১
বেশ কিছুদিন ধরেই পরিকল্পনা করছি 'মহাশক্তিগুলোর উত্থান-পতন' সিরিজটি আবার চালু করবো। পুরনো আরো কিছু সিরিজই চালু করার বেশ ইচ্ছা আছে, ছিল, তবে এই সিরিজটি আমার নিজের কাছেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং এটিই অগ্রাধিকার পেল। [১]
সমস্যা হল, আগের পর্বগুলোর পর বেশ কিছুদিন চলে গেছে। তাছাড়া, নতুন পাঠকরাও চাইতে পারেন আগের অংশগুলো পড়তে। সরাসরি নতুন পর্ব পড়তে গেলে তারা তো বটেই, আমি নিজেও ...
গেল পরশু একটি ম্যাগাজিনের অফিসে গেছিলাম। এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে। বড় ভাই ম্যাগাজিনটার বেশ বড়সড়ো লোক। সম্পাদকের পরেই তার অবস্থান। ম্যাগাজিনের ঈদসংখ্যা নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যস্ত। কথা বলার ফুসরত নাই। তার ব্যস্ততার মাঝেও দু’চারটার কথা হয়।
“ঈদসংখ্যা কবে বাজারে আসবো।”
“পেস্টিং চলছে, কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবো।”
“এবার কী কী থাকছে।”
“গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা। প্র...
হায় অচেনা-
তুমি তো আমায় ভালোবাসো না।
ভাবছো বুঝি আমিও ঠিক বাসি কিনা,
নাহ না... সে যে প্রশ্নই ওঠে না।
আমিও তোমাকে কিছুতেই ভালোবাসি না।
তবুও যখনই বেজে ওঠে মোবাইলে টুংটাং
খুঁটিয়ে দেখি সেটা সেই অচেনা নম্বর কিনা
যেন অচেনা কেউ হলে ফোনটা আর ধরবোই না।
কি জানি কেন-
অচেনার বদলে যখন কোন চেনা নম্বর দেখি
ফোনটা যেন আর ধরতেই ইচ্ছে করে না।
হে দুর অচেনা- নিশ্চিত জেনে রাখো,
তোমাকে আমি কিন্তু মো...
নামঃ "আকাশনীলা"
ইমেইলঃ
অন্তরা আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিলো। কেনো যেনো মনে হতো পৃথিবীতে ও-ই একমাত্র মানুষ যে আমাকে বুঝতে পারে। আর যেদিন এই উপলব্ধি হয়েছিলো, সেদিন থেকেই ওকে আপন করে নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বা দেরি হয় নি। অন্তরাও বুঝতে পেরেছিলো সেটা। তাই আমাকে বন্ধু করে নিতে ও-ও কোনো কার্পণ্য করে নি।
কাছাকাছি বাসা হওয়ার সুবাদে এরপর থেকে ঘনঘন আমাদের যাওয়া-আসা চলতে ল...
বাংলা স্পেল চেকার দিয়ে বানান চেক করে পোষ্ট দিলাম। আশা করি বানান বিড়ম্বনা কম হবে।
পর্ব-৩:
সন্দেহ এমন এক জিনিস যা দেখা যায় না, ধরা যায়না, ছোঁয়া যায় না, তবু এর বৃদ্ধি আছে, গাছের মত ডালপালা ছড়ায়, মনের গভীরে শিকড় পোক্ত করে আঁক্ড়ে থাকে। যতই মন থেকে একে সরানোর চেষ্টা করা হোক সেটা সহজে সরেনা। কিছুটা বেহেয়ার মত যতই না বলবেন ততই আপনার পিছু নিবে। আপনি বকে, ধম্কাইয়া থামাতে পারবেন না। রাহির মনে ...
[justify]
সারাদিন রোজার পর (এখানে ১৫ ঘন্টা উপবাস করতে হয়। ভাগ্যিস উত্তরমেরুতে থাকি না) অবসন্ন মনে তসবিহ হাতে জায়নামাজে বসে উপবাসে অবসন্ন দু'টি চোখ বুঁজে খোদার ধ্যানে মগ্ন হয়েছিলাম। এমন সময় নাসারা-পাপিষ্ঠদের আবিষ্কার, সাক্ষাত ইবলিসের ডুগডুগি মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো।
কানে দিয়ে মনটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো। মনির হোসেন ওরফে ধূসর গোধূলির ফোন।
ধূগো বলে, দোস্ত চল হয়ে যাক এক পেগ।
আমি দীর্ঘশ্বা...
একে একে হরিণেরা আসিতেছে গভীর বনের পথ ছেড়ে,
সকল জলের শব্দ পিছে ফেলে অন্য এক আশ্বাসের খোঁজে
দাঁতের-নখের কথা ভুলে গিয়ে তাদের বোনের কাছে ওই
সুন্দরী গাছের নিচে_জোৎস্নায়!_
মানুষ যেমন ক'রে ঘ্রাণ পেয়ে আসে তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে
হরিণেরা আসিতেছে!
-ক্যাম্পে
জীবনানন্দ দাশ
হয় জীবনানন্দ মিয়া আমার পাশে বসে বসে এই কবিতাখান লিখছিলো। অথবা এই কবিতার স্ক্র...
আমি আসলে নজরুল ভায়ের লেখার সাথে তাল মেলাতে পারিনা, কোনটা কখন লিখবেন বুঝিনা, ভাবলাম এই শেষ কিন্তু দেখা গেলো পরের পর্বে আরো চমক, বাদ দিই সেসব, আমি আমার নিজের মত চলি, তবে নজরুল ভায়ের লেখার সাথে একটু হলেও তাল মিলিয়ে।
এবারের পর্বে প্রথমেই কিছু কিছু চরিত্রের সাথে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।
ছবি-১। ডাকাত ডাকাত চেহারার এ লোকটার নাম এমদাদ হোসেন, বন বিভাগের প্রহরী, বাঘ কাটা ডোম, ক্যামেরা প...
মাঝখানে বেশ কয়েকটা মাস ভালই গেল। ইয়াদ আলী আমাকে আর ইয়াদ করেনি। মাঝরাতে ফোন করে আমাকে আর জাগায়না সে।
যারা ইয়াদ আলীকে চেনেন না তাদেরকে বলছি যে সে আমার এক বন্ধু। নিউইয়র্কে থাকে। মাঝেসাঝে গভীর রাতে ফোন করে আমাকে, আর তারপর উলটোসিধে কথা বলে। তার সাথে তর্কাতর্কি করার সাহস বা শক্তি আমার নেই বলে বেশীর ভাগ সময়েই তার কথা চুপচাপ হজম করি আমি।
আমেরিকাতে এখন সামার চলছে। শীতপ্রধান শহরগুলোতে ...
১.
এইতো সেদিন যখন ঢাকায় এলাম, তার আগেও আমার দেখা সব চেয়ে উঁচু বিল্ডিংটা ছিলো তিন তলা। আমরা বলতাম, ‘খলিল সাহেবের দালান’। যেবার দালানের তিন নম্বর তলার ছাদ কমপ্লিট হলো, খলিল সাহেব সেখানে জলছাদ দিবেন বলে মনস্থির করলেন। জলছাদ কেমনে দেয় তা আমরা জানতাম না। তবে একদিন কোথা থেকে অনেক সুড়কি চলে এলো। আর এলো জনাবিশেক মহিলা। সুড়কিগুলোকে জোগালেরা বলতো চিপ। তারা সিঁড়ি বেয়ে সেইসব চিপ ছা...