ব্লগ

আমাদের মায়েরা

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১৭ - ৪:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আমাদের বয়স হয়েছে, খোঁজ রাখবেন’-
কত সহজে মা বলে যেতে পারলো কথাটি
আমাদের মায়েরা সেই অমোঘ বাক্যে
বিচলিত হল না, একটু হয়তো ঝরে পড়লো
সন্ধ্যার বনজ অন্ধকার শূন্যতা থেকে শেষ আলোটুকু
নিংড়ে নিয়ে আমাদের মায়েদের মুখে ছড়িয়ে দেয়
তাদের হাসি শালবনের বাতাসে সহজ ভঙ্গিতে তোলে মর্মরধ্বনি
পরস্পরের চোখে বহুদিনের গড়া সংসারকে পূর্ণ রেখে
আমাদের মায়েরা এখন
ফাল্গুনের এই বনের মত নিঝুম, নির্জন।


পাণ্ডুলিপি পুড়ে যায়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বুধ, ২২/০২/২০১৭ - ২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আলেকজান্দ্রিয়া থেকে অমর একুশ,
নালন্দা থেকে শুদ্ধস্বর,
জালুস্কি থেকে কম্বোডিয়া,
অভিজিৎ থেকে এন্ড্রোমিডা -
পুড়ে যাচ্ছে তীব্র দহনে।

দহন মূলত রূপান্তর, গ্রহণ মূলত সাময়িক পলায়ন;
যাত্রা মূলত ক্ষণস্থায়ী অবস্থানের সীমায়িত সমাকলন;
স্থির সংকল্প মূলত নির্বিকার যাত্রার মতো গতিময়।

পুড়ে যাচ্ছে জাউরাক, জিবাল আর বিশাখা;
পুড়ে যাচ্ছে চিত্রলেখা, প্রত্যুষ, প্রতীতি;


২১ ফেব্রুয়ারীঃ ফেইসবুক বনাম বাস্তবতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০১৭ - ১০:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২১ ফেব্রুয়ারি নিয়ে এবার অতিরিক্ত কচকচানি ঘচঘচানি হয়েছে। বাস্তবে না, ফেইসবুকে। ঝুড়ি ভর্তি লেবু এতই বেশী কচলানো হয়েছে যে বিষ একদম চারপাশে। ফেইসবুক আর বাস্তব এক নাকি এটা নিয়ে আমার মনে সবসময় সন্দেহ থাকে। তাই অফিসে ছুটি না থাকা সত্ত্বেও পানি আসলে কতটুকু গড়িয়েছে, তা যাচাই করার জন্য বের হলাম।


ই বই বের করতে চাই, কীভাবে করবো?

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০১৭ - ১২:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ই-বই এবং পিডিএফ তৈরি ও প্রকাশে সচলায়তনের সহযোগিতা চাই ৷
কবিতা ও প্রবন্ধের বই ৷


বেয়াদব গদ্য চাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০১৭ - ১২:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেয়াদব গদ্য চাই

রাজিব মাহমুদ

ভূমিকাঃ


একুশে উদযাপন, একুশে বাণিজ্যঃ রুচির শেষ কোথায়, কোথায় কুরুচির শুরু

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২০/০২/২০১৭ - ১২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যখন পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলাম, তখন আমরা বাঙালী শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর একুশেকে কেন্দ্র করে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। আমাদের বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠনের বাৎসরিক কর্যক্রমের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতো সেটাই, ভার্সিটির বড় অডিটোরিয়াম ভাড়া করে এবং সবার জন্য উন্মুক্ত করে। যতদুর জানি আজও পার্ডুতে এটা অব্যাহত আছে। এখনকার কথা জানি না, তবে আমাদের সময় অনুষ্ঠানটার মৌলিক কাঠামো ছিল অনেকটা এরকমঃ


One day in the life of Ivan Denisovich (আইভান ডেনিসোভিচের জীবনের একদিন) - পর্ব - ৪ : A novel by Alexander Solzhensitsyn

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০২/২০১৭ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব = ৪

(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)

ভিড়টা হালকা হয়ে আসছে। গার্ড-হাউজের পেছনে প্রহরীদের জ্বালানো আগুনটা জ্বলছে। এরা সবসময়ই বন্দীদের বাইরে কাজে পাঠানোর সময় আগুন জ্বালায়। একদিকে গাটাও গরম রাখা যায়, অন্যদিকে আগুনের আলোর কারনে গুনাগুনির কাজের সময় দেখতেও সুবিধা হয়।

গেটের প্রহরীদের একজন দ্রুত গুনতে লাগলো, “প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয়...”


প্রতিপক্ষ

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০৬/০২/২০১৭ - ৭:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাহালু নদীর তীরে ঘোড়া ছুটিয়ে যেতে যেতে কিছুক্ষণ পর মুস্তফা টের পেল পেছনে আর কেউ আসছে। নৌরাবাদের কেউ পিছু নিল নাকি? ঝট করে পিছনে তাকিয়ে একঝলক আগন্তুককে দেখে সন্তুষ্ট হয়ে আবার টেনে ঘোড়া ছোটাল সে।

ইদ্রিস। ইদ্রিস আসছে পেছন পেছন।

যাক, ভালো হল তবে। সে ছাড়া আরও অন্তত একজন দেখেছে সাদতকে চম্পট দিতে।


দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৬/০২/২০১৭ - ৬:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"......যে তুমি ফোটাও ফুল বনে বনে গন্ধভরপুর-
সে তুমি কেমন ক’রে, বাঙলা , সে তুমি কেমন ক’রে
দিকে দিকে জন্ম দিচ্ছো পালেপালে শুয়োরকুকুর ?......"

-হুমায়ুন আজাদ (১৯৪৭-২০০৪)