[justify]সেদিন সংস্কৃতিকর্মী ও দেশে বিদেশের প্রধান সম্পাদক নজরুল মিন্টোর ‘ভাষার বিকৃতিরোধ আবশ্যক’ পড়ার চেষ্টা করছিলাম বিডিনিউজ২৪ এর মতামত বিশ্লেষণে। এটা ভালো লেগেছে যে বিডিনিউজ২৪ সবদিকের মতামত প্রকাশের চেষ্টা করছে। নজরুল মিন্টোকে তার মতামত প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ জানাই। ওনার মাধ্যমে অনেক ভাবনা সম্পর্কে আমরা অবগত হই। ওনার লেখাটি একটি বদ্ধ ঘরের খোলা জানালা হয়ে ঘরের ভেতরটা আমাদের দেখতে সাহায্য করেছে। আমি বেশ কয়েকবার পড়ার চেষ্টা করেছি। এখনো করছি। ওনার লেখার একটি পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা কখনোই সম্ভব হয়ে উঠবে বলে মনে করি না। আমি সমালোচনার চেষ্টাতেও যাবো না। বরং ওনার লেখাটার একটা-দুটো বিষয়ের পুনর্পাঠ করি।
‘হ্যালো, জিমি ভাই লেখাগুলো মেইল করেছিলাম, পেয়েছিলেন?’
‘হ্যাঁ নিলয়, কী অবস্থা আপনার? কালকেই চাইলাম আর আজকেই পাঁচটা গল্প লিখে পাঠিয়ে দিলেন?’
‘হ্যাঁ, এই তো লেখা হয়ে গেল।’
‘এত তাড়াতাড়ি কীভাবে লেখেন আপনি বুঝি না। কারো কাছ থেকে কপি-টপি করেন নি তো?’
‘আরে না, কার লেখা থেকে কপি করব আর?’
‘আমার কিন্তু ডাউট হচ্ছে বুঝলেন, সত্যি কথা বলেন মিয়া- কেসটা কী?’
‘বলব? ইয়ে...কাউকে বলবেন না তো?’
‘’মামা, আরো জোরে বল কর।‘’- ৬ বৎসর বয়সী অভ্রের কোন ক্লান্তি নেই। সেই সকাল থেকে টানা ব্যস্ত রেখেছে নির্ঝরকে। কখনো প্লেন নিয়ে, আবার কখনো পুচকে ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে। কখনো সখনো করছে গল্প শোনার আবদার! আবার সময় করে কার্টুনও দেখছে মামাকে নিয়ে। কোন আনন্দই বাদ দিতে রাজী নয়। অথচ পড়াশোনায় একদম মন নেই। রীতা ভাবির মেয়েটা কত ভাল রেজাল্ট করেছে স্কুলে!
[ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা ১৯৬৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। ‘স্নো কান্ট্রি’, ‘থাউজ্যান্ড ক্রেনস’, ‘দ্যা সাউন্ড অফ দ্যা মাউন্টেন’ উপন্যাসগুলোর জন্য বিখ্যাত হ’লেও কাওয়াবাতা নিজে বলতেন তাঁর শিল্পকে সত্যিকারভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে হাতের পাতায় এঁটে যাওয়া কিছু ছোট,ছোট গল্পে। ১৯২৩ থেকে শুরু করে ১৯৭২-এ আত্মহত্যা করবার কিছু আগে পর্যন্ত তিনি লিখে গেছেন হীরের কুচির মত এমন অনেক গল্প। এই গল্পগুলো স্বপ্নের
১।
পাহাড়ী পাথর ধরে প্রস্রবণ,
অথচ প্রস্রবণেও থাকে পাথর শীতল সব।
ব্যাপারটা বেশ কঠিন ও কোমল,
নাকি এতোটা পথ একা যাওয়া ঠিক নয়,
গন্তব্যে পৌঁছালে যখন সকলেই আবার একাকী একলা।
২।
একবার কোন নদীকে ভালোবাসো
দেখবে আর কাউকে ভালোবাসা সহজ নয়।
একটা নদীকে ভালোবেসেছিলাম,
তাই তোমাকে আর ভালোবাসা হয়ে ওঠেনি,
তুমি কাছে এলেই মনে হতো কতো জনপদ
ঘুরে তবে জলেশ্বরী এসেছিলো কাছে -
চার মাস। পাক্কা চার মাস এই শহরে। দীর্ঘ পনেরো বছর পর এতটা সময় আমার এই শহরে। আজন্ম শৈশব এখানে কেটেছে আমার। তারপর সদ্য কৈশোর পেরিয়েই এই শহর থেকে অনেক দূরে। কখনো কোন নিরালা বসন্তের ছুটিতে খুব বেশী হলে এক সপ্তাহ কিংবা কখনো আরও দিন কতেক বেশী, বড় জোড় দিন পনেরো- এর চেয়ে বেশী গত দেড় দশকে কাটেনি এই শহরে একটানা।
লাল টিপ ছবির ব্যাপক প্রচার প্রচারনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশীয় চলচিত্রের উন্নতি সাধনের মহান ব্রত নিয়ে বলাকা সিনেমা হলে দেখে আসলাম লাল টিপ। আধা প্যারিস আধা ঢাকা-ধামরাই এ ধারনকৃত লাল টিপ ছবি দেখে যা মনে হল তা বলার ভাষা নেই! ছবি দেখে যে টিপের কথা মনে হল সেটাই কার্টুনে আঁকাবার চেষ্টা করলাম!
ভারত বনধ কর্মসূচির নামটি সম্ভবত এই পোস্টের পাঠকের কাছে ইতিমধ্যে পরিচিত। পরিচিত হয়ে না থাকলে, অনুগ্রহ করে লিঙ্কটিতে ক্লিক করে আমাদের পূর্ববর্তী আলোচনা দেখে আসতে পারেন।
থার্ড ইয়ারে পড়ার সময় বান্দরবান গিয়েছিলাম। ট্রেকিং। রুমা বাজার থেকে কেওকারাডং তাজিনডং হয়ে থানচি। এরপরে থানচি থেকে চান্দের গাড়িতে বান্দরবান শহর। রুমা বাজারে আর্মি কমান্ডার ছিলেন সেকেন্ড লেফটেনান্ট ইফতিখার। আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়ার, ফৌজদারহাট ক্যাডেটের। চিনতামনা কিন্তু গিয়ে কথা বলার পরে মেলা পরিচিত লোক পাওয়া গেল। তার সাথে ঝিরি দেখতে গেলাম, সে এক কান্ড। ওখানে আর্মি সোলজারের নিরস্ত্র ঘুরাফিরা নিষেধ, তাই তিনি আর এক সৈন্য নৌকায় উঠলেন একে ফর্টি সেভেন বা ওইরকম কিছু সহ। নৌকায় উঠেই কমান্ডার ঠ্যাং ছড়িয়ে ঘুম, পাশে আমি যেমন বই নিয়ে ঘুমাই সেইরকম তার পাশে অটোমেটিক অস্ত্র।
ওরা আর কতটুকুই জানে?
শুধু আমিই জানি ভ্রমের বিলাস,
মুখের মুখোশ, নিত্য বাহাস।
আদ্যপান্ত জানা আমার
অজানা নয় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমা
কত হাত বদলাও, কত হাতে হও জমা!
ওরা আর কিইবা জানে?
কেবল আমিই জানি ভিতর-বাহির,
রঙের খেলা, ভুলের তিমির।
মুখবন্ধ জানা আমার
এই দিচ্ছি লিখে শেষ পাঠ।