বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়: ধোঁয়াশা, তত্ত্বকথা ও মানুষের জবানি

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০১/২০২৪ - ১১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[লেখার উদ্দেশ্য হিজড়া, ইন্টারসেক্স এবং ট্রান্সজেন্ডার পরিচয় স্পষ্ট করা। কারো কারো কাছে লেখাটা একটু দীর্ঘ মনে হতে পারে। ধৈর্য ধরে পড়ার অনুরোধ রইল।]


মায়াতরী

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: শুক্র, ১৯/০১/২০২৪ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ভাই পানি আছে?"

"আছে, মিনারেল না জগের পানি?"

"জগের পানিই দ্যান।"

লোকটা ঘাড় থিকা বড় একটা ছালার বস্তা ধপ্পড় কইরা নামায়া এক পাশে রাখলো। বস্তাওয়ালা গায়ে গতরে তাগড়া, বেশ গাইট্টা গুইট্টা। এই শীতের রাইতেও ঘাইমা পুরা গোছল কইরা ফালাইছে। মনে হয় অনেকক্ষণ ধইরাই সে এই বোঝা নিয়া বইয়া বেড়াইতাছে। কইত্থিকা আইতাছে, বুঝা গেল না। ওইপার যাইবো মনয়।


নামে কিবা আসে যায়!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৮/২০২৩ - ১:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১৯৬৭ সালে প্রকাশিত গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের উপন্যাস ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’-এ (Cien años de Soledad) কর্নেল অরেলিয়ানো বুয়েন্দিয়া যখন হৃদয়ঙ্গম করেন চলমান গৃহযুদ্ধ নিস্ফলা, যুযুধান দুই পক্ষ কেবল নিজেদের ‘মর্যাদা’ রক্ষার দোহাই দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তখন গভীর হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক তাঁর বুকে আয়োডিন দিয়ে একটি বৃত্ত এঁকে দিয়েছিলেন। অপরাহ্ন তিনটে পন


কেমন আছেন?

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৬/২০২৩ - ১:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বহুকাল পরে সচলায়তনে এলাম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? সেইসব পুরানো দিন মনে পড়ে, যখন নিত্য নিত্য এই চত্বরে একবার করে ঢুঁ মেরে যেতেই হত। তখন প্রতিদিন এত লেখা উঠত, যে তাল রাখাই কঠিন ছিল।
কয়েক মাস হল একটা অ্যাপ নামিয়ে মোবাইলের স্ক্রীনে ছবি আঁকা শুরু করেছি। একেবারেই হাবিজাবি ছবি, বুঝতেই পারছেন জিনিসটা বুঝতে বুঝতেই দিন চলে যায়, ভালো আঁকা তো অনেক পরের ব্যাপার। তবু ভাবলাম সচলের বন্ধুদের দেখাই কয়েকটা ছবি।


সংক্ষেপিত অনুবাদ : বাংলা ভাষা পরিচয় / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : অধ্যায় ১

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: সোম, ০৫/০৬/২০২৩ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবচেয়ে অসত্য ভাবনা কী?
‘অবশেষে জানিলাম- মানুষ একা।”
কেন অসত্য?
কারণ, প্রত্যেকটি মানুষ বহু মানুষের হাতে তৈরি।
বহু মানুষের সাথে যুক্ত।
সে একলা একা হতেই পারে না।

বহু যুগের বহু কোটি মানুষের দেহ মন মিলিয়ে মানুষের সত্তা।
সেই বৃহৎ সত্তার সঙ্গে সম্পর্ক
একজন ব্যক্তি মানুষ যতটুকু দেখতে পারে
সে ততটুকু যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে।
সেই সত্তাকে নাম দেয়া যেতে পারে
মহামানুষ।

এই বৃহৎ সত্তার মধ্যে


একটি ভৌতিক গল্প : কানাউলার খপ্পরে

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৫/২০২৩ - ২:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাঁয়ের অদূরে এক গভীর জঙ্গল। তার পাশেই এই গাঁয়ের কবরস্থান। মাঝরাত। পশ্চিম আকাশে এক ফালি ফ্যাকাসে চাঁদ জেগে আছে। আর আছে আকাশ জোরা অগুনতি তারা। কবরস্থানটি বেশ বড় আর খোলামেলা হওয়ায় বাঁকা এক ফালি চাঁদের অল্প আলোতেও ছায়া ছায়া আঁধারে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। দূরের কোন গাছে বসে একটা হুতোম প্যাঁচা ডাকছে – ভূত, ভূত, ভূতুম !


বালিশ (শেষ পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৬/০৪/২০২৩ - ১২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ বালিশ একটি ধারাবাহিক গল্প। গল্পের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বের লিংক এখানে দেয়া হল পর্ব ১ **পর্ব ২ ]


ছুটে গেছি বিলুপ্তির দিকে...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৬/০৪/২০২৩ - ১২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ড. সম্পদ পান্ডে ও আমি উন্দাভাল্লি গুহার ভেতরে অনেকগুলো ছবি তুললাম। আমি প্রৌঢ়, পৃথুল শরীর। সে তুলনায় সম্পদ বেশ শক্ত-সমর্থ। তবু এখানে বেড়াতে এসে আমাদের দু’জনার মনই এখন তুখোড় তারুণ্যে উদ্ভাসিত।


বৈদ্যুতিক “সমস্যাডা শুধুই জাফর ইকবালে” সমাচার

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৪/০৪/২০২৩ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুহম্মদ জাফর ইকবাল কোনও পীর নন, রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে তাঁর হাজারটা দূর্বলতা থাকতেই পারে। কিন্তু, মনে রাখতে হবে গবাদি ও ছাগুকুলের বহুদিনের প্রচেষ্টায় এদেশের সবচেয়ে ‘সেলিং লাইক হট কচুরিস’ মার্কা ক্লিকবেইটের নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এই ক্লিকবেইট ব্যবহার করে রাতারাতি হট কচুরি হতে চাওয়া বিস্বাদ মানকচুর ঝাড় শিকড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলা প্রয়োজন শুরুতেই।


একাত্তর। বর্থরে আমাদের দিনগুলো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৭/০৪/২০২৩ - ১০:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের গাড়িয়াল ছকমল দা হাতের কঞ্চির একটানে আশ্চর্য ক্ষমতায় ঝোপের মধ্য থেকে থোকা থোকা ফল উঠিয়ে আমাদের দিত। ওগুলোর নাম পানিয়াল ফল, হাতের তালুতে নিয়ে জোরে জোরে নাড়ু বানানোর ভঙ্গিতে ওগুলোকে ঘষতে হত, তখন সেই ফল হয়ে উঠত অমৃতের মতো। ছকমল দা আমাদের হাতে ফলগুলো দিয়ে বলত, বইন, কও- আম পাকে জাম পাকে হাতোতে পানিয়াল পাকে। আমরা বলতাম, আম পাকে জাম পাকে হাতোতে পানিয়াল পাকে। দূর্গাপুর থেকে মোগলহাট স্টেশনে যাওয়ার পথ