Archive - 2012 - ব্লগ

July 10th

অভিযোজন কাহিনী – সুইজারল্যান্ড ৬

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ৮:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশ ছেড়ে বাইরে থাকা যুগপৎ সুখের এবং বেদনার ব্যাপার। সুখ এইজন্য যে, আয় এবং ব্যয় সঙ্গতিপূর্ণ। সুখ এইজন্য, কারণ লোডশেডিং নেই। সুখ এইজন্য, সরকারী অফিসগুলো ঘুষ ছাড়াই কাজ করে দেয়। সুখ এইজন্য, কথায় কথায় স্থানীয় প্রভাবশালী মাস্তানেরা ধমক দিয়ে যায় না। এতসব সুখের ভীড় ছাপিয়ে কেবল দুঃখটাই প্রবল হয়ে ওঠে, নিঃসঙ্গতা। চেনা মানুষগুলো কেউই যে পাশে নেই!


মোবাইল যখন ক্যামেরা

শাব্দিক এর ছবি
লিখেছেন শাব্দিক [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ৭:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফোনে কথা বলাটা কেন জানি কখনোই আমার পছন্দের কাজ গুলির মধ্যে পড়ে না। নিতান্তই প্রয়োজনীয় কথাবার্তা ছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে প্যাচাল পারাটা আমার কাছে মহাবিরক্তিকর ব্যাপার। ভার্সিটিতে যেসব বন্ধু বান্ধবী প্রেম করত সারাদিন ঘুরাঘুরি করার পর দেখতাম (শুনতাম বলিনি কিন্তু) সারারাত ফিশফিশ করে ফোনে কথা বলে। কি যে এত কথা আল্লাহ মালুম!


July 9th

স্বপ্নপূরণের দোর গোড়ায়ঃ LHC এর নতুন চমক -পর্ব ২ (শেষ পর্ব)

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্বে আমরা জেনেছি মৌলিক কণাদের বিষয়ে। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও জেনেছি সেই সাথে। যেমন, এই দুনিয়াদারীর সকল কণা সমুহকে দুইটা ভাগে ভাগ করা যায়-ফার্মিওন আর বোসন। আমরা জেনেছি ফার্মিওন নাম রাখা হয়েছে এনরিকো ইগলেসিয়াস থুক্কু, ফার্মির নামে আর বোসন নামটা এসেছে এই বাংলার ছেলে সত্যেন বোসের নামে যিনি কিনা অনেক দিন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়িয়ে গেছেন


আমিই মরিনহো

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১১:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
হাঁটু মুড়ে ডাগআউটের পাশেই মাঠে বসে ছিলাম আমি। টাইব্রেকারের শেষ কিকটা নিতে মাঝমাঠ থেকে শোয়েইনি যখন সামনে এগুলো, তার স্থির অথচ জোরালো পদক্ষেপগুলো দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম যে সব শেষ, জার্মান স্নায়ূ আরো একবার বরফশীতল থেকে বিজয়ী হয়েই মাঠ ছাড়তে যাচ্ছে। তারপরেও একটা ক্ষীণ আশা ছিলো। যদি হয়, যদি হয়ে যায়...


কাঙালের ধন রবিস্টাইনুস

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ৯:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Robistainus

পোথোমালো খেলে কী যে ছিনিমিনি ভেবে মানে খুঁজে পাইনে
আইনস্টাইন রবি ঠাকুরের সাথে ইউনূসও একই লাইনে


প্যান্ট পরা কি খারাপ?

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ৬:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভোরবেলা প্রায়ই দেখা হয় আঙ্কেলটার সঙ্গে। আমি তল্লাবাগ থেকে ইন্দিরা রোড হয়ে বেরিয়ে সংসদভবনকে ঘিরে দুটো চক্কর দিয়ে বাসায় চলে আসি। আঙ্কেলকে দেখি হাতে একটা ছড়ি নিয়ে উদাস বদনে হাঁটাহাঁটি করেন। ভোরের বাতাসে মাঝেমধ্যে পতাকার মতো পতপত করে ওড়ে তাঁর ধুতি। তিনি নির্বিকার। নিষ্কম্পচিত্ত।


তীর্থের কাক ১৪

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কোলকাতার ট্রামে হারিয়ে ফেলেছিলেন অদ্বিতীয় “অদ্বৈত মল্ল বর্মন”। তীর্থের কাকের প্রায় সম্পূর্ণ লেখাটা খোয়া গেছে আগের ল্যাপটপ সারাতে গিয়ে। সচলে যতটুকু দেয়াছিল তার পর থেকে আবার নতুন করে লিখতে হচ্ছে। লেখা জমা রাখার নিরাপদ জায়গা সচলায়তনে আজকের লেখা পর্বটি জমা রাখছি। বিরতির কারণ যাই হোক; যারা তীর্থের কাক পড়তেন তাদের কাছে এই অনাকাংক্ষিত বিলম্ব এবং অনিয়মিতির জন্য ক


তাসে নাশ

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাতের খাবার শেষ হওয়ার পর প্রতিদিনই আমাদের রুমের সামনের একটুকু ফাঁকা জায়গায় সহকর্মীরা এসে গল্পগুজবে মাতেন। তারপর একসময় লাল কাপড়ে ঢাকা টেবিলটার এককোনায় পড়ে থাকা তাসের প্যাকেটটা হাতে নিয়ে মহসীন স্যার হাঁক দেন, '' কই ফজলুল করিম, আসো শুরু হয়ে যাক, আজকে কিন্তু মঞ্জুরদের একদম শোয়াই ফেলতে হবে''। করিম ভাই সদ্য ব্রিজ খেলা শিখেছেন, উৎসাহে তার ভাটা নেই। এক পিয়নকে ব্রিজ খেলার জন্য বিশেষভাবে একটা খা


মোগলাই খানাদানা - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বসন্তকাল, ১৬৪১। দুই পর্তুগীজ পাদ্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় লাহোরের এক চমকদার প্রাসাদের গ্র্যান্ড রিসেপশন রুমের লাগোয়া ব্যালকনিতে। প্রাসাদের মালিক মোগল সাম্রাজ্যের অন্যতম কুতুব আসফ খাঁ, আরজুমান্দ বানু বেগম ওরফে মুমতাজ মহলের পিতা।

ঐ সন্ধ্যায় আসফ খাঁ আর তার বউ মহান বাদশা শাজাহানকে চাট্টি ভাত খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন। লুকিয়ে ব্যালকনি থেকে দুই পাদ্রী এই ব্যাপক খানাদানার আয়োজন দেখতে থাকেন হাঁ করে। ঝলমল করছে সিল্কি রূপালি সোনালি জরির কাজ করা কার্পেট, চতুর্দিকে মৌমৌ করছে সুগন্ধী আতরের বাস। রুমের ঠিক কেন্দ্রে মিহি মসলিনের কাজ করা টেবলক্লথ আর তার চারধারে নানবিধ কুশন। সোনামোতির হার গলায় ঝুলিয়ে রুমে ঢুকলেন মহান মোগল সম্রাট, আগেপিছে দাসীবান্দি সহকারে। কুশনে আরাম করে বসে সকলে হাত ধুয়ে নিলেন অত্যাধিক কচি ও ততোধিক সুন্দরী দাসীদের এগিয়ে দেওয়া পানিপাত্রে।