Archive - এপ্র 1, 2012

| চাণক্যজন কহেন : ০৬ | নীতিকথা-০৩ |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ১০:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


[সতর্কতা : এটা নিরস কিংবা কাষ্ঠরসিক বুড়োদের সিরিজ।]


এপ্রিল ফুল এবং মুসলিমদের পুড়ে মারার ভ্রান্ত গল্প

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাঙালির ধর্মচর্চা যতটা না উপাসনালয় কেন্দ্রীক, তার থেকে অনেক বেশি তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক। যখন কলেজে পড়তাম, সেই ১৯৯৯ - ২০০০ সনের ঘটনা, তখন ইমেইল পেতাম বার্তা সহ। ঐ ইমেইল ফরোয়ার্ড না করলে গজব আসবে, ধ্বংস হয়ে যেতে হবে ইত্যাদি। এর পর মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হবার পর একই ধরনের বার্তা আসতে লাগলো এস.এম.এস এর মাধ্যমে। আর এখন স্যোসাল নেটওয়ার্কিং এর যুগে প্রতিদিন সকালে ফেইসবুক খুলে বসলে ওয়ালে ওয়ালে ছড়িয়ে থাকে শত শত বার্তা। যারা ছড়াচ্ছে, তারা জানারও চেষ্টা করছে না যে সত্য ছড়াচ্ছে নাকি মিথ্যা। তার উপর এক শ্রেনীর স্বল্প শিক্ষিত মোল্লা তার অজ্ঞতাকে তথাকথিত শিক্ষিত হবার মোড়কে ঢেকে সাধারণ মানুষদের করছে আরো বিভ্রান্ত। তারই রেশ ধরে আমরা জানতে পারি এপ্রিল ফুলের ইতিহাসের মুসলিম সংস্করণ। মিথ্যে এবং বানোয়াট গল্প দিয়ে গড়া এই ইতিহাস।


দাবি দাওয়ার প্রতিবাদী মিছিলের ভীড়েও কিছু মিছিল অভিমানে ফেরারী হয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ৫:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দাবি দাওয়ার প্রতিবাদী মিছিলের ভীড়েও কিছু মিছিল অভিমানে ফেরারী হয়। হারিয়ে যায় পথের বাঁকে আরো কোন অজানা পথের পানে। হারিয়ে গেছে সেই মিছিলে আমাদের ফেরারী এক মিছিল। চলে গেছে আর না ফেরার কোন এক অজানায়।


শুভ জন্মদিন রিটন ভাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ৫:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[center]বনের পশু মুক্ত ক'রে দেখল রিটন বিপদ ভারি
হিংস্র ভয়াল পশুর সাথে জোট বেঁধেছে স্বৈরাচারী!
একাত্তরর ঘাতক দালাল মাথায় টুপি লম্বা দাড়ি
ওদের সাথে যোগ দিয়েছে নেংটি ইঁদুর এবং ধাড়ি
চোর বাটপার দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী নেতাও করল ধাওয়া
সম্মিলিত ধাওয়ার মুখে রিটন কোথায়? রিটন হাওয়া!


‘কেয়া পাতার নৌকো’ – ভারতীয় জি-বাংলা চ্যানেলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করবার অপপ্রয়াস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ৪:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোলকাতা ভিত্তিক ভারতীয় জি-বাংলা আমাদের বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। আমাদের দেশের বিভিন্ন চ্যানেল যখন মান সম্পন্ন অনুষ্ঠান বানাতে ব্যর্থ হয়ে দর্শক ধরতে পারছে না, তখন সেই দর্শকদের একটা বিশাল অংশ টেনে নিয়েছে ওপার বাংলার বিভিন্ন বাংলা চ্যানেল। ওরা যে খুব বেশি মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান বানাচ্ছেন তা না, তবে তারা দর্শক ধরে রাখবার ব্যাপারে খুবই কৌশলী। আর সেই কৌশলের সহজ শিকার হয়ে আমাদের দেশের মা-বোন-মাসি-পিসি-কাকি-মামি-বোন-বউ-মেয়েরা ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে বুদ হয়ে আছেন!


বিদায় পোড়া বসন্ত

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ৭:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হারিয়ে যাওয়া পাখিরা হয়তো আর এই পোড়া শহরে ফিয়ে আসবেনা। হয়তো একাধিক নিমজ্জিত সরলতার অন্তরালে হারিয়ে যাবে সময়ের ব্যাথা। ঋতুর মুগ্ধতা দেখে যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে কেটে যাবে আরেকটা অক্লান্ত শৈশবের সকাল। একদিন ছিল হারানো গুঞ্জন, একদিন ছিল লালিত বিদায়ের মন্দ বাতাস। সেই স্রোত আজ পলাতক। আকাশের দিকে তাকাই, হয়তো। মুগ্ধ কিংবা সংক্ষিপ্ত আলাপনে নিঝুম একটা স্মৃতি মেদুরতা ছেয়ে থাকে হেঁয়ালিতেও টের পাই।


রুমালের বেড়াল

আশালতা এর ছবি
লিখেছেন আশালতা (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ১:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছিল রুমাল, হয়ে গেলো টকটকে একটা বেড়াল। এমনটা কি হয়না ? দিব্যি হয়। সুকুমারের বইতে যেমন, এই সচয়ালতনেও তেমনি কি আর কম হয়! এই যেমন, আমি। ছিলাম নেহাত খাই দাই ঘুমাই টাইপ ঘোরতর এক সংসারী, হটাত হয়ে গেলাম সচলায়তনের আশালতা।

আজ চৈত্রের সতেরোয় কোথাও কিচ্ছু পাল্টে যায়নি তবু দিনটা খুব অন্যরকম হয়ে গেলো। আজ নিজের করে একটা নাম পেলাম। এমনিতে চেনা পৃথিবীতেও আমার একটা নাম আছে অবশ্য। কিন্তু আজকাল নিজেই সেটা ভুলতে বসেছি। সচলবন্ধুদের সে নাম বললেও ব্যাবহার হতে দেখিনা। সচলের কাছে তাই আশালতাই থেকে গেলাম। খুব অদ্ভুত এক যাত্রার শেষ হল আজ। অথবা শুরু।


বাড়িতে কেউ নেই, তো?

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: রবি, ০১/০৪/২০১২ - ১২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধরেন আমার বাড়ি নাই
অথবা বাড়িতে আমি নাই
তাতে কার কী যায় আসে?
তার মানে দায়-স্বীকার করাটা দরকার?

ধরেন পঁচিশে মার্চ রাতে যদি শেখ মুজিব বাড়িতে না থাকতো?
অথবা হেমলকের পেয়ালায় লাথি মেরে সক্রেটিস চলে যেত বাড়ি?
অথবা জন্ম-বাড়িটা রক্ষা করবে বলে যারা যুদ্ধে গেলো, আর বাড়ি ফিরলো না
কোনদিন
অথবা জন্ম-বাড়িটা রক্ষা করতে না পেরে যারা ওপাড় পালিয়ে বাঁচলো
আর ফিরতে পারলো না কোনদিন