালটা আমার কাছে সবসময়েই একটা আতঙ্ক নিয়ে এসে উপস্থিত হয়।
আগস্ট মাস, ১৬৫৯। দিল্লী।
নাজিরের কথাঃ
জিনিসটা ধরে আমি মুখ কুঁচকে বললাম, এহ দুনিয়ার রক্ত। এইটা দেখে কিছু বুঝার উপায় আছে নাকি?
আছে, মোতালিব ঘাড় নেড়ে বলল, যে চেনার সে ঠিকই চিনবে। সময় অল্প, বাহাসের সময় নাই। ধুয়ে পরিষ্কার করি আয়। বাইরে পানি আছে না?
‘He was mistakenly born in Bangladesh’—Otto Pfister
আজকের দিনে হাজারো ক্রিকেটারদের ভিড়ে মনে পড়ে গেল, বাংলাদেশের ফুটবলের স্বর্ণযুগের অসাধারণ ফুটবলার মুন্নার কথা। যারা তার খেলা দেখেনি বোঝা সম্ভব না তিনি কী অসাধারণ একজন ফুটবলার ছিলেন!!
গোলাম আজমের মামলা তখন পূর্ণোদ্যমে চলছে। পিজিতো জাতীয় জাদুঘরের কাছেই। অনেকদিন কেবিনে শুয়ে বসে কাটাতে কাটাতে জাদুঘরের প্রভাবে তার মধ্যে শিল্পী সত্ত্বা সৃষ্টি হল। তো সে রংতুলি নিয়ে লেগে পড়ল। তার সৃজনশীলতার বিষয় একাত্তরের বধ্যভূমি। সেসময় তারা বিভিন্ন বধ্যভূমিতে মৃতদেহ ফেলার সময় স্তুপ হওয়ার বিভিন্ন প্যাটার্ন সৃষ্টি হত। সেটির নান্দনিক দিকটিই তার কাজের বিষয়। কিছুদিন পর ছবির হাটে গেল প্রদর্শনী করা নিয়ে কি