Archive - জুল 2018

July 27th

নৈরঞ্জনা(৬)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৭/২০১৮ - ৭:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৬।
আমরা ফিরে যাচ্ছি আদিত্যনগর থেকে। প্রায় শেষরাত্রে উঠে তৈরী হতে হয়েছে, তারপরে আবার ঐ অত ভোরেও ডক্টর আদিত্য আমাদের জন্য ব্রেকফাস্টের আয়োজন করেছিলেন, কিছুতেই না খাইয়ে ছাড়েন নি। আমি অবশ্য চা আর টোস্ট ছাড়া আর কিছু খাই নি। কাশ্মীরাও টোস্টও খায় নি, শুধু চা আর একটা বিস্কুট খেয়েছে।


“মায়ের দোয়া”র শিকড় সন্ধানে : ষষ্ঠ পর্ব

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৭/২০১৮ - ১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মঙ্গলকাব্য গুলোয় দেখি দেব-দেবীরা যেন অনেকটাই মরনশীল মানুষের আদলেই উপস্থাপিত। ব্রাহ্মণ্য সংস্কারে যেমন দেবতারা দূর স্বর্গলোকের অধিবাসী, মর্ত্য মানুষের সীমাবদ্ধতার অনেক উপরে অবস্থান করে, মঙ্গলকাব্যের দেবতারা তেমন নয়। এই দেবতাদের নিয়ে ভক্তরা ঠাট্টা করতে পারে, নিজের পাশের বাড়ির মানুষের মত কোন আনুষ্ঠানিকতা না রেখেও আচরণ করতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যও আদিম সমাজেরই পরিচায়ক। বৈদিক সাহিত্য যখন রচিত হচ্ছে তখনই বৈ


আমার আটপৌরে স্ত্রী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৭/২০১৮ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমার প্রবাস জীবন মোটামুটি আনন্দময়। আর এই আনন্দময় জীবনের বেশীরভাগই আমার স্ত্রীর অবদান। সে একেবারে খাঁটি বাঙালী বধু, গৃহকর্মে অতি নিপুণা। বিদেশে এসে বেশীরভাগ অবলা বাঙালী নারীরাই বেশ সবলা হয়ে উঠে। আমার স্ত্রীটি এখনও সেরকমটি হয়ে উঠতে পারেনি। ঘরের বাইরে একা বের হওয়া তার সাধ্যের বাইরে। রাস্তা পার হতে গেলে আমার হাত চেপে ধরে পার হয়। আমাদের বাসার পাশের গ্রোসারি শপ। সেখানেও সে একা যাওয়ার সাহস করে উ


July 25th

বেবি ইউ আর বিউটিফুল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বুধ, ২৫/০৭/২০১৮ - ১১:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ক্লাস শেষ হবার ঘন্টা বাজলে শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে নিচে নেমে এসে অস্থায়ী প্রতিবন্ধকের পেছনে নিজেদের জায়গায় দাঁড়ায়, তাদের সামনে শ্রেণী শিক্ষক আর তাঁর সহযোগী। প্রতিবন্ধকের সামনে পরিচয়পত্র হাতে অভিভাবককূল লাইনে দাঁড়ানো। একজন একজন করে শিক্ষার্থীদের নাম ধরে ডাকা হচ্ছে আর তার অভিভাবক পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাকে নিয়ে যাচ্ছেন। বাবানের নাম ডাকতে দিশা পরিচয়পত্র হাতে এগিয়ে যায়, দেখা গেলো বাবানে


July 24th

গ্রীষ্মের কয়েকটি দিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৭/২০১৮ - ৩:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের বাগানের পশ্চিম পাশটায় সূর্যের আলো খুব একটা আসেনা। রোদ না পেয়ে একেবারে যা তা অবস্থা ঘাসের। হামবার নার্সারির ম্যানেজার আলফান্সোর কথামতো গতো দু-মাসে চার বার সার দিয়েছি। সার মানে কম্পোস্ট, যেমন তেমন নয়, পাহাড়ি ভেড়ার নাদি মেশানো কালো কালো মাটির দলা। সেই দলা রোদে শুকিয়ে, হাত দিয়ে ভেঙে, গুঁড়ো গুঁড়ো করে মেশাতে হয় ঘাসের গোড়ায়। কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং উৎকট গন্ধে এদিকে আসাই দায়। একগাল হেঁসে আলফান্সো বললো, সারে কাজ হবে না।


