মাঝি কোথায় কেউ জানে না।
এই দুরন্ত খেয়ার ওপর সবই আছে
যানবাহন আর হাটের মানুষ
কোলাহলে জমিয়ে রাখা সমাজ ছবি
ভাগাভাগি করে নেওয়া বিড়ির আগুন
কিংবা পানের দু এক খিলি
উজান থেকে ভাটির চরম খরস্রোতেও
কে করে পার এপার ওপার কেউ দেখে কি
কলমুখর হট্টগোলেও চলছে ঠিকই
তারই একটি ভেতর ঘরে মাঝি বসে, কেউ জানে না
এপার থেকে যাত্রাকালের অশ্র“মোচন
ওইপারেতে অপেক্ষমান আলিঙ্গনের, সবই জানে
আখর সূতোর নক্স...
ভোর চারটা। আমি ঘুমানোর চেষ্টা করছি। মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম করছে। মনে হচ্ছে এখনও দৌড়ের উপর, গাড়ি চালাচ্ছি, একবার ডানে আরেকবার বামে ঘুরছি আমি। বালিশে মাথা রেখে মনে হলো বিছানা দুলছে। উঠে যেয়ে এসি ছেড়ে দিলাম, একটা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে গেলো ঘরটা জুড়ে। উলটো দিক থেকে গুনতে শুরু করলাম এবার একশো, নিরানব্বই, আটানব্বই, সাতানব্বই...
বেলা এগারোটা। চর আলেকজান্ডার। একটু আগে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা...
বন্ধু আসিফ এতো রাতে ফোন করবে আমি নিজেও ভাবিনি। তাদের অপরাহ্ন চারটা বাজলেও ঢাকার ঘড়িতে রাত তখন দু'টো। এরকম অসময়ের ফোন নিজেকে আতঙ্কিত করে। কোন খারাপ সংবাদ না-তো-ভাবতে ভাবতে ঘুম চোখে যখন ফোনে আসিফের কন্ঠ শুনলাম, তখন বুঝতে দেরী হয়নি যে ব্যাপারটা বেশ সিরিয়াস। মার্কিন মুল্লুকের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে যুদ্ধাপরাধী জামাতীরা সেখানকার ইসলামী সংগঠনগুলোর ব্যানারে ন্যাশনাল প্রেস ক্লা...
কড়া কথা বলে ফেলতে পারাটা একটা গুনের পর্যায়ে পড়ে বলে শুনেছি।
আমি মনে করি না আমার মাঝে সেই গুনটা তেমন পরিমানে আছে। আমার শক্তির একটা বড় অংশ নষ্ট হয় কথা পালিশ করে বলতে গিয়ে। এতে কথা গুলো শুনতে ভালই শোনায়---কিন্তু সেইসব কথার কৃত্রিমতাটাও কানে বাজে।
রুঢ় আচরন করতে পারাটাও নাকি একটা গুণ। আমার মাঝে এই গুনটাও খুব বেশি পরিমানে নেই।আমার মাঝে মাঝে মনে হয়,রুঢ় আচরণ করতে গেলে যে সাহসটুকুর দরকার ...
স্মৃতির শহর কিন্তু থাকার জন্য দারুন। ওখানে না-গরম, না-ঠান্ডা, লোকজনের ব্যবহার মধুর, রিকশা ভাড়াও বেশ কম। কলে পানি পাওয়া যায় ঠিকমতই, ধূলাবালির প্রকোপ তেমন নেই, মশার উপদ্রব সহনীয়, অসুখ বিসুখের বালাই নেই, কাজকর্ম করলেও চলে, না করলেও অসুবিধা নেই। লোডশেডিং শুধু পূর্ণিমা রাতেই হয়, সাথে একটু উতল হাওয়াও থাকে। বিনা টিকেট, বিনা পাসপোর্টে সেখানে ঢোকা যায়, যতদিন খুশি থাকুন সেখানে কেউ কিছু বলবে ...
