তৃতীয়বার ফোন করার সময় মেজ আপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে হুমকির সুরে বললেন, আপনি যদি আধ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নেন তাহলে আমি ডিআইজি সদরুল আনামকে ফোন করতে বাধ্য হবো। তিনি আমার মামাতো ভাই।
আগের দুইবার ফোন করে কাজ না হওয়াতে মেজ আপা তৃতীয়বারে ডিআইজি সদরুল আনামকে আমদানী করলেন।
স্বনামধন্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদ আত্মহত্যা করেছেন। একাত্তরে অবাঙালিদের হাতে নিজের পিতাসহ আরো অনেকের নির্মম হত্যাকাণ্ড তিনি চাক্ষুষ দেখেছিলেন। সে বর্ণনা পড়ে যে কেউ শিউরে উঠতে বাধ্য। আত্মহত্যার পরে জানলাম সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় তার মনে অভিমান ছিলো। শহীদজায়া হিসেবে তাঁর মাকে কোনো সম্মান দেয়া হয়নি তা নিয়েও ক্ষোভ ছিলো। এই রাজাকার ও পাকবান্ধব সমাজ
নিউইয়র্ক শহরের পশ্চিম প্রান্তে যে পুরোনো লাল বাড়ি গুলো আছে তাদের বাসিন্দাদের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। এরা সবাই সাধারণত যাযাবর প্রকৃতির, অস্থির আর ঘড়ির কাঁটার মতো সদা গতিশীল।
[লেখার উদ্দেশ্য হিজড়া, ইন্টারসেক্স এবং ট্রান্সজেন্ডার পরিচয় স্পষ্ট করা। কারো কারো কাছে লেখাটা একটু দীর্ঘ মনে হতে পারে। ধৈর্য ধরে পড়ার অনুরোধ রইল।]
"ভাই পানি আছে?"
"আছে, মিনারেল না জগের পানি?"
"জগের পানিই দ্যান।"
লোকটা ঘাড় থিকা বড় একটা ছালার বস্তা ধপ্পড় কইরা নামায়া এক পাশে রাখলো। বস্তাওয়ালা গায়ে গতরে তাগড়া, বেশ গাইট্টা গুইট্টা। এই শীতের রাইতেও ঘাইমা পুরা গোছল কইরা ফালাইছে। মনে হয় অনেকক্ষণ ধইরাই সে এই বোঝা নিয়া বইয়া বেড়াইতাছে। কইত্থিকা আইতাছে, বুঝা গেল না। ওইপার যাইবো মনয়।
[justify]১৯৬৭ সালে প্রকাশিত গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের উপন্যাস ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’-এ (Cien años de Soledad) কর্নেল অরেলিয়ানো বুয়েন্দিয়া যখন হৃদয়ঙ্গম করেন চলমান গৃহযুদ্ধ নিস্ফলা, যুযুধান দুই পক্ষ কেবল নিজেদের ‘মর্যাদা’ রক্ষার দোহাই দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তখন গভীর হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক তাঁর বুকে আয়োডিন দিয়ে একটি বৃত্ত এঁকে দিয়েছিলেন। অপরাহ্ন তিনটে পন
বহুকাল পরে সচলায়তনে এলাম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? সেইসব পুরানো দিন মনে পড়ে, যখন নিত্য নিত্য এই চত্বরে একবার করে ঢুঁ মেরে যেতেই হত। তখন প্রতিদিন এত লেখা উঠত, যে তাল রাখাই কঠিন ছিল।
কয়েক মাস হল একটা অ্যাপ নামিয়ে মোবাইলের স্ক্রীনে ছবি আঁকা শুরু করেছি। একেবারেই হাবিজাবি ছবি, বুঝতেই পারছেন জিনিসটা বুঝতে বুঝতেই দিন চলে যায়, ভালো আঁকা তো অনেক পরের ব্যাপার। তবু ভাবলাম সচলের বন্ধুদের দেখাই কয়েকটা ছবি।
সবচেয়ে অসত্য ভাবনা কী?
‘অবশেষে জানিলাম- মানুষ একা।”
কেন অসত্য?
কারণ, প্রত্যেকটি মানুষ বহু মানুষের হাতে তৈরি।
বহু মানুষের সাথে যুক্ত।
সে একলা একা হতেই পারে না।
বহু যুগের বহু কোটি মানুষের দেহ মন মিলিয়ে মানুষের সত্তা।
সেই বৃহৎ সত্তার সঙ্গে সম্পর্ক
একজন ব্যক্তি মানুষ যতটুকু দেখতে পারে
সে ততটুকু যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে।
সেই সত্তাকে নাম দেয়া যেতে পারে
মহামানুষ।
এই বৃহৎ সত্তার মধ্যে
গাঁয়ের অদূরে এক গভীর জঙ্গল। তার পাশেই এই গাঁয়ের কবরস্থান। মাঝরাত। পশ্চিম আকাশে এক ফালি ফ্যাকাসে চাঁদ জেগে আছে। আর আছে আকাশ জোরা অগুনতি তারা। কবরস্থানটি বেশ বড় আর খোলামেলা হওয়ায় বাঁকা এক ফালি চাঁদের অল্প আলোতেও ছায়া ছায়া আঁধারে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। দূরের কোন গাছে বসে একটা হুতোম প্যাঁচা ডাকছে – ভূত, ভূত, ভূতুম !