Archive - জুল 2012

July 9th

মোগলাই খানাদানা - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বসন্তকাল, ১৬৪১। দুই পর্তুগীজ পাদ্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় লাহোরের এক চমকদার প্রাসাদের গ্র্যান্ড রিসেপশন রুমের লাগোয়া ব্যালকনিতে। প্রাসাদের মালিক মোগল সাম্রাজ্যের অন্যতম কুতুব আসফ খাঁ, আরজুমান্দ বানু বেগম ওরফে মুমতাজ মহলের পিতা।

ঐ সন্ধ্যায় আসফ খাঁ আর তার বউ মহান বাদশা শাজাহানকে চাট্টি ভাত খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন। লুকিয়ে ব্যালকনি থেকে দুই পাদ্রী এই ব্যাপক খানাদানার আয়োজন দেখতে থাকেন হাঁ করে। ঝলমল করছে সিল্কি রূপালি সোনালি জরির কাজ করা কার্পেট, চতুর্দিকে মৌমৌ করছে সুগন্ধী আতরের বাস। রুমের ঠিক কেন্দ্রে মিহি মসলিনের কাজ করা টেবলক্লথ আর তার চারধারে নানবিধ কুশন। সোনামোতির হার গলায় ঝুলিয়ে রুমে ঢুকলেন মহান মোগল সম্রাট, আগেপিছে দাসীবান্দি সহকারে। কুশনে আরাম করে বসে সকলে হাত ধুয়ে নিলেন অত্যাধিক কচি ও ততোধিক সুন্দরী দাসীদের এগিয়ে দেওয়া পানিপাত্রে।


বিচ্ছেদ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ১১:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নওসী, ভারতীয় দ্বিতীয় প্রজন্মের মিস্টি একটি মেয়ে, বাবার মতই পি এইচ ডি, ইউনিভার্সিটিতে না ঢুকে কানাডিয়ান গভর্মেন্টে উচ্চ পদে আসীন। ধুমধামের হীরের আংটির অনুষ্ঠানের প্রায় এক বছর ধরে তাদের বাড়ী কেনা, ঘর সাজানোর পরে হলুদ ও বিয়ের কার্ড পেলাম, খুব খুশি হলাম, মাতৃহারা এই মেয়ে স্বভাবগুনে সকলেরই আদরের। একটু বিলম্বে পৌছে আমার কাছে হলুদের অনুষ্ঠানের জৌলুশ কেন যেন প্রানহীন লাগছিল, বেশ অনেক টেবিল ফাঁকা


নতুন ভাবে ফিরে আসার গল্প

মেঘা এর ছবি
লিখেছেন মেঘা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ৬:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলায় আম্মু বাসায় ধরে রাখার জন্য গল্পের বই পড়ানোর অভ্যাস করিয়েছিল আমার বোনকে। আমাদের গল্প খুব পছন্দ ছিল। আম্মু বই থেকে গল্প পড়ে আমাদের শোনাত বিকালের দিকে। গল্পের মধ্যে যখন মন ঢুকে যেতো তখন হঠাৎ করে পড়া বাদ দিয়ে বলতো “বাকিটা পরে শোনাবো এখন চা বানাতে হবে” এই কথা শোনা মাত্র আমরা যে কী ভীষণ পরিমাণ বিরক্ত হতাম আম্মুর উপর! আপু তখন স্কুলে পড়ে। মাত্রই বানান করে রিডিং পড়তে শিখেছে আর আমি তো গন্ড মূর্খ!


July 8th

বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস, সতর্কীকরণ এবং সরকারের উদাসীনতা

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ১২:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশে বরাবরের মতো এ বছরও ব্যাপক বন্যা হয়েছে এবং হচ্ছে। খবরে দেখলাম প্রচুর লোক হতাহত এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। দেশের কৃষি ও অর্থনীতিও বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আধুনিক যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দুর্যোগের পূর্বাভাসও এখন আগে থেকে দিয়ে দেয়া যায়। বাংলাদেশে আমরা দীর্ঘকাল বন্যার সাথে বসবাস করে আসলেও বাংলাদেশ সরকার বন্যার পূর্বাভাস দেয়া শুরু করেছে মোটামুটি


হামহামে হুলস্থূল

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ১০:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
সতর্কতা:


হাবিজাবি-০১

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ৭:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাতিল।
আজকাল আর গোধূলি উড়ে না আকাশে, শূন্যতার পাশাপাশি কিছু একটা থমকে দাঁড়ায় থাকে। পরিচিত পথগুলোতে হাঁটতে থাকলে বিষণ্ণতা পায়ে লেপটে শরীরে উঠে আসে। এদিকে শরীরের প্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা আরও শক্ত। তবে এ পথ হারিয়ে যাবে এই রকমবোধ হবার কোন মানে নেই, অনন্তকাল ধরে জমিছেঁড়া লেইকটার মতো আমাকেও আঁকড়ে থাকতে হবে এখানে, ঝড়ে বৃষ্টিতে কাদা প্রেমে জড়াবে, বারান্দা ভাসিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে দিবে- তবু থাকতে হবে, যত অভিযোগই প্রতিবেশীরা আনুক মিথ্যে অঙ্গীকার করে হলেও থাকতে হবে। যাবার অন্য কোন জায়গা নেই তা নয়, তবু অন্য এক বৈপ্লবিক(স্বমত) বোধের কারণে নাড়িছেঁড়া সম্ভব হবে না কোন কালেই।


আমি, মার্কেজের বৃষ্টিসঙ্গী

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ৪:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুকনো রোদে পোড়া দেশ আমার, সারা মহাদেশের একমাত্র ভূখণ্ড যার সাথে দুই-দুইটি মহাসাগরের সখ্য আছে কিন্তু বাস্প ভেজা শীতল হাওয়া আর পোয়াতি কালো মেঘেরা ঊষর প্রান্তর পেরিয়ে আমাদের উঠানে আসতে পারে না, তার আগে আগে ঝরে ঝরে রীতিমত হালকা অবস্থায় ফ্যাঁকাসে দর্শন দিয়ে শিমুলের তুলার মত দূর থেকেই সীমানার বাহিরে চলে যায়। চাতককে হার মানিয়ে অধিকতর আগ্রহ নিয়ে আকাশ পানের চেয়ে থাকি আমরা দিবা-রাত্রি, যদি দলহারা


নাট্যচর্চা। মাহবুব লীলেন এর ‘অরক্ষিতা’ – সময়ের পালাবদলের সোপান এবং ফিরে দেখা মহাকাব্যের ভিন্ন আখ্যান

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ১২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নাটক! সাহিত্যের নন্দতত্ব থেকে একটা প্রক্ষিপ্ত আস্ফালন যদি কোন কিছুকে দেউলিয়া করে দিয়ে থাকে, মন-মনন-ভাষা-আকৃতি-পরিধী-বিস্তার এর গাঁট বেঁধে থাকে, বুদ্ধিদীপ্ত মারপ্যাঁচ থেকে শুরু করে ‘ছোটলোকের’ চিৎকার এর সাযুজ্য এনে থাকে, কথাযুক্ত অবয়বকে সাকার করে থাকে, নিছক চিত্রকল্পকে ঘোর বাস্তবের দাঁড়ি পাল্লায় কিংবা মলিন প্যারামিটারের আকৃতি দিয়ে থাকে – তা হল নাটক।


July 7th

গ্রুপস্টাডি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৭/০৭/২০১২ - ১২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্রুপস্টাডি
অন্ধ ছিলাম আমরা;
প্রথমে বর্ণ পরিচয়,
অতঃপর শব্দ পরিচয়
অমনি অসতর্ক শব্দ গুলো উড়তে লাগল সাদা-কালো মেঘদের ছুয়ে ছুয়ে
সিমফুল ঠোট গুজে নেমে এল নতুন বউয়ের মত রোদ।

আমরা গন্ধ শিখলাম;
নিকষ কালো রাত্রির টাটকা গন্ধ
মিটিমিটি জ্বলা জোনাকি পোকার গন্ধ
আর উদাসীন, চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা মৃতপ্রায় নদীটির গন্ধ ।
আমরা গন্ধ শিখলাম;


সন্তর্পণে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৭/০৭/২০১২ - ১২:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অপরিচিত একজন লোক বারবার শরীরের দিকে তাকালে কেমন লাগে! অস্বস্তিতে ওড়নাটা বুকের ওপর টেনে দেয় তন্দ্রা। বাসে থাকলে তা-ও এসব লোলুপদৃষ্টি পাশ ফেরানো যায়, কিন্তু লেগুনায় একদম মুখোমুখি।

“হারামজাদা!”