July 18th

একটি ইঁটের আত্মজীবনী

মৃদুল আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃদুল আহমেদ (তারিখ: বুধ, ১৮/০৭/২০১৮ - ১১:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুশো সতের তলা বাণিজ্যিক ভবন থেকে পড়তে পড়তে ইঁটটি ভাবছিল, আজ কেউ মারা না যাক।

কিন্তু একশো আটানব্বই তলায় প্রিয়তম স্বামীটি তখন প্রাইভেট সেক্রেটারির অন্তর্বাসের ফিতের জট খুলছিল।

আর একশো বিয়াল্লিশ তলায় প্রবল আশাবাদি তরুণটি সিলিংফ্যানে বাঁধছিল গলার দড়ির অপর প্রান্ত।

ওদিকে বিরাশি তলায় কমিটির নির্বাচনী মিটিংয়ে মারামারি। ভাঙা কাঁচের গ্লাস। তোবড়ানো এজেন্ডা। থুতনিতে কালশিটে।


July 12th

পতন

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৭/২০১৮ - ৩:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্লেনটি যখন হাজার টুকরো হয়ে দুপুরের আকাশে আতশবাজির মত ফুটছিল তখনও ফেরদৌস মরেনি। হাত পা চারদিকে চাগিয়ে দিয়ে তীব্র বেগে সে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। এটাই ছিল তার জীবনের প্রথম এবং সম্ভবত শেষ প্লেন ভ্রমন।


শাহাদুজ্জামানের ' একজন কমলালেবু'-

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৭/২০১৮ - ১২:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছু বিষাদ হলো পাখি। সম্ভবত প্রতিটি বাঙালি কিশোরের প্রথম ঈশ্বর দর্শন হয় জীবনানন্দের কবিতা পড়ে।
বছর কুড়ি বা তারও বেশি আগে, কোন এক মেঘলা মফস্বলের চুপচাপ দুপুরে, প্রায় হঠাতই হাতে আসা নিউজপ্রিন্টের দুর্বল কাগজে ছাপা একটা বইয়ের ভেতর আমি প্রথম চোখ মেলে দেখি, সেখানে অলস গেঁয়োর মত এক টুকরো ভোরের রোদ মাথা পেতে শুয়ে আছে ধানের উপরে। একটা ইগনরেন্ট দানবের মত অবহেলাভরে সেই যে জীবনানন্দ আমাকে ছুঁয়ে দিলেন, সেই ঘোর আমার আজও কাটেনি, মনে প্রাণে চাই, কখনও যেন না কাটে।


July 11th

খৈয়ামি রুবাই: ১. সুরার গ্রাস

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ১১/০৭/২০১৮ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অন্ধের হঠাৎ দেখার সাধ হলো—এক বাক্য ফার্সি না জেনেও অনুবাদ করতে বসে গেলাম খৈয়ামি রুবাই। ‘খৈয়ামের’ রুবাই না, ‘খৈয়ামি’ রুবাই। স্বামী গোবিন্দ তীর্থ ১০৬৯টি খৈয়ামি (বা ওমরীয়) রুবাই মূল ফার্সি থেকে প্রথমে মারাঠি (‘গুরু করুণামৃত’) এবং পরে ইংরেজিতে (‘দ্য নেক্টার অফ গ্রেইস’) অনুবাদ করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে স্বয়ং ওমর খৈয়ামের লেখা রুবাই ৭২ টা


July 8th

ফুটবল

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১৮ - ১১:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

- তুরা না ইণ্ডিয়া য্যাসছিসগে, ঢাকা কলেজ ক্যান যে ত্যালি ভর্তি হতি গেলি রঞ্জু!
এহেবারে ইণ্ডিয়া গিয়ে ভর্তি হলি তো ঝঞ্জাট কম হত তুগের, তাইনে?