কিংবদন্তীর জাপানিজ চিত্রকর হকুসাই ও হিরোসিগের কাঠখোদাই করা অপূর্ব সব শিল্পকর্ম সেবার প্রথমবারের মত এসেছে জাপানের চৌহদ্দি পেরিয়ে ইউরোপে, হেলসিংকিতে সে চিত্তহরণ করা প্রদর্শনী দেখে বেরোতে যাচ্ছি জাদুঘরের বাইরে। সেখানেরই একজন কর্মচারী বলল পাশেই চলা প্রাচীন জাপানের জনজীবন নিয়ে অন্য ধরনের এক প্রদর্শনী যেন অবশ্যই দেখে যাই, সেখানে নাকি তুলে আনা হয়েছে কয়েকশ বছর আগের জাপান।
আমার ছোটবেলায় মাসুদ রানা পড়াটা খুব একটা ভালো চোখে দেখা হত না - ইঁচড়ে পাকা বলে মনে করা হত ৷ তবুও লুকিয়ে চুরিয়ে প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার আগেই পড়া শুরু করলাম ৷ অ্যাকশন, এডভেঞ্চার আর লাস্যময়ী নায়িকা ভরপুর কাজী আনোয়ার হোসেনের এই অসাধারণ সিরিজ নিশ্চয়ই অনেকের মনে দাগ কেটেছে ৷ আরেকটু বড় হয়ে যখন ইংরেজিতে নানা থ্রিলার পড়া শুরু করলাম, তখন আবিস্কার করলাম এ গল্প তো আমার পড়া ! কাজীদা মাসুদ রানার বোতলে ভরে আগেই খাইয়ে দিয়েছেন ৷
দৃশ্য-এক
- হ্যালো অমুক, আমি তমুক বলছি, তোমার খালু কী বলেছেন আমি ফোন করবো আজ?
-বিস্ময় চাপা দিতে দিতে অমুকের প্রশ্ন -আমাকে কেন ফোন করতে হলো জানতে পারি?
- হোয়াট দ্য ***! তুমি আমার বায়োডাটা দেখোনি? ইমেলে এ্যাচাট করে পাঠিয়েছি তো।
এখুনি ইমেল খোলো।
তোমার নামটা পছন্দ হয়েছে বুঝলে? স্মার্ট নেম। আমার লাস্ট নেমের সাথে দারুণ মানাবে।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। তখন আরবের লোকেরা গুহায় বাস করতো, গণি মিয়া ছিলো একজন গরিব কৃষক। সেই প্রাগৈতিহাসিক সময়ে ফেসবুক বলে কোন জিনিস ছিলো না। সেই সময় আমাদের যতরকম গিয়ানজাম করার জায়গা ছিল এই সচলায়তন। হেন কিছু নেই যেইটা নিয়ে আমরা একটা ব্লগ লিখে ফেলতাম না।
আমি অনেকদিন ধরে আমাদের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের বেল কার্ভগুলো দেখতে আগ্রহী। বেল কার্ভ দেখতে এরকম।
১'লা বৈশাখ একলাই কেটেছে আমার; যদিও বরাবর একলাই কাটে। তবুও সারা বছর একে অন্যের আরোপ-প্রত্যারোপ, খিস্তিখেউর, গলা উঁচিয়ে ঝগড়া করা শর্মা বাড়ির জেলাসম যৌথ পরিবার ঐ একমাত্র পয়লা বৈশাখের দিনটিতেই চুপচাপ একসাথে থাকে, খাওয়া-দাওয়া করে, শেয়ার করে সবকিছু। আমিও থাকি, নীরবে দেখি।
উঠল বাই তো মন্দারমনি যাই। যাই ক্যামনে? বাড়ি থেকে সাতশ কিলোমিটার ডিঙিয়ে কোলকাতা। সেখান থেকে দীঘার বাস ধরে চালখোলা বলে একটা গঞ্জ আছে সেখান থেকে নেমে ট্রেকার ধরে মন্দারমনি।
এই কথাগুলো কোনদিন কাউকে বলিনি খুব কাছের দুই একটা বন্ধু ছাড়া। আমার স্বামীও জানেনা। জানলে যে সে খারাপ ভাবে নেবে তাও না। সে যথেষ্ট উদার মনের মানুষ। কিন্তু বলতে পারিনি। যদি কোনদিন একবার রাগের মাথাতেও কিছু বলে ফেলে আমি মরে যাব। আর আমার মনে হয় ছেলেরা আসলে ব্যাপারগুলো বোঝেনা। হয়তো আমি ভুল। কিন্তু সাহস হয়না।