সচলে আসি আর সব বাঘাদের ছবি দেখে মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে যখন মাথার চুল অর্ধেক ধ্বসায় ফেলতেছি, তখন আর থাকতে না পেরে কিছু ছবি পুস্টায় ফেললাম। জানি, প্রথম নজরেই সবাই বলবেন, এমন ফটুক তো যে কেউ তুলতে পারে, খামোখা এখানে পুস্টায় সার্ভারের জায়গা নষ্ট করেন কেলা? কিন্তু সমস্যা হইল যে, অন্যেরা পারলেও আমি তো পারি না, তাই যা পারি তাই নিয়েই আনন্দে আটখানা থেকে ষোলখানা হবার উপায় হয়। ব্যাপার...
পকেট উপচে পড়া ক্যপস্টানের তাস,
চোখে ছুরি, তর্জনীতে মার্বেল,
এবার ঠিক প্রতিপক্ষ ঢুকে যাবে গর্তে
মাঞ্জামারা হাত এত কাবু নয়, তবু
তোমার লেজফিতার আট আনা কত উড়িয়েছি ধুলায়-
বলেছিলে দেখে নেবে।
দেখেতো নিয়েছো ঠিকই,
তোমার মৃগনাভে খেলে আজ বর্গী আঙুল।
বালকেরা জানেনা জীবন কতটা প্রবঞ্চক,
বালিকারা তবু ঠিকই শিখে যায় জাগতিক পাটিগণিত।
বেশ অনেক বছর কঠিন বাস্তব আমাকে ঘটমান বর্তমান থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। ইদানিং বেশ সময় পাচ্ছি, ব্লগে ব্লগে ঘুরে বেড়াই। নতুন প্রজন্ম কি করছে তা বুঝার চেষ্টা করি। (হায় হায়, নিজেই নিজেকে পুরাতন প্রজন্ম বানিয়ে দিলাম!!) অন্যান্য ব্লগে যদিও কিছু লেখা ভাল আসে, কিন্তু প্রায় সময়ই মন্তব্য পড়তে গিয়ে মাথা ঘুরে। ভাষা, রুচি, শালীনতা কোনকিছুই সংযত নয়। সেই তুলনায় সচলায়তনে লেখা পড়ে ভাল লাগে, যদিও অন...
পরীক্ষামূলকভাবে কিছুদিনের জন্য আড্ডাঘর চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এটা আগের মতই প্রচুর ব্যান্ডউইথ টানছিল এবং সচলায়তন ধীর গতির করে দিয়েছিল। এ কারণে আড্ডাঘর আপাতত বন্ধ রাখা হল।
কিন্তু আড্ডাঘরের বিপুল জনপ্রিয়তাও অস্বীকার করা যায় না। তাই নীচের অল্টারনেট সমাধানগুলি যাচাই করে দেখা হচ্ছে:
১। ব্যাকআপ সার্ভারে আড্ডাঘর হোস্ট করা
২। সচলায়তন আপগ্রেডের পর উন্নততর চ্যাট সার্ভার সফটওয়...
শূন্য
লতা যখন এ বাসায় আসে তখন ওর বয়স নয় কি দশ। আন্দাজ করা। নিজের বয়স জানত না ও। আট সদস্যের অভাবের সংসারে ক্ষুধার্ত মুখগুলোর বয়সের হিসেব কেউ রাখে না। মেয়ে হলে তো নয়ই।
ওরা ছিলো চার বোন, দুই ভাই। ভাইবোনদের মধ্যে লতা দ্বিতীয়, বোনদের মধ্যে বড়। বড় ভাই রাসেল ঠেলা চালাত। বাবা আব্দুর রব শেখ একজন মৌসুমী ভিখিরি। ঈষৎ ত্রুটিপূর্ণ পায়ের জোরে ভরা মৌসুমে ভিক্ষে করে খান, বাকিটা সময় ঘরে বসে ...