[justify]
এই যে কথাগুলো বলছি, এ সবই হচ্ছে ছিলকামাত্র। প্রথম পাতায় যাতে ছড়াগুলির পায়ের গোছ দেখা না যায়, সেজন্যে পুশিদামূলক ব্যবস্থা।
লিমেরিক লিখতে খুব ভাল্লাগে আমার। ভাল্লাগে শব্দ নিয়ে খেলতেও। পড়েছিলাম, লিমেরিক নাকি ঐতিহ্যগত অশালীন ছড়া, শুধু ককখখক ছন্দসজ্জা হলেই চলবে না, একটু খাইষ্টুপিষ্টু হলেই ছড়াখানার লিমেরিকত্ব ফুটে উঠবে ঠিকমতো। আমি এটাকে এক ধাপ ওপরে চড়াতে চাই বলে নামটাকে এক...
কামরানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো থেকে তার আত্মীয় স্বজনকে সংবাদ দেয়া নিজের জন্য কেনাকাটা নিয়ে দিন তিনেক খুবই ব্যস্ততায় কাটলো রাহুলের।
যদিও হেনা বলেছিলো সে সময় দিতে পারবে না। কিন্তু সে কাজে যাওয়া বন্ধ রেখেই বলতে গেলে সেঁটে রইলো রাহুলের সঙ্গে। যদিও রাহুল এতে খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু মনের কোথাও যেন একটু অস্বস্তির কাঁটা খচখচ করে বিঁধছিলো।
হেনা হয়তো জেনে বুঝেই তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে ...
১০.
একদিন এক ময়ূরাক্ষী মেয়েকে বললাম
পিয়ারী, তোমাকে ভালবাসি। ভালবাসি তোমার হাসি, কটাক্ষ আর ছলনা।
থুতনিতে তোমার একটি হাত, কপালের চুল সরাতে ব্যস্ত তোমার একটি আঙুল
ভালবাসি তোমার নিরবতা, কিংবা মুখরতা, যাই হোক।
সে মেয়েকে খেয়ে নিল সমাজের বাঘ
প্রশ্ন করলে বলল, চুপ কর হারামজাদা, তোদের পিয়ারী থাকতে নেই।
একদিন নদীকে বললাম
তোমার এই স্রোত, ঘূর্ণিপাক, ঢেউ
আমি বিশুদ্ধ করে দেব। তোমার ঘাটে লো...
মনের ভেতরে কত যে আকুপাকুর বসবাস-ভাবতে ভাবতে আকুল হয়ে উঠি। বয়স যত বাড়ছে এই প্যানপ্যানানিও তত বাড়ছে। একসঙ্গে অনেকদিনই তো থাকা হলো। প্রেমের প্রথমদিন থেকে হিসাব করতে গেলে ক্যালকুলেটার ছাড়া সে হিসের সম্ভবই নয়। অথচ সেই কবে কৈশোরে বিন্দু'কে ভালো লেগেছিলো- কোথায় তাকে দেখেছিলাম প্রথম হাসির দাতগুলো কতটা ঝলমল করেছিলো- সবই মনে আছে দাড়ি-কমা নিয়ে। এই মনে থাকাটা যদি পড়ায় কাজে লাগানো যেত তবে ...
গরমের এক দীর্ঘ বিকেলে জাবেদ দের বাড়ীর পাশের খোলা যায়গায় এক দল ছেলে পুলে ক্রিকেট খেলছে। ইট দিয়ে বানানো স্ট্যাম্প আর কাঠের বানানো ব্যাট , টেনিস বলে টেপ মেরে তাদের খেলা ধূলা। প্রায় প্রতিদিনই তাদের এই আসর বসে। মহা উৎসাহে , ঘামে ভিজে চুপ চুপ হয়ে তারা রান নেয়, ফিল্ডিং করে, বোলিং করে, মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে বিস্তর ঝগড়া চলে আবার। আর রাস্তা দিয়ে আসা -যাওয়ার সময় কিছু উৎসুক জনগণ খানিক দাঁড়িয়...
