এত ছুটলে; হারিয়ে ফেলবে নিজেকে।
বুঝতে পারবে না- তুমি এখন কোথায়;
ভুলে যাবে- কোথা থেকে এসেছিলে;
খুঁজে পাবে না
কোথায় যাচ্ছো;
তাই নিজের কাছে এসে
একটু স্থির হযে বসো।
এবার বলো,
কে তুমি?
তিনি আবার কহিলেন;
“বলো, তুমি কে ?”
এই অসীম নীল আকাশ,
রাতের অন্ধকারের ভেতর জ্বলে থাকা ঐ তারাদল,
তার নীচে এই পৃথিবী, সেখানে— এই যে আমি
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিভ্রমণ করছি
কে সে?
[justify]পটভূমিঃ
আবারও বেশ অনেকদিন পর সচলায়তনে আসা। আপনারা সবাই ভালো আছেন আশা করি। এখানে যাঁদের সঙ্গে কথা হত, তাঁদের মিস করি। সবাই পৃথিবীর কোণে কোণে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মে নির্ঘাৎ ব্যস্ত থাকেন, এই সচলের কথা কি কারুর মনে পড়ে?
একটা ছবি, এও ডিজিটাল, মোবাইলে আঁকা, ভাবলাম আপনাদের দেখাই।
সচলায়তনে আবার সচল হচ্ছি অনেক বছর পর। মডুদের ধন্যবাদ আমাকে খরচের খাতায় না ফেলার জন্য। অনেক লেখা পেয়ে গেলাম, বিশেষ করে কবিতাগুলো পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। ফেসবুক থেকে বাঁচতে আর নিজের মতো করে লিখতে সচলায়তনে ফিরতে পেরে স্বস্তি লাগছে। ২০০৭ এ শুরু করেছিলাম, আজ ২০২৪। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। তবু এই সম্পর্ক অটুট আছে। ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে।
পরীবাগ স্থপতি মজলিষ (উরফে পস্থম) হতে কিছুদিন আগে
ফোন দিয়া ডেকেছিল মোরে
স্থপতি বন্ধু মুলফাজ পেন্ডেলবন্দি, বলেছিল, খেলায়েত পস্থমে আয়।
স্বরচিত কবিতা কিসু যা শুনিয়ে। ...টাকা কি বিরিক্ষে ধরে? চা-সমুচা
-চানাচুর পাবি।
খুশি মনে বাছা বাছা বনেদি কবিতা কিছু ফল্ডারে ভরে
চলে যাই পরীবাগে। ছুটকালে একটি স্থপতিনী হাবিবি মম কানে
কানে কয়েছিল, স্থপতির মোন
৪ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সকাল ৯ টায় মিত্রবাহিনীর অধিনায়ক কর্নেল রাও আমাদের ক্যাম্পে এসে নির্দেশ দিলেন সন্ধ্যা ৭টায় পাক বাহিনীর শক্তিশালী ঘাটি পানিহাতা আক্রমণ করতে হবে। তার নির্দেশ শুনে আমার কোম্পানির যোদ্ধারা কিছুটা ভড়কে গেল । কারণ, কিছুদিন আগে উক্ত ঘাটি আক্রমণ করতে গিয়ে মুক্তিবাহিনীর একজন কোম্পানি কমান্ডার সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছে ।
তৃতীয়বার ফোন করার সময় মেজ আপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে হুমকির সুরে বললেন, আপনি যদি আধ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নেন তাহলে আমি ডিআইজি সদরুল আনামকে ফোন করতে বাধ্য হবো। তিনি আমার মামাতো ভাই।
আগের দুইবার ফোন করে কাজ না হওয়াতে মেজ আপা তৃতীয়বারে ডিআইজি সদরুল আনামকে আমদানী করলেন।
স্বনামধন্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদ আত্মহত্যা করেছেন। একাত্তরে অবাঙালিদের হাতে নিজের পিতাসহ আরো অনেকের নির্মম হত্যাকাণ্ড তিনি চাক্ষুষ দেখেছিলেন। সে বর্ণনা পড়ে যে কেউ শিউরে উঠতে বাধ্য। আত্মহত্যার পরে জানলাম সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় তার মনে অভিমান ছিলো। শহীদজায়া হিসেবে তাঁর মাকে কোনো সম্মান দেয়া হয়নি তা নিয়েও ক্ষোভ ছিলো। এই রাজাকার ও পাকবান্ধব সমাজ