পুরান ঢাকা নিয়ে লেখার ইচ্ছা বহু দিনের। পত্রিকায় কাজ করার সুবাদে অনেক ভাবেই তা লিখেছি। কিন্তু ব্লগে লেখার আলাদা একটা ব্যক্তিসত্ত্বা কাজ করে। যা পত্রিকাতে বলা বা লেখা যায়না। তাই সচলায়তনে আসা।
১ মার্চ, ভারত বনধ বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের আলোচনায় জেনেছি, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাবনা।
১ মার্চ, ভারত বনধ বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের আলোচনায় জেনেছি, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাবনা।
পৌরববিজয় এক বিরাট ব্যাপার, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব মহান আলেকজান্ডারের খয়েরখাঁরা যতটা প্রচার করে তার চেয়ে অনেক ব্যাপক। হেরে গেলে সর্বনাশ হতো, পৌরবেরা অবশ্যই তাক্সিলা দখল করতে এগিয়ে যেত আর মহান আলেকজান্ডারকে কাবুলের বেতমিজ পাহাড়িদের এলাকা দিয়ে ফেরত যেতে হতো। এই বিজয়ে শুধু যে পৌরব হাতে এল তাই নয়, উপরন্তু পারস্যের সাথে সিন্ধু নদ আর ভারত মহাসাগরের মাধ্যমে নতুন কানেকশন খুলে গেল।
উইপোকার খাদ্য তালিকায় বই জিনিসটা কতোটা উৎকৃষ্ট জানি না। বাসা বদলের সময় নতুন বাসায় অতিথি হিসেবে কিছু পুরোনো উইপোকা বইয়ের ভাঁজে চলে এসেছিল। তাদের ভয়ে বইগুলো ব্যাপক ঝাড়পোছ করে নতুন বুক শেলফে তোলা হয়েছিল। উইপোকা মুক্ত বুকশেলফে বইগুলোকে অবমুক্ত করতে পেরে নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম। সাতফুট বাই আটফুটের নতুন বুকশেলফটা বানানো হয়েছে শিপব্রেকিং দোকান থেকে কেনা পুরোনো জাহাজভাঙ্গার প্লাইউড দিয়ে। জাহাজের জিনিসে কেন যেন
এগুলা কি ছবি? স্থির না, কাজেই ছবি বলা চলে না। দৃশ্য? সিনেমার মত? কিন্তু বানানো না। কেউ কারো ভূমিকায় অভিনয় করছে না। কিংবা করলেও শামীম জানে না, জানতে চায়ও না। সে খালি দেখে, দেখে যায়, দেখতে দেখতে যায় গন্তব্যের দিকে।
দুইটা মেয়ে কথা বলতে বলতে রান্না বসানোর কথা ভুলে যায়, এক মাঝবয়েসী মহিলা ঘরময় ছড়িয়ে থাকা খেলনা কুড়ান, টিভিতে কিছু একটা দেখে উত্তেজনায় লাফিয়ে ওঠে এক যুবক, একটা ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে হেঁটে বেড়ান এক লোক।
লিখতে আমার কখনোই তেমন ভাল্লাগে না। কিছু পড়া এর চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। এ ব্যাপারে আমি পাক্কা ভোক্তা। অর্থাৎ কিছু উৎপাদন করি না, কেবল গিলি। তবে প্রিয় ঢাকা শহরকে নিয়ে লিখতে বসে বেশ অনেক কথা মনে চলে আসছে। লিখতেও খারাপ লাগছে না। ঢাকা ছেড়ে আছি প্রায় দুই বছর হতে চললো। পরিবারের লোকজন, আব্বু, আম্মু, বোন, বিচ্ছু ভাগ্নেটা, বন্ধু-বান্ধব; এদের চেয়েও ইট-কাঠ-ধূলা-বালির ঢাকাকে দেখতে ইচ্ছা হয় বেশি। নিউ মার্কেটের বইয়ের দোকানের চিপায় লেবু চা, সন্ধ্যাবেলায় ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে হাটাহাটি, শাহবাগের মোগলাই, ফুলার রোডের ফুটপাথ, বুয়েট ক্যাম্পাস, ইএমই ভবনের ছয়তলার বারান্দা – এইসব ‘তুচ্ছ’ জিনিষের স্বপ্ন দেখে প্রতিদিন ভোরবেলায় ঘুম ভাঙ্গে, আর দিন গুনতে থাকি। শালার পড়াশোনা, রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের থেকেও ভয়ংকর জিনিষ – শ্যাষ হয় না!
০১.
গতকাল অনলাইন ম্যাগাজিন প্রিয় ডট কমের প্রযুক্তি বিভাগ টেক.প্রিয়.কম এ প্রকাশিত একটি সংবাদে সচলায়তনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠান পালিত হবে, যেখানে সচলায়তনও অংশগ্রহণ করবে।