“শইদুল ভাই, ও শইদুল ভাই।“
ইসমাইলের ঠেলায় ঘুম ভাঙ্গে শহীদুলের। ভোর হয়ে গেছে এত জলদি? ধুর। পিঠের ব্যথাটা আরো পোক্ত হয়েছে মনে হচ্ছে, কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু উঠতে হবে, খদ্দের চলে আসবে কিছু ক্ষনের মধ্যেই। মালিক উঠে তাড়া দিবে আরেকটু পর।
উঠে পিছনে গিয়ে সকালবেলার কাম সেরে দাঁতন দিয়ে দাঁত খিলাতে শুরু করে শহীদুল, ততক্ষনে ইসমাইল হাঁড়িকুড়ি নামিয়ে ফেলেছে। ওইগুলো সাফা করায় হাত লাগায় শহীদুল।
[ধারাবাহিক ভাবে সমগ্র বিশ্বে সহিংস নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান ও চিত্র তুলে ধরার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস]
সেই প্রাচীনকাল থেকে যে কোনো বিচার-শালিশ, মিটিং-দরবার ইত্যাদি ইত্যাদি জায়গায় কোনো না কোনো মাষ্টারের থাকাটা অতি-আবশ্যিক একটা ব্যাপার। কারণ যে ঠিক কোনটা, ঠিক বুঝি না। জ্ঞান-গরিমা, প্রচুর কথা বলতে পারার ক্ষমতা, সভার শোভাবর্ধন, যে কোনোটাই হতে পারে। তবে বাংলাদেশে লোডশেডিং কম হয়, এটা শুনলে যেমন অনুভূতি হয়, ঠিক একই অনুভূতি হয় যখন শুনি, মাষ্টাররা কথা কম বলে । অথচ এইরকম অভিযোগ আমাকে প্রায়ই শুনতে হয়।
আমার শৈশব অথবা কৈশোরকালের স্মৃতিতে 'বর্ষবরণ' বলে কিছু নেই। এ ধরনের কোন আনুষ্ঠানিকতার কথাও তখন জানতাম না। সে সময়ের স্মৃতিতে যা আছে সেটা হলো, পহেলা বৈশাখের আগে-পরে কয়েকদিন ধরে 'চৈত-সংক্রান্তি'র মেলা ও 'বৈশাখী' মেলা বসতো। আমার শৈশবে বড় ভাই-বোনদের হাত ধরে মেলায় যেতাম। মেলায় পৌঁছে দেখতাম তাদের আনন্দ-উল্লাস। তারা বন্ধু-বান্ধবদের পেয়ে তাদের সাথে আনন্দে মেতে উঠতো। আমার কথা তারা ভুলেই যেত।
বাংলা নববর্ষে আমরা অনেক সাজব। হলুদ বা লাল-সাদা শাড়ি পরে ঘুরব বন্ধুদের বা বন্ধুর সাথে। পান্তা দিয়ে ইলিশ মাছ ভাজা মন চাইলে খাব। ফুচকা খাব, মুরলি খাব, যা মন চায় তা খাব। চুড়ি কিনব, বাঁশি কিনব, পুতুল কিনব। চিৎকার করব, লাফালাফি করব।
ছাগুদের তাতে কি?
একদিকে আমাদের চামড়া মোটা, আমাদের ভেতরে খুব সহজে কিছু ঢোকে না। আবার ঢুকলেও কীভাবে যেন আমরা খুব দ্রুত ভুলে যাই, আমরা খুব দ্রুত ভুলে যেতে ভালবাসি। আমাদের চাই প্রতিদিন ব্র্যান্ড নিউ খবর, তাও ছাপার অক্ষরে হালকা বা ঝাপসা খবরে আমাদের চলে না, আমাদের চাই একেবারে ভিডিও। সেই কবেকার কথা! জানুয়ারীর প্রথম দিকের কথা! তিনমাস হয়ে গেল। এত আগের কথা কি আমাদের মনে আছে? মনে থাকে?
একেলা আকাশে ঘুমিয়েছে অন্ধকার
অন্ধকারই পাশে রাখছো নিত্যদিন
অন্য আবেগে
ভাষা জানি না, তবু বলছি অনেক কথা
ইচ্ছা-আত্মজিজ্ঞাসা, এক ইঞ্চিও নড়ে না
মানাভিমানে আমাদের অনেক কথা হয়
ভালোবাসা হয় না...
ভেতর-বাহির দু’রকম ভাবায় এই
ভেতরটা দেখতে চাই; খুলে ধরো
বুক, চিবুক, আমি মিলিয়ে যাই
অপেক্ষা আমাকে বুঝতে এতটা প্রীতি
গভীরে টানো দুই ভাগ করো, কেন
এই একটি চিহ্নে দেখো প্রতিশ্রুতি
আমিতো জানিই আমার পরিণতি
তোমার লাস্য চোখের লবণ জলে
ইচ্ছের নৌকো ভাসানোর শেষ ইচ্ছে
পূরনেও ব্যর্থ ; এক করূণ নিয়তি।*১