পুর্বকথাঃ
এরা মাঝে মাঝেই জানতে চায়, আমি কোথা থেকে এলাম। আমি বলি- একটা ভালভ টেনে, আর সে ভালভটা ছিলো সুতোয় বাঁধা। তখন অবাক বিস্ময়ে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, ভালভ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই এদের, সুতো জিনিসটাও অচেনা। আমি নিজেও বুঝিয়ে বলতে পারিনা, আমার কিছু মনে নেই। এদের কৌতূহল অবশ্য ওই পর্যন্তই, খুব বেশি ঘাটায় না আমাকে। আমিও নিবিষ্ট মনে কাজ করে যাই।
'সসেমিরা' একটি বিশেষ্য পদ যার অর্থ সঙ্কটজনক অবস্থা অথবা কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। শব্দটি কালিদাসের 'দ্বাত্রিংশৎ-পুত্তলিকা' আখ্যানকাব্যে বর্ণিত চারটি শ্লোকের প্রত্যেকটির আদ্যাক্ষরের সমষ্টি।
পর্ব = ৫
(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)
১০৪ নম্বর দলটা মেরামত কারখানার একটা বড় ঘরে গেল যেটার জানালাগুলো গত শরৎকালেই ঘসেমেজে চকচকে করা হয়েছে আর সেটাতে ৩৮ নম্বর দলটা কংক্রিটের স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ করছে। কিছু স্ল্যাব কাঠের ছাঁচের ভেতরে রাখা আর অন্যগুলো তারের জাল দিয়ে পোক্ত করে বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা। ছাদটা অনেক উঁচু আর মেঝেটা শুধুই মাটির। জায়গাটা একেবারে হিমশীতল হয়ে থাকতো, যদি না কয়লা জ্বালিয়ে উষ্ণ করে না রাখা হতো, অবশ্য সেটা কর্মীদের জন্য নয়, স্ল্যাবগুলো যাতে তারাতারি জমাট বাধঁতে পারে সেজন্য। সেখানে একটা থার্মোমিটারও আছে। এমনকি রোববারগুলোতেও, কেও যদি কোন কারনে নাও আসে, একজন সিভিলিয়ানকে সেখানে রাখা হয় শুধু উনুনটা জ্বালিয়ে রাখার জন্য। ৩৮ নম্বর দলের লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই বাইরের কাউকে উনুনের আশেপাশে বসতে দিতে আগ্রহী না। তাদের দলের লোকেরাই সেটার চারপাশে বসে পায়ে প্যাঁচানোর ন্যাকরাগুলো শুকোচ্ছে। কি আর করা, ওই কোনায় বসা যায়, ওই জায়গাটাও খারাপ না।
পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে আবারও মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে রাখাল রাহার এক উদ্যোগকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান অনেক বিস্ময় ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি একবার সরকারের পক্ষ নিয়ে প্রশ্নফাঁসবিরোধী বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিতে চাননি, আবার পরে তা অস্বীকার করে বিবেকের দায় মিটিয়েছেন। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম প্রশ্নফাঁসের দায় আবারও শিক্ষকদের কাঁধে চাপান
ভণিতা:
ইতিহাস একজন বেচারা দর্শক মাত্র। তার বুকের উপর এফোঁড় ওফোঁড় করে কত নায়ক মহানায়ক কতশত কাণ্ডকীর্তি করে যায়, ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখা ছাড়া বেচারার আর কিছুই করার থাকে না। কিন্তু ইতিহাস পাঠক চাইলে সেই কীর্তিগুলো উল্টে পাল্টে যাচাই বাছাই করে দেখতে পারে, সত্যি-মিথ্যা নির্ণয়ের চেষ্টা চালাতে পারে। নগন্য ইতিহাস পাঠক হিসেবে সেরকমই একখানা দুঃসাহসিক চেষ্টার ফলাফল এই পোস্ট। এটি শতভাগ নির্ভুল এমন বোকাটে দাবী করছি না। পোস্টখানা একজন খুব জটিল রহস্যময় ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ব্যক্তির বৈচিত্রময় উত্থান সম্পর্কে দু'পয়সার কিছু ভাবনা ভাগ করে নেবার চেষ্টা মাত্র।
জঙ্গিবাদ মূলত একটি সামরিক কৌশল, যেটা মানুষের মধ্যে ভয় সঞ্চার করার মাধ্যমে একটা ভৌগোলিক অঞ্চলের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের চেষ্টা করে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, কোনো একটা গোষ্ঠী যদি সামর্থের দিক থেকে খুব দুর্বল হয়, বা তারা যাদেরকে প্রতিপক্ষ মনে করে তাদের খুব বেশি বাস্তব ক্ষতি করার ক্ষমতা না থাকে, সে ধরনের গোষ্ঠীই সাধারণত এই ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। যদিও এ কথাও সত্যি যে প্রা
একটি যাত্রা শুরু হয়েছে, বড় দেরী হয়ে গেলেও যাত্রাটি শুরু হয়েছে। সেই চলমান যাত্রায় কোনো এক অংশে নিজেও যাত্রী হলাম। মেঠো পথ ধরে হাঁটছি আমরা তিনজন। ঢালু সেই পথ নেমে গেছে সুরমা নদীর এক খেয়াঘাটে। এইসব পরিবেশ অনেকদিনের অচেনা। হাঁটতে হাঁটতে অদ্ভুত সুন্দর কিছু ফুল দেখে এক জায়গায় থামতে হল। রাস্তা থেকে নেমে ক্ষেতে গিয়ে বসলাম। ছুঁয়ে দেখছি ফুলগুলো। নাম জানি না। সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করলে যদি লজ্জা পেতে হয়!
আমার হাতে যদি কখনো একটা টাইম মেশিন এসে পড়ে আর তাতে করে যদি অতীতে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়,আমি দ্বিধায় পড়ে যাব।আমি কেন, বেশির ভাগ মানুষের তাই হবার কথা,কারন কোনটা ছেড়ে কোনটা বাছব সেই জাতীয় সমস্যা এটা।তবে ইদানিং মনে হয় একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বরে ফিরতে পারাটাই সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হবে।স্বাধীনতার এগার বছর পর আমার জন্ম,একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর আমি দেখিনি,কিন্তু কল্পনা করতে পারি সেদিন বিকেল সাড়ে চারটায় রেস্কোর্স