Archive - 2012

March 24th

যে নেই

নিলয় নন্দী এর ছবি
লিখেছেন নিলয় নন্দী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৩/২০১২ - ৬:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খেতে বসে বাবার বিষম লেগে যায়। মুখে ভাত নিয়ে কী যেন বলতে চাইছিলেন, হঠাৎ কথাটা না বলতে গিয়েই গেল গলায় ভাত ঠেকে।
‘আহা, কী যে কর না! একটু রয়েসয়ে খেলেই তো পারো। দোকান কি তোমার পালিয়ে যাচ্ছে নাকি?’ মা রান্নাঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে বাবার মাথায় চাপড় দেন,‘একটু জল খাও। ঠিক হয়ে যাবে।’


March 23rd

সব চরিত্র কাল্পনিক।

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৩/২০১২ - ৫:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

আমার কাছে এই শহরের ধুলো হাজার হাজার বছরের পুরনো বলে মনে হয়!
জানালায় এই নারী, দিঘির জলে এর মাছ, আলিসায় এর পাখি, দেয়ালে এর কীট...
এক-এক সময় হেঁয়ালির মতো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
#জীবনানন্দ দাশ



আমার অন্যরকম একদিন

রেশনুভা এর ছবি
লিখেছেন রেশনুভা (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৩/২০১২ - ৪:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিনের শেষেঃ

এখন কাঁদছি। সশব্দে। নিজের কানেই কিরকম বেসুরো লাগছে। তারপরও কাঁদছি। আর লিখছি। লিখে রাখছি এই দিনটার কথা। বাঙালির আটপৌরে একটা দিনই প্রায়। স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন প্রায় পুরোটা পূরণ হতে গিয়েও হয় না। দিনশেষে প্রাপ্তির খাতা শূন্য। একবারেই শূন্য?


ওরা এগারোজন

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৩/২০১২ - ২:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১৬০ মিলিয়ন মানুষের সমবেত দীর্ঘশ্বাসের আওয়াজটা কত জোরালো হতে পারে ?? নীরব ঢাকা শহর বলছে খুব বেশি নয়। তবে মীরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের চত্বরে এশিয়া কাপ বিজয়ী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের উল্লাসের ধ্বনিকে সেটা ছাড়িয়ে গেছে। নিশ্চিতভাবেই।


ক্যান্সার

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৩/২০১২ - ১২:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক আধাঘণ্টা আগে বাড়ি ফিরলাম,
সারাদিন কড়া রোদের নীচে দাঁড়িয়ে থাকার পর,
ঘরে ঢুকতেই টুপ করে ঝড়ে যায় রৌদ্রের গন্ধ।
ইতিহাস হয়ে যায়, তীব্র সূর্যালোক।

আমি ইতিহাস পড়ি না, বুঝি না, পাত্তা দেই না,
রৌদ্রের গন্ধরা কোথায় মিলিয়ে যায়! মুহূর্তে, ইতিহাস হয়।

রাস্তার মোড়ে দেখা ক্ষণিকের রূপসীরা -
তাদের সমস্ত চর্চিত সুতীব্র রূপ নিয়ে চোখের পলকে উধাও হয়,
বুকের ভেতর চকিত তীব্র তোলপাড়,


ঢাকামেট্রো ২২-০৩১২

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৩/২০১২ - ১১:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“রোজ ঘুম থেকে ওঠা, আর দাঁত মাজা, খবর কাগজে দুঃসংবাদ খোঁজা, দারুণ ব্যস্ততায় স্নান খাওয়া সারা হয়, জীবনে আরেকদিন আবার বাড়তি হয় হয়।” নচিকেতার গানের মত করে দিনযাপনের ঘটনাগুলো একই হলে একঘেঁয়ে হয়ে ওঠে। প্রতিদিনের গল্পে সেই ট্রাফিক জ্যামের গল্প, অনিশ্চয়তার গল্প আজ থাক। বরং বলি, ঢাকার দেয়াল লিখনের কথা। কষ্টে আছি আইজুদ্দিন অথবা অপেক্ষায় নাজির নেই। যাপনের কষ্ট এবং সুখক্ষণের অপেক্ষার এ শহরে নির্বাচন হব


প্রাপ্তি

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৩/২০১২ - ১১:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে না হয়
'না পাওয়াটা'ই পাওয়া,
হারেই না হয়
আজকে 'জিতে যাওয়া',

আজকে না হয় আবেগ উছাস আশা
তীব্রতম কষ্ট চেপেই হাসা,
আজকে না হয় গৌরবে বুক ভরা,
চোখের জলের মুকুট মাথায় পরা,

কালকে জানি ধরবো জয়ীর বেশ-


পরাজিত নবাব সিরাজউদ্দৌলা - দুই

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৩/২০১২ - ৮:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিরাজ উদ্দৌলা, সিংহাসনে অধিরুঢ় হইয়া, মাতা মহের পুরাণ কর্ম্মকারক ও সেনাপতিদিগকে পদচ্যুত করিলেন। কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক কতিপয় অল্পবয়স্ক দুষ্ক্রিয়াসক্ত ব্যক্তি তাঁহার প্রিয়পাত্র ও বিশ্বাসভাজন হইয়া উঠিল। তাহারা প্রতিদিন তাঁহাকে কেবল অন্যায্য ও নিষ্ঠুর ব্যাপারের অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিতে লাগিল। সেই সকল পরামর্শের এই ফল দর্শিয়াছিল, যে তৎকালে প্রায় কোন ব্যক্তির সম্পত্তি বা কোন স্ত্রীলোকের সতীত্ব রক্ষা পায় নাই।”
শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বাঙ্গালার ইতিহাস।
….....................

(প্রথম পর্বের পর)

নবাব আলিবর্দি মারা যাবার পর তাকে গোর দেবার আগেই সিরাজউদ্দৌলা তখতে লাফ দিয়ে বসেন। বসেই তিনি প্রথম কলকাঠি নাড়া আরম্ভ করেন খালা ঘষেটি বেগমের ঘষটামি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। ঘষেটি তার অঢেল পয়সাকড়ি নিয়ে মতিঝিল প্রাসাদে থাকতেন। প্রাসাদের চতুর্দিকে পানি, শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভিতরে ঘষেটি বেগম তার লাভার নাজির আলি আর কয়টা সিপাই। কিন্তু ফাইট হলনা, আলিবর্দির বিধবা স্ত্রীর অনুরোধে ঘষেটি আত্মসমর্পণ করেন। নাজির আলিকে কানে ধরে দরবার থেকে বের করে দেয়া হয়, ঘষেটিকে চালান করা হয় হেরেমে আর তার পয়সাকড়ি চালান করা হয় কোষাগারে। এ সবই হয় আলিবর্দি দেহরক্ষার দশ দিনের মধ্যে। নবাব কিছুটা চিন্তামুক্ত এখন। তবে পুর্ণিয়ার নবাব, শওকত জং আর ইংরেজের সাথে বোঝাপড়া বাকি।