বলধরা

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৪/০৩/২০১৭ - ৭:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উঠোনের এক কোণেই দোতলার সিঁড়ি উঠেছে । সিঁড়ির নিচের ত্রিভুজাকৃতির খোপটাতেই খড়ির দু’টো চুলো। নানির সারাটা দিন কাটতো ওখানে বসেই। সকালের নাস্তা, দুপুরের ভাত, সন্ধ্যাতেই হয়ে যেত রাতের খাবারও। ভোরে ওখানে বসেই রুটি বেলতেন আর আমরা নানিকে কেন্দ্র করে অর্ধবৃত্তাকারে বসতাম নাস্তা করতে। গরম গরম রুটি চুলো থেকে সরাসরি কাঁসার থালায়। মাথার উপর উঠোনের অনেকটা জায়গা ধরে ছেয়ে ছিলো একটা পেয়ারা গাছের শাখা-প্রশাখা। বলধরা


'আলিগড়' - অসহিষ্ণু সমাজে, অনাহুত শুদ্ধচারিতার গল্প

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৩/২০১৭ - ১২:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সহস্র বছরের স্হির বিশ্বাসের হেজিমনিতে যে কোনো আঘাত আমরা সইতে পারিনা। সংস্কারের মিথ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখলে আমরা কেমন একাট্টা হয়ে হৈ হৈ করে উঠি। নিজে আমিষভোজী বা বিবাহের বিপক্ষের বলেই যেন বিপরীত অবস্হানের মানুষের পছন্দকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় আমার রায় দেবার অধিকার জুটে যায়।এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির একান্ত ব্যাক্তিগত যৌন আচরণের সাথে যদি আমাদের ছকবন্ধ পছন্দের ঠোকাঠুকি লাগে তবে তো হয়েই গেল!


আমাদের মায়েরা

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১৭ - ৪:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আমাদের বয়স হয়েছে, খোঁজ রাখবেন’-
কত সহজে মা বলে যেতে পারলো কথাটি
আমাদের মায়েরা সেই অমোঘ বাক্যে
বিচলিত হল না, একটু হয়তো ঝরে পড়লো
সন্ধ্যার বনজ অন্ধকার শূন্যতা থেকে শেষ আলোটুকু
নিংড়ে নিয়ে আমাদের মায়েদের মুখে ছড়িয়ে দেয়
তাদের হাসি শালবনের বাতাসে সহজ ভঙ্গিতে তোলে মর্মরধ্বনি
পরস্পরের চোখে বহুদিনের গড়া সংসারকে পূর্ণ রেখে
আমাদের মায়েরা এখন
ফাল্গুনের এই বনের মত নিঝুম, নির্জন।


পাণ্ডুলিপি পুড়ে যায়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বুধ, ২২/০২/২০১৭ - ২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আলেকজান্দ্রিয়া থেকে অমর একুশ,
নালন্দা থেকে শুদ্ধস্বর,
জালুস্কি থেকে কম্বোডিয়া,
অভিজিৎ থেকে এন্ড্রোমিডা -
পুড়ে যাচ্ছে তীব্র দহনে।

দহন মূলত রূপান্তর, গ্রহণ মূলত সাময়িক পলায়ন;
যাত্রা মূলত ক্ষণস্থায়ী অবস্থানের সীমায়িত সমাকলন;
স্থির সংকল্প মূলত নির্বিকার যাত্রার মতো গতিময়।

পুড়ে যাচ্ছে জাউরাক, জিবাল আর বিশাখা;
পুড়ে যাচ্ছে চিত্রলেখা, প্রত্যুষ, প্রতীতি;


২১ ফেব্রুয়ারীঃ ফেইসবুক বনাম বাস্তবতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০১৭ - ১০:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২১ ফেব্রুয়ারি নিয়ে এবার অতিরিক্ত কচকচানি ঘচঘচানি হয়েছে। বাস্তবে না, ফেইসবুকে। ঝুড়ি ভর্তি লেবু এতই বেশী কচলানো হয়েছে যে বিষ একদম চারপাশে। ফেইসবুক আর বাস্তব এক নাকি এটা নিয়ে আমার মনে সবসময় সন্দেহ থাকে। তাই অফিসে ছুটি না থাকা সত্ত্বেও পানি আসলে কতটুকু গড়িয়েছে, তা যাচাই করার জন্য বের হলাম।


বেয়াদব গদ্য চাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০২/২০১৭ - ১২:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেয়াদব গদ্য চাই

রাজিব মাহমুদ

ভূমিকাঃ


একুশে উদযাপন, একুশে বাণিজ্যঃ রুচির শেষ কোথায়, কোথায় কুরুচির শুরু

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২০/০২/২০১৭ - ১২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যখন পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলাম, তখন আমরা বাঙালী শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর একুশেকে কেন্দ্র করে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। আমাদের বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠনের বাৎসরিক কর্যক্রমের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতো সেটাই, ভার্সিটির বড় অডিটোরিয়াম ভাড়া করে এবং সবার জন্য উন্মুক্ত করে। যতদুর জানি আজও পার্ডুতে এটা অব্যাহত আছে। এখনকার কথা জানি না, তবে আমাদের সময় অনুষ্ঠানটার মৌলিক কাঠামো ছিল অনেকটা এরকমঃ


One day in the life of Ivan Denisovich (আইভান ডেনিসোভিচের জীবনের একদিন) - পর্ব - ৪ : A novel by Alexander Solzhensitsyn

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০২/২০১৭ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব = ৪

(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)

ভিড়টা হালকা হয়ে আসছে। গার্ড-হাউজের পেছনে প্রহরীদের জ্বালানো আগুনটা জ্বলছে। এরা সবসময়ই বন্দীদের বাইরে কাজে পাঠানোর সময় আগুন জ্বালায়। একদিকে গাটাও গরম রাখা যায়, অন্যদিকে আগুনের আলোর কারনে গুনাগুনির কাজের সময় দেখতেও সুবিধা হয়।

গেটের প্রহরীদের একজন দ্রুত গুনতে লাগলো, “প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয়...”