আজ সারাদিন ও বাড়িতে কাজ করতে করতে হাতে প্রায় ব্যথা হয়ে গেছে। এখন এই শেষবেলায় বাটিতে একটু সর্ষের তেল নিয়ে মালিশ করতে বসে চিনু। ফাঁকা বাড়ি, বিকেলটা কেমন যেন অলস লাগে। এই মুহূর্তে হাতে কাজ নেই তেমন, রান্না-বাড়া শেষ। একটু পরে যতীন ফিরবে, তারপর ছেলেটাও-তখন হয়ত আবার খাওয়া দাওয়া মাজা ঘষা, দু’একটা আলাপ আর তারপর ঘুম।আপাতত ছোট্ট উঠানটায় বসে এক হাতে বাটির তেল মেখে আরেক হাতে ঘষে ঘষে লাগাতে থাকে চিনু। পাশের বা
পরীক্ষাতে লাড্ডু খেয়ে গাড্ডু মিয়া বলে -
ইশ্কুলেতে সবই যেন কেমন ধারায় চলে।
স্যারেরা সব প্রশ্ন করে চোখ পাকিয়ে তাকায়
ব্যাখ্যা ছাড়া বই থেকে সব কঠিন ছবি আঁকায়।
কোন কথাটা কেন এল নেই তো জানার সাধ্য
ছাত্র মানেই যেন শুধু পাঠ্য বইয়ের বাধ্য।
সায়েন্স টিচার হুকুম করেন সবাই যেন শিখে
জবা ফুলের সায়েন্টিফিক নামটা লিখে লিখে;
জোরে জোরে পড়তে হবে ল্যাটিন নামের লিস্টি
ঠোঁটের আগায় থাকতে হবে জীবের ডায়ানিস্টি।
অবশেষে সব ছাইড়া দ্রৌপদী আর পঞ্চপাণ্ডব রওয়ানা দিছে বনবাসে। কুরুযুদ্ধের ছত্রিশ বছর পরে...
কুন্তীরা বনে যাবার বছর খানেক পর পাণ্ডবেরা বনে গিয়া দেইখা আসছিল তাদের। ধৃতরাষ্ট্র গান্ধারী কুন্তী ভীষণ দুর্বল আর বিদুর বদ্ধ উন্মাদ; ন্যাংটা হইয়া বনে বনে ঘোরে...
আজি যত তারা তব আকাশে
সবে মোর প্রাণ ভরি প্রকাশে।।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
একদিন সূর্য মারা যাবে। তার নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। তখন পৃথিবী যদি আদৌ টিকে থাকে তবে তার আকাশে আলোর খরা নেমে আসবে আর মানুষ সব এক চিরশীতের দেশে বন্দি হবে।
মূল - জর্জ ওরওয়েল
অনুবাদ - পদব্রজী
[justify]
আমাদের একটা গাড়ী আছে। ছোট্ট, পুরনো গাড়ী। অনেক পুরনো।
নগরী হয়ে উঠলে ও 'আমাদের সিলেট' এখনো সেই মফস্বল শহর। দোকান, বাজার, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, আত্ম্বীয়স্বজনের বাসা, বাচ্চাদের স্কুল সব তো একেবারেই আশেপাশে। হ্যাঁ, আমার কাজের জায়গাটা শহরের একটু বাইরে। অফিসের গাড়ী আছে তো। সবমিলিয়ে ছোট্ট পুরনো গাড়ীটা চালানোই হয়না। এপার্টমেন্টের বেসমেন্ট অলস পড়ে থাকে। বেসমেন্ট পাশ ঘিরেই ব্যস্ত পাড়ার গলি। গাড়ীটা ঘুমিয়ে ছিলো গলির দিকে মুখ রেখে।
একাকী পাপাড়ু গিয়ে হাসানাবাদ পৌঁছালেন, যে গ্রাম তার নিজেরই পত্তন করা। সেখানে এক তাড়ির দোকানে জুত করে বসে তিনি বললেন, “এই আমায় ভালো তাড়ি দে”। পলাতক পাপাড়ুর ছদ্মবেশ ছাপিয়ে সেই গম্ভীর কন্ঠ তাড়িওলার কানে ঠং করে গিয়ে বাজল। চোখ তুলে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করল সে খদ্দেরের মুখ। হ্যাঁ, এই লোক অবশ্যই পাপাড়ু!
আমি আর হাসান দীর্ঘ দিন পরস্পর মুখোমুখি বসি না। একই বিছানায় থেকেও পাশাপাশি শোয়া হয় না দীর্ঘ দিন। রাতে ঘুমের সময় আস্থা আমাদের দু’জনের মাঝখান জুড়ে থাকে। বিছানায় যাওয়ামাত্রই হাসান ঘুমিয়ে যায়। ইদানিং লিগ্যাল কন্সাল্টেন্সি সেন্টারটা নিয়ে ও খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের দুজনের পড়াশুনা আইন নিয়ে তাই এই পেশায় ব্যস্ত থাকা যে দারুণ সুখকর তা আমি জানি। কারণ ব্যস্ততার সাথে আয়ের সূচকও বাড়তে থাকে। আমিও অফিস-বাসা কর
না লিখতে না লিখতে একসময় লিখতে পারাটাই থমকে যায়। বয়স বাড়তে থাকে। ক্রমশ বিষয়টা একদা লিখতাম পর্যায়ে চলে যায়। মাঝে মাঝে নিজের আর "নিজ সময়ের" বাকিদের পুরনো পোস্টগুলি দেখি। প্রতিটা মানুষেরই একটা নিজ সময় থাকে। মূল্যবোধগুলি কোন না কোনভাবে সেই সময়ের মূল্যবোধে বন্দি হয়ে যায়। নিজের সময়কাল অতিক্রম করে যাওয়ার মেধা সবার থাকে না। রবিবুড়ো অনেক চেষ্টা করে অনেকদূর এগিয়ে ছিলেন। বাকিরা তার এক-চতুর্থাংশও পারে নাই। আমি
ফ্ল্যাশব্যাকঃ কেষ্টা ব্যাটা
================
৬ মার্চ ১৯৯৯ঃ উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ, যশোর (নিহত ১০, আহত ১০৫)
- ও ভাই, এইটা কে করছে?
- কে আবার আম্লীগ। দেশটারে শেষ করে দিল!
-------------
১৪ এপ্রিল ২০০১ঃ পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ, ঢাকা (নিহত ১১, আহত ১২০)