মাথার মধ্যে সম্ভবত: পানি ঢুকে গিয়েছে, তাই মনে হয় শুধু পানির ছবি তুলি। বিজয়ের মাসে তাই কিছু ছবি তুললাম একাত্তরকে মাথায় রেখে। আগেই বলে রাখি, অধিকাংশ পানির আকৃতিই কিন্তু পূর্বপরিকল্পনা মতো করা নয় (সম্ভবও নয়)| বরং শ’খানেক ছবি তোলার পর তার খেকে কাহিনীর প্রয়োজন মতো কিছু ছবি বেছে নিয়ে করা এই পোস্ট।
যদিও পানির ফোটার সাথে সেকেন্ড মিলিয়ে ক্যামেরা ক্লিক করতে অনেক কসরৎ করতে হয...
যাত্রা পর্ব।
প্রথম ধ্বাক্কাটা খেলাম উত্তরার শেষ প্রান্তে মাস্কট প্লাজার মোড়টা পেরুতেই। পেছনে ডান দিকে ঘষা লাগিয়ে দিলো ময়মনসিংহ গামী বাস। মিররে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম। এদিকে জ্যাম সবে মাত্র লাগতে শুরু করেছে। বন্ধের সময় সকাল আটে অত গাড়ী ঘোড়া রাস্তায় না থাকারই কথা। ভাবলাম টঙ্গী ব্রীজ পেরুলেই রাস্তা খালি, আরামে চলে যেতে পারবো। আমার ধারণা মিথ্যে প্রমানিত হলো কিছুক্ষণের ভেতরই।
চ...
[justify]পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে নিলাম, যেতে হবে বার্ড কলেজ নামের এক কলেজে, জঙ্গলের ভিতরে জনমনুষ্যহীন এক জায়গায়। কোন বাস বা ট্রেনও বলে যায়। তবে প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দর, আর সেই সৌন্দর্যের কবলে পড়ে নাকি সেখানের ছাত্ররা বছরের পর বছর এক নাম্বার স্থান পেয়ে আসছে। আপনারা হয়ত ভাবছেন, সেখানের পড়াশুনা এত ভালো হলে আপনারা নাম শুনেননি কেন? আপনাদের সন্দেহ অমূলক নয়, এরা প্রথম স্থান অধিক...
ভৈকম মুহম্মদ বশীর (২১জানুয়ারী ১৯০৮- ৫জুলাই ১৯৯৪)
[justify]ভৈকম মুহম্মদ বশীর কেরালার লেখক। লেখার ভাষা মলয়ালম। মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা তাঁর শ্রেষ্ঠ গল্পের অনুবাদ বইটা কিনেছিলাম বছর পাঁচেক আগে। পড়ে খুব ভালো লেগেছিল। পরের দিন আজিজে গেলাম আবার। ভৈকমের আর কিছু পাওয়া যায় কিনা দেখতে। পেলাম “পাতুম্মার ছাগল” আর “নানার হাতী”। এই দুটা বড় গল্প।অথবা বলা ...
প্রতি বছর এক কি দুই বার তোমার সাথে আমার দেখা হয়। কখনও যাই ডিসেম্বর মাসে, তখন তুমি খুব সেজেগুঁজে থাকো। চারদিকে বিজয় দিবসের জন্য আলোকসজ্জা, শুকনা খটখটা রাস্তা-ঘাট। আসন্ন বছরের উপলক্ষে কেমন উৎসব উৎসব আমেজ। তখন বেশি দিন থাকতে পারি না। কী করবো বলো, শীতের ছুটি তো অনেক ছোট। আবার ফেরত যাই বছরের মাঝামাঝি সময়ে। প্রচণ্ড গরম তখন, মাঝে মাঝে মুষল ধারে বৃষ্টি নামে। কী আরামই তখন হয়। ঢাকা, তুমি আমা...