(তোমার)
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো বিষন্নতা
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো ডায়েরি খাতা
তোমার চেয়ে স্বপ্ন স্মৃতি শত্রু বেশি
তোমার চেয়ে তোমার চুলই সর্বনাশী!
তোমার চেয়ে নীরব রাতই শক্তিশালী
অর্থবিহীন খামখেয়ালি খামখেয়ালি !
(আমার)
আমি অতি আলসে এবং ঘরকুনো
আমার চুলে ঘর ছাড়ে না উকুনও
আমার কিছু দুঃখ আছে, অ্যাতো সুক্ষ্ন যে
সন্ধ্যা হলে চা’য়ের কাপে সুখ খোঁজে
জনতার প্রচন্ড ভীড় থেকে অস্থির আওয়াজ শুনা যাচ্ছে, বেশিরভাগই হতাশামাখা। কি যে হয়ে গেলো এতো দ্রুত অনেকেই ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারলোনা।
একে অন্যের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে তারা বলছে, ''হায়! তিনি কোথায় চলে গেলেন''
একজন বলছে, ''আমি ঘোর পাপী, তাই ঈশ্বর আমাকে দেখা না দিয়েই চলে গেলেন''
ভীড় ঠেলে বের হয়ে এসে কেউ একজন সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো, ''এই ভর দুপুরে ঈশ্বর কোথায় যেতে পারেন বলে মনে হয়?''
অফিসে বসে নিজের বানানো রঙ চায়ে চুমুক দিচ্ছি আর ফেসবুক চ্যাটে গল্প করছি স্টুয়ার্ট এর সাথে। স্টুয়ার্ট আর লিন দম্পতি, বাস করতো ইংল্যান্ডের লেইক ডিস্ট্রিক্টে যেখানে তিনবছর আগে আমার ও বসতি ছিলো। স্টুয়ার্ট বিশালদেহী দিলখোলা আমেরিকান, লিন ছোটখাটো ইংলিশ লেডি- দুজনেই ঘুরতে পছন্দ করে। সেই সূত্রে আমার সাথে সখ্যতা। ওরা যখন আমেরিকা ফিরে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের জন্য আমি ও প্রস্তুতি নিচ্ছি দেশে ফিরে আসার। আমাদের আরেক
তৃতীয় পর্ব
[আগের পর্বে লেখার সাথে সাথে ছবি দিয়েছিলাম। কিন্তু আর একজন চেয়েছিলেন লেখা প্রথমে, ছবি শেষে। এবারে তাই থোকায় থোকায় দিলাম]।
মেঘ-মাখান সকাল
জান-এ-মন যেদিন বিবিজান হতে রাজী হলেন সেদিন থেকেই নিজের সৌভাগ্যে আমার প্রবল আস্থা। পরবর্তীতে বহুবার বহু কিসিমের আছাড় খেলেও এই আস্থার ঝান্ডা আজও উঁচু করে রেখেছি। গ্লেসিয়ার বে অভিমুখে নরওয়েজিয়ান ক্রুজ লাইন জাহাজ কোম্পানীর এ বছরের শেষ ক্রুজের সওয়ারী আমরা। আবহাওয়ার ভবিষ্যৎ-বাণী প্রচুর হতাশার কথা বলে রেখেছে। কিন্তু, ঐ যে, আমার আস্থা! আবারো পয়সা উশুল! জাহাজে ওঠার আগের মুহুর্ত পর্যন্ত বৃষ্টি নামেনি! আবার, তিমি দেখার দিনেও সূর্যের আলোর কোন কৃপণতা ঘটে নি! কিন্তু গ্লেসিয়ার বে!
