আঙুলের নখে একদিন খুব অবাক হয়ে খেয়াল করেছিলাম সাদা সাদা বিচিত্র আকারের সব আলপনা। ভয় পেয়ে মা'র কাছে ছুটে গেলে মা হেসে বলেন, " তোর জন্য উপহার নিয়ে উড়ে আসছে রঙিন প্রজাপতির দল।" মা আমার এমন করে কথা বলত যেটার মধ্য দিয়ে আমি এক একটা ছবি দেখতে পেতাম। প্রজাপতিকে আমি ভাবতাম একটা উড়ন্ত ফুল। অমন বর্ণিল একটা ফুল উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ায় ফুলের বনে, তার দিকে শুধু তাকিয়ে থাকাটাও একটা আনন্দ। তাই তার প্রেমে পড়তে আ
[center][justify]টলটলে পানির একটা পুকুর। ওরকম এখন আর পাওয়া যায় না আমি জানি কিন্তু আমাকে পেতেই হবে। কীভাবে হবে সেই মাথাব্যাথা আমার না। তারপরে তাতে দাপাদাপি করতে হবে। অনেকটা সময়। যতক্ষণ না চোখ লাল হচ্ছে, নাক সুড়সুড় করছে বা মা যতক্ষণ পুকুর পাড়ে এসে হুমকি না দিচ্ছে।এই ঝাপাঝাপি করার পরে ভীষণ একটা ক্ষুধা, দুনিয়ার সব খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করবে।
পরীক্ষামূলকভাবে ফেইসবুক কানেক্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি লগইন ডায়ালগের উপর "কানেক্ট" লেখা বাটন যুক্ত করবে। এটি ক্লিক করবেন না।
অনুগ্রহ করে আপাতত এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এটি না ব্যবহার করা স্বত্ত্বেও কোনো রকম অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা গেলে এই পোস্টে জানাতে ভুলবেন না।
ডেইলি স্টার আয়োজিত “অদম্য চট্রগ্রাম” উৎসব গত বেশ কিছুদিন ধরে চট্রলা বাসীকে মাতিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে নানা ধরনের প্রতিযোগীতা আয়োজন উৎসবের মধ্যে একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চট্রগ্রাম নিয়ে তোলা ছবি দিয়ে একটি ফটোগ্রাফী কম্পিটিশন আয়োজন করা হয় যার প্রদর্শনী চট্রগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে অনুষ্টিত হয় গত ৩০ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিযোগীতায় প্রায় ছয়শ পঞ্চাশটি ছবি গৃহিত হয় যার মধ্যে হতে
যারা জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কোন না কোন কলোনিতে কাটিয়েছেন তাদের এই লেখাটা না পড়ার জন্য অনুরোধ করছি, কারণ ‘কলোনি’ শব্দটা শোনার সাথে সাথে তাদের মনে এতো বেশী স্মৃতি ভীর করা শুরু করবে, যে সেই স্মৃতির ঢেউ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আমার এই সামান্য লেখাটা খড়কুটোর মতো ভাসিয়ে নিতে পারে। আর যাদের জীবনে কখনো কলোনিতে থাকার সুযোগ হয় নি তাদেরকেও এই লেখাটি না পড়ার জন্য অনুরোধ করব কারণ এটা তাদে
রাগের মাথায় ভারী গ্লাসটা ছুঁড়ে মারতে গেলেন। অঞ্জনী ওঠা চোখ দুটো ক্রোধে টকটকে লাল।
পেছনে মা বসে ছিলেন , " কি করছ তুমি ? " কণ্ঠে সীমাহীন আতঙ্ক।
ছোঁ মেরে বাবার হাত থেকে কেড়ে নিলেন গ্লাসটা , " পাগল হয়ে গেলে নাকি!"
কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন।
থমথমে , গরম পরিবেশ । পর্দা ঢাকা ঘরে আলো ঢুকতে না পেরে বাতাসটাও গুমোট। বদ্ধ একটা ঘরোয়া গন্ধ চারিদিকে।
শুধু একজনই নির্বিকার । ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ।
কোলকাতা আক্রান্ত। ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ ঘিরে মুহুর্মুহু কামান দাগছে নবাবফৌজ, চলছে তুমুল লড়াই। উমিচাঁদের বিশাল বাগানবাড়িতে বসে ছক কষছেন তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলা। এইরকমটাই আমরা দেখেছিলাম গত পর্বে। আজ দেখব কোলকাতার পতন এবং অন্ধকূপ হত্যার বিবরণ।
এক দুপুরের হঠাৎ মেঘ-
দুপুর হতে হতেই মেঘের বান ডাকলো আকাশে। নিঃশব্দে সমস্ত চরাচর ডুবে গেল বিবশ এক অন্ধকারে। টেবিলের উপর রাখা বই খাতা কলম সবই ঠিক আছে, কিন্তু কলম নিয়ে লিখতে গিয়ে টের পেলাম খাতাজুড়ে সেই মেঘের অন্ধকার কালি ছড়িয়ে গেছে, লিখতে পারছি না। বন্ধ জানালা দিয়ে দূরে তাকালাম। ধুসর অন্ধকার চারদিকে। মাথার উপর জ্বলতে থাকা দুটো টিউবলাইটও সেই অন্ধকার ছাড়াতে পারছে না। বই খুলে বসলাম, সেই বইয়ের অক্ষরগুলো লেপ্টে গেছে অন্ধকারে। পড়তে পারছি না। তারপরই নামলো ঝুম বৃষ্টি। আবার বাইরে তাকাই। দিগন্ত অদৃশ্য হয়ে গেছে, চারদিকে কেবলই ধোঁয়াশা। আমার দুচোখের সমস্ত আলো অর্থহীন হয়ে গেল।