"Discuss - Analyse - Strategise - Get Active" এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্রাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর ধারাবাহিক কর্মশালার প্রথম কর্মশালাটি হয়ে গেল শনিবার ২৩শে মার্চ ২০১৩ লন্ডনের মন্টিফিওরি সেন্টারে। বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের সম্মানিত হাই কমিশনার জনাব মিজারুল কায়েস, লন্ডনের প্রিন্ট-বেতার-টিভি মিডিয়ার কর্মী এবং সঞ্চালকবৃন্দ, এবং নানা পেশা নানা বয়সের এক ঝাঁক কর্মী এবং সংগঠকের উপস্থিতি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথ্য ও বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ এই অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে আরও যোগ দেন জার্মানী, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের কর্মী ও সংগঠকবৃন্দ যারা শাহবাগ পরবর্তী বিভিন্ন উদ্যোগগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।
ভূমিকা বা ভণিতাহীন...
আমার আয়নায় প্রতিবিম্বিত চরিত্রগুলো -
পার্ল এস. বা্কের মা
চেজিরা, টু উইমেন, আলবার্তো মোরাভিয়া
দীপার সাতকাহন
গর্ভধারিনী জয়িতাঃ
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
বন্ধুর কাছ থেকে ধার করা একটি ছোট্ট চুটকি দিয়ে শুরু করা যাক। ক্রিস্টোফার কলম্বাস বাঙালি হলে কোনদিন আমেরিকা মহাদেশ যাত্রার সমুদ্রপথ আবিষ্কার করতে পারতেন না। সদর দরজা দিয়ে বেরুতে না বেরুতেই তো গিন্নির হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে হতো; কোথায় যাচ্ছ? কেন যাচ্ছ? দুনিয়াতে এত মানুষ থাকতে তোমাকেই কেন যেতে হবে? রাতে এসে খাবে তো?
প্রিয় সচল, অতিথি লেখক এবং পাঠকবৃন্দ,
আপনারা অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের প্ররোচনায় বর্তমান সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন ব্লগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার অজুহাতে ব্লগ বন্ধ সহ ব্লগাদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। খবরটি পাওয়ামাত্র আমরা হতবাক, মর্মাহত এবং ভীষণ হতাশ হয়েছি।
আলো আর ছায়ার খেলা অদ্ভুত একটা নকশা তৈরী করছে, সারাদিনের কাজের শেষের ক্লান্তি নিয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছি সেই খেলা। কেন যেন মনে হয় আলোছায়ার ঐ অদ্ভুত রহস্যময় নকশা আমাকে কিছু বলতে চায়। কী বলতে চায়?
নাই বুঝি টু করার শক্তি? হাত পা বুঝি বাঁধা?
মানব বুঝি যা বলো তাই? ভাবছ বুঝি গাধা?
মাটিতে পা পড়ছে না তো, উড়ছ আকাশটাতে?
মনে রেখ ঘুড্ডি তুমি, লাটাই আমার হাতে।
উচ্চ থেকে লাগছে আমায় পিপীলিকার মতো?
জান না কি সদলবলে শক্তি তাদের কতো?
ঘোলটা দেবে আমায় খেতে সরটা তুমি খেয়ে!
ভাবছ বুঝি দেখব কেবল এসব চেয়ে চেয়ে?
কেউ আমাকে মারবে ছুরি মাঝ বরাবর বুকে
আমি কেবল পড়ে পড়ে মরব ধুঁকে ধুঁকে?
এমন উত্তাল মহালগ্নে দেশে ১৮ দিনের সফরে কি দেখলাম, তা নিয়ে কিছু লিখবো ভাবছিলাম; তার চেয়ে দেশ থেকে ফিরে এখানে যা দেখলাম সে প্রসঙ্গটিই আগে টানি। ফিনল্যান্ডে বসবাসরত বাঙ্গালীর সঠিক সংখ্যা আমার জানা নেই। বড়জোর ৪ হাজার হবে। তার মাঝে অনেকেই রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে অনেক দূর দুরান্তে অধ্যয়ন কিংবা চাকুরীর নিমিত্তে বসবাস করে। রাজধানীতে প্রবাসী বাংলাদেশের বাঙ্গালীর সংখ্যা খুব সম্ভবত হাজার দুয়েক। তাতে কি! এই হাতে গোনা দু’হাজারই বহু ভাগে বিভক্ত- আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন সমিতি, কয়েকটি ছাত্র সংগঠন; আর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতন জামাত ইসলাম। অতি দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক হলেও সত্য যে অন্যান্য ফোঁড়ার মাঝে এই বিষফোঁড়ার স্থুলতাই সর্ববৃহৎ; তার কারণ বহু অনুসন্ধানে যা পেয়েছি তা পরে কখনও ব্যাক্ত করবো। আজকের এই লেখাটির উদ্দেশ্য ভিন্ন। যখন দেশ জুড়ে জামাত-শিবিরের তাণ্ডব চলছে, যখন ধর্মকে ঢাল বানিয়ে খুনি-ধর্ষকদের বাঁচাতে তারা এবং তাদের দোসর বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে; তখন এখানকার জামাত সমর্থকেরা ঘরে বসে চুপচাপ লাঠি লজেন্স চুষবে তেমনটা ভাবা অন্যায্য।