অলভিয়া বন্দরে ভিড়ছে জাহাজ।
মিউনিখ থেকে রওয়ানা হয়ে বোডেন লেক পেরিয়ে সুইজারল্যান্ড। সেখান থেকে আরও চারশো কিলোমিটার দক্ষিণে ইতালির সমুদ্রবন্দর জেনোয়া। গাড়িপথে বাড়ি থেকে সর্বসাকুল্যে ৬৩০ কিলোমিটার।
হরতালের চতুর্থ দিন। হাতে যা টুকটাক কাজ ছিল সেগুলোও গত তিনদিনে হয়ে গেছে। আজকে দুপুরবেলা তাই ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে বাঘ ও হরিণ ছানা নামে একটা ভিডিওর লিঙ্ক দেখে খুলে দেখতে বসে গেলাম। প্রথমবার দেখে খুব মজা পেলাম। বাবা-মেয়ের যুগলবন্দী। বাবা খুব দরদ দিয়ে গানটা গেয়েছেন। আর এইটুকু বয়সের মেয়েও কম যায় না। নিজের গানের গলা আর এক্সপ্রেশন দিয়ে বাবার
রুটি-রুজির তাগিদে প্রায় প্রত্যেকদিন মোতালিব প্লাজা আর এর আশপাশের এলাকায় যাওন লাগে। আতকা মনে হইল এই এলাকার এত আসি, যেই রাস্তার খাড়ায়া চা-পান খাই তার নামটা কী? জিগাইলাম যাগো লগে কথা হয়, তো প্রায় বেবাক মানুষের উত্তর হইল রাস্তার আবার নাম কী? হাতিরপুল! কেউ কেউ কয় সোনারগাঁ রোড। কিন্তু একটা মানুষও পাইলামনা যে আমারে কইল বীরউত্তম সি আর দত্ত সড়ক!!
সামাজিক যোগাযোগে, আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণে জন্মদিন-মৃত্যুবার্ষিকী-চেহলাম-কূলখানি-বিয়ে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এখানে যে পাঁচটি উৎসবের নাম উল্লেখ করলাম তার মাঝে শেষটি, বিয়ে, জীবিত মানুষের জন্য, মাঝের তিনটি মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে এবং প্রথমটি, জন্মদিন, জীবিত ও মৃত উভয়রকম মানুষের জন্য পালন করা হয়।
নারদের বুদ্ধিতে একেক ভাইয়ের ঘরে দ্রৌপদীর বার্ষিক পালা ঠিক হইবার পর অর্জুন যাইচা অপরাধ করে পাঁচ বচ্ছরের নির্বাসন-শাস্তি নিয়া পথে পথে তিনটা বিবাহ কইরা শেষে ফিরছিল দেশে। আর বনবাসের শুরুতেই আবার সে অস্ত্র সংগ্রহের নামে আরো পাঁচ বচ্ছরের লাইগা চইলা যায় দ্রৌপদী থাইকা দূরে। তাই এইবার অর্জুন ফিরা আসলে সমস্ত পালাটালা ভাইঙ্গা যুধিষ্ঠির দ্রৌপদীরে বরাদ্দ দেয় অর্জুনের ঘরে। কিন্তু এই অর্জুন তো আর সেই অর্জুন নাই।
“দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে গ্রীক”- বলা হয়ে থাকে যে দেবতাকে, গ্রীকরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি এবং অকৃত্রিমভাবে ভক্তি শ্রদ্ধা করতো সেই দেবতাকেই- ফিবাস এপোলো, যিনি এক সুদর্শন দেবতা, মহান সুরস্রষ্টা – সোনালী বীণা বাজিয়ে মাতিয়ে তুলতেন অলিম্পাস পর্বত। তিনি ছিলেন রূপালী ধনুকের প্রভু, ধনুর্বিদ্যার দেবতা, সুনিপুণ তীরন্দাজ, নিরাময়ের দেবতা – মানুষকে যিনি শিখিয়েছিলেন নিরাময়বিদ্যা। এইসব চমৎকার বিদ্যার অধিকারী হওয়া ছাড়াও তিনি ছিলেন আলোর দেবতা, সত্যের দেবতা।