Archive - জ্যান 2015

January 28th

আড়িয়ল বিলের মাঝি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০১/২০১৫ - ৭:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC00398
ছোটবেলায় বেলায় মাঝি বলতে একজনকেই চিনতাম। নারাণ মাঝি। ওঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার পাখিওড়া গ্রামে। আসলে পাখিওড়া আর আমাদের গ্রাম পাশাপাশি। সেকালে কাঁটাতার ছিল না। চোরাচালান ছিল অবাধ। নারাণ মাঝিই চোরাচালানিদের ‘সবে ধন নীলমনি’। তাছাড়া পাশাপাশি গ্রাম, গাঁয়ের বেশিরভাগ মানুষই রিফিউজি, তাই আত্মীয়-স্বজনের বিরাট একটা অংশ রয়ে গেছে ওপারে। ইছামতী সেকালেও খরস্র্রোতা ছিল না। তবে এখনকার চেয়ে অবস্থটা বেশ ভালো ছিল। তাই নায়রী পারাপারেও নারাণ মাঝির ডাক পড়ত।


January 27th

তোড়ায় বাঁধা কোবির ডিম

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০১/২০১৫ - ১২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নোটন নোটন কোবিগুলো
ঝোটন বেধেছে
সবাই মিলে কাগজ কালি'র
গুষ্ঠি মেরেছে।


হঠাৎ লেখায় প্রবাসের একটা সন্ধ্যা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/০১/২০১৫ - ৮:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অসময়ের ঘুম, ভাংতেই সব কেমন লাগতে শুরু করল। পাশের স্টুডিওটাতে একটা ইন্ডিয়ান ছেলে থাকে। বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে হাটতে চলতে। ছেলেটা নতুন বিয়ে করেই চলে এসেছে পিএইচডির জন্য। ভাবেসাবে মনে হয় বেশ ধার্মিক গোছের। ঘুম ভেঙ্গেছিল পাশের রুমের পুজার মন্ত্র শুনে, কেমন যেন গা ছমছম করছিল। বিছানা নাই, নিজের ম্যাট্রেসটার উপর গুম হয়ে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষন! শীতের বিকেলে গরম কফির কাপ হাতে নিয়ে বসে থাকতে খুব ইচ্ছা করছিল। সন্ধ্যা হতে খুব দেরী নেই। ঘরে খাবারও তেমন কিছু নেই। নাহ, বের না হলে হচ্ছে না!


আপন হতে বাহির হয়ে - ৬

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৬/০১/২০১৫ - ৮:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ

ইহা ছহীহ ভ্রমণব্লগ নহে, চোখ টিপি
বর্ণনা খুঁজিয়া লজ্জা দিবেন না


January 26th

কোবিদের কারবারে বিরক্ত হয়ে লেখা

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ২৬/০১/২০১৫ - ৭:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশে কাকের চেয়ে কোবি বেশি। কোবি শব্দটার ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। যারা কবি নয়, কিন্তু কবিতাকে আশ্রয় করে কী যেন একটা করতে চায়, তারাই কোবি। যেমন, দৈনিক কোবি। কোবতে লিখতে গিয়ে চ-বর্গীয় শব্দ ব্যবহার নিয়ে দুইদিনের বৈরাগী কোবিদের কথাবার্তা-কারবারে বিরক্ত হয়ে একটা কোবতে লিখলাম। সিস্টেমকে ধ্বংস করতে গেলে নাকি সিস্টেমের অংশ হতে হয়। যদিও কোবতের ভেতরে বর্ণিত কোবিদের একজন হতে পাল্লাম্না এখনও। বড় হয়ে হবো আশঙ্কা করি।

একটা কোবি ছায়ায় বসে, একটা কোবি রোদে


সদ্য পড়া বই – সারসের ডানায় চেপে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ২৫/০১/২০১৫ - ১০:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

41H1SW1HKXL._SY344_BO1,204,203,200_
The world?
Moonlit water drops
from the crane’s bill.

-Zen Master Dogen, thirteenth century Japan


মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ১২

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: রবি, ২৫/০১/২০১৫ - ৬:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অভিষেকের আসরে হায় হায় করে যুধিষ্ঠির- মানুষ হারতে হারতে জিতে আর আমি হতভাগা জিততে জিততে হারি। কী পাইলাম আমি যুদ্ধ কইরা?


January 25th

প্রেম

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: রবি, ২৫/০১/২০১৫ - ৩:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাহাড়ে বেড়াতে এসে যে মেয়েটি নিঃসংকোচে
নাচে খুব- হাততালি দেয়
কঠিন হবেই তাকে উপেক্ষা দেখানো-
সুতরাং- ও পথে যেও না।
তোমার উদারনীতি অভিজ্ঞ প্রজ্ঞা
হৃৎপিন্ডে উৎকণ্ঠায় বাজাও-
কাপড় শুকাতে সে ছাদে এসে ভুলে যাবে
এর পরে নাওয়া-খাওয়া আছে

ঘুমে তার ছায়া হয়ে মারোয়ার ধুন
গভীর ঘুমের পথে খরনদী- তুমি হে কান্ডারি
যে সাপ ঘুমালো সবে তাকে আর জাগিওনা
তুমি হে কান্ডারি- দুঃসাধ্য ধাঁধার মতন,


রবিবার এবং কফি – ৬

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৫/০১/২০১৫ - ১:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার গল্প চার, বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ি। মোটামুটি স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে বেড়ে উঠছি, এটাই মনে হতো তখন। সারাদিন খেলাধূলো, নতুন নতুন বন্ধু... জীবন অনেক পূর্ণ ছিল।


আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে নির্বিরোধী ছেলেটির নাম ইয়াসির

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৫/০১/২০১৫ - ১:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১।
বাসায় ফিরে রাতে অনলাইনে পত্রিকা পড়ছিলাম। আমার এখানে রাত হলেও দেশে এখন ভোর সকাল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পত্রিকায় এত বেশি নৃশংসতা যে, দেশটাকে ইদানিং যুদ্ধক্ষেত্র মনে হয়। অমানুষের দল আজকে আবার একটি বাসে পেট্রল বোমা মেরেছে। এবারের ঘটনা যাত্রাবাড়ীতে। সে বোমায় ২৮ জন আগুনে পুড়ে গেছে। তাদের মুখ, শরীরের চামড়া, শ্বাসনালী ঝলসে গেছে। পত্রিকার পাতায় বীভৎস ছবি গুলোর বিভিন্ন জায়গা ঝাপসা করে দেয়া আছে। তবু ছবি গুলোর দিকে তাকাতে পাড়ি না। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া মানুষের ছবি দেখার মত সাহস আমার নেই। তাই ছবি গুলো এড়িয়ে কোন রকমে খবরটা শুধু পড়ি। যাত্রাবাড়ী নামটা শুনে বুকটা দুরুদুরু করে কাঁপছিলো। এখানে আমার ভাই-বোন-বন্ধু-আত্মীয়-স্বজনরা থাকে। এই এলাকার রাস্তা দিয়ে তাদের প্রতিদিন আসা যাওয়া.....