এমআইটিতে পড়ার সময় মানুষজনের সাথে বিভিন্ন রকম মজা করতাম। মেকানিক্যাল ড্রয়িং ক্লাসে আমাদের ফ্রেঞ্চ কার্ভ নামে একটা জিনিস ব্যবহার করতে হতো। জিনিসটা প্লাস্টিকের তৈরি, অনেকটা রুলারের মতো, ওটা দিয়ে কাগজে মসৃণ বক্ররেখা আঁকা যেত। একদিন একজন ক্লাসে একটা ফ্রেঞ্চ কার্ভ হাতে নিয়ে বলল, “আচ্ছা এই জিনিসটা কি কোনো বিশেষ সূত্র মেনে তৈরি করা হয়?”
এক মুহূর্ত ভেবে বললাম, “নিশ্চয়ই! সব ফ্রেঞ্চ কার্ভই একটা বিশেষ সূত্র মেনে চলে। এই দেখো”, বলে আমার ফ্রেঞ্চ কার্ভটা হাতে নিয়ে বললাম, “এই কার্ভগুলো এমনভাবে তৈরি যে এটাকে যেভাবেই ধরা হোক না কেন, এর সবচেয়ে নিচের বিন্দু দিয়ে একটা স্পর্শক আঁকলে সেটা সবসময় অনুভূমিক হবে।”
ফুল,পাখি,লতা পাতা,গরু,ঘোড়া, ঘাস
মিলেমিশে করিতেছি এই দেশে বাস!
ধূধূ চর, খাল, বিল, আকাবাঁকা নদী
খুন করা খুব খ্রাপ, তবে, কিন্তু, যদি!
নীলাকাশ, সাদা মেঘ, আহা! ক্যুল বৃষ্টি
জমিনেতে যাই হোক, উপরেতে দৃষ্টি!
মুখখানা খুলিনাকো, বোকা আমি নহি
তুমি মরে কচু হও, আমি আছি "সহীহ"!
হার্মাদ ঝড় এসে
দপ করে আকাশের পিদিম নিবিয়ে দিল।
প্রসঙ্গ কথাঃ
সবাই এসো দাঁড়াও হাতে হাত
মরছে দেখো মানুষ দিন রাত
কিশোরী মার দুচোখ ভেসে যায়
শিশুটি তার ধুঁকছে অসহায়
বৃষ্টি আর ভীষণ কলেরায়…………………………
( মূলঃ জোয়ান বায়েজ
অনুবাদঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু)
মেরিল স্প্যাশ এর ‘সুন্দর মানে কি ফর্সা’ বিজ্ঞাপনটা মনে ধরেছিল। তবে তিশাকে এমন মেকাপ দিয়ে ধবধবে সাদা না দেখিয়ে ওর স্বাভাবিক শ্যামলা রঙ দেখালে আরো ভালো লাগতো।
পঞ্চসতীর যে পূজা হয় সেই সতীগো পয়লা তালিকায় সীতার নাম নাই; অথচ সতীত্বের পরীক্ষায় পাশ করা একমাত্র নারী হইলেন সীতা। ক্যামনে কী?
‘অহল্যা দ্রৌপদী কুন্তী তারা মন্দোদরী তথা
পঞ্চকন্যা স্মরে নিত্যং মহাপাতক নাশনম্’
কিছুক্ষণ আগে সোশাল মিডিয়ায় জানা গেছে ব্লগার নিলয় নীল (নিলয় চৌধুরী/নিলাদ্রী চ্যাটার্জি) কে রাজধানীর গোরানে নিজ বাসস্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অসমর্থিক খবর ভাড়াটে পরিচয়ে বাসায় ঢুকে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।
নিহত ব্লগার নিলয় ইস্টিশন ব্লগে লিখতেন এবং ফেইসবুক স্টাটাসের মাধ্যমে তার বক্তব্য জানাতেন।
প্লাতা নদীর ঘোলাজলে কোন কিশোর ছেঁড়া সাদা পাল তুলে ডিঙ্গি নিয়ে পাড়ি দিচ্ছিল না সেই সন্ধ্যায়, তবুও গোধূলি লগ্নে যখন আলো-আঁধারের জাদুময়তার সুষম কারসাজিতে থিরথির কেঁপে ওঠা মুহূর্তে পদ্মাপারে কৈশোর কাটানো একজনের চোখে প্লাতাকে মনে হল দু-কূল ছাপানো একটা সত্যিকারের নদী! যেমনটা মনে হয় বর্ষার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা দেখলে।
মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা চিরকালই মানসিকভাবে পরাধীন। খুব ছোটবেলা থেকেই বাপ-মা-জ্ঞাতি-গোষ্ঠী তাদের মাথায় খুব ভালোমত ঢুকিয়ে দেয় যে “বাপরে/মাগো , চব্বিশটা ঘন্টা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত মুখে রক্ত তুলে শুধু খাটছি তোকে লেখাপড়া করাব বলে। তুই-ই আমাদের একমাত্র আশা, ভরসা। তোর মুখের দিকে চেয়ে সব কষ্ট সহ্য করছি সোনা । আর কোন দিকে মন দিস না। আমাদের আর কোন ক্ষমতাই নাইরে বাপধন, একটা বিপদে পড়ে গেলে কেউ বাঁচাতে