অনেকদিন ধরেই লিখব লিখব করেও লেখা হয়না। এবার ঠিক করলাম লিখেই ফেলি।
এক দশক আগে বান্দরবান ও রাঙামাটিতে ট্রেকিঙের সূত্রে বহু দুর্গম ও নয়নাভিরাম জায়গা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে, কিন্তু সেসব অভিযান যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ছিলো। ট্রেকিং বা হাইকিং বাংলাদেশে এখন মোটামুটি জনপ্রিয় হলেও পর্যটনের একটা ক্ষীণ ধারা হিসেবেই রয়ে গেছে। সিংহভাগ মানুষই চায় বেড়াতে গিয়ে কিছু আয়েশ করতে। বারো কেজি ব্যাকপ্যাক নিয়ে টানা ২১ ঘন্টা পায়ে হেঁটে ৬০-৭০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ টপকে কোথাও যাওয়ার মতো তেল বেশিরভাগ পর্যটকেরই থাকে না। তবে এ কারণেই হয়তো পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু জায়গা এখনও ছবির মতোই সুন্দর রয়ে গেছে। কারণ বাঙালি পর্যটকরা কোথাও গেলে সেই জায়গাটা যথেচ্ছ নোংরা করে দিয়ে আসে।
গাছ ১০১
বিষয়টা সহজ নয়, তাই আগেই কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড স্টাডি করে নেব। প্রথম বিষয় হচ্ছে গাছ বা ট্রি। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ভূততত্ত্বে গাছের ভূমিকা অপরিসীম। কে না জানে মামদো ভূত থেকে শুরু করে কুলো ভূত সবাই কোন না কোন গাছে বসবাস করে। তবে ফ্যাশন সচেতন হওয়ায় মহিলা ভূত অর্থাৎ পেত্নীদের পছন্দের গাছ হচ্ছে শেওড়া গাছ। অন্য দিকে কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা তাদের সহায় সম্বল অর্থাৎ তথ্য লুকানোর জন্য গাছ ব্যবহার করেন। তারা তথ্য রাখেন গাছের কান্ড যেখানেই ভাগ হয়ে নতুন শাখার জন্ম দিয়েছে সেখানে কিংবা গাছের পাতায়। ডালগুলোকে অবশ্য তারা তেমন ঘাটান না, মাঝে মাঝে রঙ করা ছাড়া।
এক টুকরো মেঘ ছুয়ে রোদ্দুরালোকিত হতে চেয়েছিলো মেয়েটি। আর দশজন মানুষের মতোন স্বাভাবিক একটি জীবন যাপন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতাই যেনো তার জীবনের নির্মম অভিশাপ হয়ে দাড়ালো!
আমারই পাশে শুয়ে থাকে সে
আমারই সাথে হাসে, কাঁদে, গায়
ভরদুপুরে ভাতঘুমে শারদ সংখ্যায়
আমারই সাথে তারও ভারী হয়ে আসে চোখ।
সকালে হেডলাইনে অহেতুক উত্তেজনায়
সেও খুঁজে কবিতা আমার, সাহিত্যপাতায়।
কড়কড়ে মুড়ি আর গরম চায়ের পেয়ালায়
তারো মনে হয় আহা, শুধু তুইই নাই।
টক শোতে দেরী হলে - আঙুল ছুঁয়ে হাতে
সেই বলে এই যে ঘুমুচ্ছো বেশী রাতে,
ভোরে স্বপ্নের দলে সে কি আর ধরা দেবে?
আমিও ভাবি, তারই মতো,
সবকিছু ভুলে যাবার পরে যেটুকু মনে থাকে তাই শিক্ষা। বসে বসে ভাবছিলাম কি কি মনে আছে। সেই ১৯** সাল থেকে শুরু। মনে পড়লো প্রতিক্লাসে খান কতক কবিতা পড়তে হত। ছোটক্লাস গুলোতে সেই কবিতার প্রথম ১০ বা ১২ লাইন মুখস্ত লিখতে হত। আমাদের স্কুলটা ভালো ছিলো, প্রথম ১০-১২ লাইন পারলেই কাজ চলত। আমার ভাইয়ের স্কুলটা তেমন সুবিধার না, ওদেরকে মাঝে মাঝে কবিতার শেষ ১২ লাইন লিখতে দিত।
ভালো করে তাকালেই মনে হবে
দিঘীটার জলে জোছনার ফুল ফুটে আছে
তখন অনেক রাত, তখন জোছনা পরিপক্ব
তখন জোছনা হীরার কুচির মতো
কথার-খেই-হারিয়ে-ফেলা-কোন-বৃদ্ধের চোখের মতো জোছনা তখন...
অথবা-সে জোছনাই নয়,
নগ্ন কোন যুবতীর মৃত লাশ জোছনার মতো
দীঘিটার এপাড় ওপাড় জোছনার মতো
তখন অনেক রাত, তখন জোছনা পাগলপারা
অথবা আপনি জীবনের সব অভিজ্ঞতা হাতের মুঠিতে
নিয়ে সসংকোচে দাঁড়াতে পারেন দীঘিটার ঘাটে